12 August 2015

পবিত্র জেন্দাবেস্তা- প্রথম খন্ড ভেন্দিদাদ- প্রথম অধ্যায়



পবিত্র জেন্দাবেস্তা, পারসিক ধর্মের ধর্মগ্রন্থ। পারসিক ধর্ম দ্বিঈশ্বরবাদী। ঈশ্বর আহুর মাজদা, শুভ’র প্রতিনিধি এবং ঈশ্বর আহরি মান অশুভ’র প্রতিনিধি। যা কিছু ভালো তা তৈরী করেছেন আহুর মাজদা এবং যা কিছু মন্দ তা তৈরী করেছেন আহরি মান। সৃষ্টির শুরু থেকে তাদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা এবং সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত তা চলবে। ঈশ্বর আহুর মাজদা পৃথিবীতে তার সৃষ্ট মানুষের কল্যানের জন্য যুগে যুগে প্রতিনিধি পাঠান এবং তাদের মধ্যে সর্বশেষ প্রতিনিধি- জরথুস্ত্র। তিনি আনুমানিক ৬৫০ যিশুপূর্বসনে তৎকালীন মেডিয়া সাম্রাজ্যের রাঘা নগরে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমান ইরানের রাঈ শহরে)। ৩০ বছর বয়সে আহুর মাজদা জরথুস্ত্রের নিকট মানবজাতির পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে ‘পবিত্র জেন্দাবেস্তা’ প্রেরণ করেন। জীবদ্দশার বাকী জীবন তিনি মানুষ এবং রাষ্ট্রের কল্যানের জন্য আহুর মাজদার আইন বাস্তবায়নের সংগ্রাম করেন। তিনি ৫৮৩ যিশুপূর্বসনে বর্তমান আফগানিস্থানের বালখ্ শহরে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর পারসিক ধর্ম মেডিয়া সাম্রাজ্যের রাজধর্ম হিসেবে পালিত হতে থাকে। ৬৩৩ যিশুসনে মুসলিম সাম্রাজ্যের নিকট পতনের আগ পর্যন্ত প্রাচীন ইরানের রাজধর্ম হিসেবে জারী থাকে পারসিক ধর্ম। প্রাচীন ইরানের পারসিকরা পালিয়ে আশ্রয় নেয় ভারতে। বর্তমান পৃথিবীতে পারসিক ধর্মের অনুসারী প্রায় দেড় লাখ।

সমগ্র জেন্দবেস্তা ৫ খন্ডে বিভক্ত। যথা- ভেন্দিদাদ, ভিসপেরাদ, ইয়াসনা, ইয়াশত এবং খোর্দাবেস্তা। ভেন্দিদাদ মূলত ভিদেভদাদ শব্দের অপভ্রংশ। ভিদেভদাদ মানে অশুভ’র বিরুদ্ধে আইন। ভিসপেরাদ মানে প্রতিপালকদের প্রতি প্রার্থনা। ইয়াসনা মানে প্রার্থনা। ইয়াশত মানে আরাধনার প্রার্থনা। এবং খোর্দাবেস্তা মানে ছোট আবেস্তা। সমগ্র জেন্দাবেস্তা আবেস্তান ভাষায় লিখিত। বর্তমান বঙ্গানুবাদটি ১৮৮৯ যিশুসনে জেমস ডার্মসটেটর অনূদিত জেন্দাবেস্তার ইংরেজী অনুবাদ অনুসরণে।



ফারগার্দ ১

ষষ্টদশ পবিত্রভূমি


[এই অধ্যায়ে প্রাচীন ইরানের ষোলোটি জনপদ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে, যা সৃষ্টি করেছেন আহুর মাজদা এবং বর্ণিত হয়েছে আরো অনেক অসৎ কর্মের বর্ণনা, যা সৃষ্টি করেছে আহরি মান । এই ষোলোটি জনপদ কেবলমাত্র প্রাচীনত্বের ধারনাই বহন করেনা বরং আরো বহন করে, তৎকালীন ইরানী উপজাতিদের আবাসন, আবাসনের সীমানা, অভিবাসন এবং দখলীকৃত জায়গার সীমানা। এখানে বর্ণিত হয়েছে প্রাচীন ইরানের ভৌগলিক বিবরণ। বর্তমানে যে জনপদগুলোর অধিকাংশ পরিণত হয়েছে ঐতিহাসিক ও পৌরানিক জনপদে। এমনকি কোনো কোনো জনপদের অবস্থান নির্ণয় করাও এখন দুরূহ। তবু এই অধ্যায় আমাদের প্রাচীন ইরান সম্পর্কে ধারনা দেয় এবং প্রাচীন ইরানের একটি প্রামান্য মানচিত্র তৈরীতে সাহায্য করে।

এই অধ্যায়ে বর্ণিত সৃষ্টিতাত্ত্বিক ধারাবিবরনী অনুযায়ী, যেসব জনপদকে ভাষা পরিবর্তনের সাহায্যে সহজেই চিহ্নিত করা গেছে, সেগুলো হচ্ছে-
জেন্দাবেস্তায় ব্যবহৃত নাম... প্রাচীন পার্সি নাম... আধুনিক নাম...
শুঘ্ঢ়া... শুঘুঢা... সমরখন্দ
মৌরু... মার্গু... মার্ভ
বাখ্ঢ়ি... বাখ্ত্রি... বালখ
হারৌউ... হারাইভা... হারিরুদ
ভের্কানা... ভার্কানা... গুরগান
হারাভাইতি... হারাউভাতি... হেরাত
হায়েতুমন্ত... হায়েতমান্দ... হেলমান্দ
রাঘা... রাগা... রাঈ
সপ্তসিন্ধু... হিন্দাবাস... পাঞ্জাব
এছাড়া, খুব সহজে না হলেও, পাহ্লবী বিবরনী অনুযায়ী আরো কিছু জনপদকে চিহ্নিত করা গেছে। সেগুলো হচ্ছে- উর্ভা (বর্তমানে ইস্পাহান), ভারেনা (বর্তমানে কেরমান), ভৈকারাতা (বর্তমানে কাবুল), আর্য্যাবেগ (বর্তমানে উত্তর আজারবাইজান) এবং রাংঘা (তাইগ্রিস নদীর পূর্ব সীমানা, বর্তমানে ইরাক)। কোনোভাবেই অবস্থান নির্ণয় করা যায়নি, এমন দুটি জনপদ হচ্ছে- নিশায়া এবং কাখ্রা।
প্রাচীন ইরানের উপজাতিদের পূর্ব সীমানা সম্পর্কে বলা হয়েছে, আর্য্যাবেগ থেকে পবিত্র আরাখেজ নদীর মধ্যবর্তী স্থান অর্থাৎ উত্তর আজারবাইজান হয়ে তাইগ্রিস নদীর পূর্বসীমানা ধরে পারস্য উপসাগর পর্যন্ত এবং পশ্চিম সীমানা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সপ্তসিন্ধু অর্থাৎ বর্তমান পাঞ্জাব অঞ্চল। সপ্তসিন্ধু প্রথম ইরানীয়দের অধিকারে আসে, সম্রাট প্রথম দারিয়ুসের আমলে অর্থাৎ অধ্যায়ে এই পদটি যুক্ত হয়েছে তারও পরে। রাঘা কে জরথুস্ত্রের জন্মশহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং রাংঘা কে চিত্রিত করা হয় পৌরানিক শহর হিসেবে, যে শহর দেবতা এবং মানুষদের মধ্যবর্তী কোনো অঞ্চলের শহর হিসেবে স্বীকৃত।]

১. আহুর মাজদা বলেন স্পিতামা জরথুস্ত্র কে, বললেন-
২. আমি সৃষ্টি করেছি প্রত্যেকটি ভূমি, তার অধিবাসীদের নিকট প্রিয় করে। যদিও সেখানে কোনো মায়া নেই, যাই থাকুক না কেনো? আমি কি সৃষ্টি করিনি প্রত্যেকটি ভূমি, তার অধিবাসীদের নিকট প্রিয় করে? যদিও সেখানে কোনো মায়া নেই, যাই থাকুক না কেনো? তারপর সমস্ত জীবিত জগত অতিক্রম করলো, উদিত সূর্যের দূরবর্তী ভূমি।
৩. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে প্রথম, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, আর্য্যাবেগ এবং পবিত্র আরাখেজ নদীর মধ্যবর্তী স্থান। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, নদীতে ধূর্ত সাপ এবং শীতকাল, যা কেবলমাত্র দেবতাদের কাজ।
৪. সেখানে দশটি শীতের মাস এবং দুইটি গ্রীষ্মের মাস। এবং তারা শীত নিয়ে আসে জলের জন্য, শীত নিয়ে আসে পৃথিবীর জন্য, শীত নিয়ে আসে গাছেদের জন্য। শীত সেখানে পতিত হয় চরম জঘন্যতম নৈতিক অধঃপতন সহ।
৫. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, শুঘ্ঢ়া, তার মনোরম সমতলভূমি সহ। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, এমন সব পতঙ্গ, যারা গবাদিপশুর মৃত্যু নিয়ে আসে।
৬. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে তৃতীয়, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, মৌরু, যা পবিত্র এবং শক্তিশালী। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, অনাচার এবং ঘৃণ্য যৌন কামনা।
৭. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে চতুর্থ, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, বাখ্ঢ়ি, তার উচ্চে উত্তোলিত অনিন্দ্য সুন্দর ঝান্ডা সহ। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, শষ্য বহনকারী পিপড়ে।
৮. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে পঞ্চম, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, নিশায়া, যা মৌরু এবং বাখ্ঢ়ি এর মধ্যবর্তী অবস্থানে অবস্থিত। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, অবিশ্বাষের পাপ।
৯. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, হারৌউ, তার সমৃদ্ধ জলাধারগুলো সহ। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, বিবর্ণ মশা।
১০. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে সপ্তম, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, ভৈকারাতা, তার মন্দ ছায়া সহ। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, কেরেসাস্পার অনুগত অপ্সরা, নাথাইতি কে।
১১. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে অষ্টম, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, উর্ভা, তার ধানী চারণভূমি সহ। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, অহংকার এবং আত্মতৃপ্তির পাপ।
১২. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে নবম, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, ভের্কানা, খ্নেতা নদী সহ। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, এমন সব অস্বাভাবিক পাপ, যার কোনো প্রায়শ্চিত্ত নেই।
১৩. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে দশম, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, হারাভাইতি, তার অনিন্দ্য সুন্দর রুপ সহ। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, মৃতকে সমাহিত করার পাপ, যার কোনো প্রায়শ্চিত্ত নেই।
১৪. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে একাদশ, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, হাইতুমন্ত, যা উজ্জ্বল এবং মহিমান্বিত। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, যাদুকরের অশুভ যাদুবিদ্যা।
১৫. এবং কিভাবে জাদুকর নিজেই, তার নিজের প্রকৃতি প্রকাশ করে? সে নিজেই নিজেকে প্রকাশ করে, তার অমাঙ্গলিক চাহনী দ্বারা। এবং তার অসুস্থ আর্তনাদের মতো বক্তব্যের দ্বারা। মায়াবিদ্যার সবচেয়ে অশুভ কাজগুলো করতেই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
১৬. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে দ্বাদশ, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, রাঘা, তার তিনটি জাতি সহ। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, চূড়ান্ত অবিশ্বাষের পাপ।
১৭. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে ত্রয়োদশ, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, কাখ্রা, যা পবিত্র এবং শক্তিশালী। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, মৃতকে দাহ করার পাপ, যার কোনো প্রায়শ্চিত্ত নেই।
১৮. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে চতুর্দশ, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, ভারেনা, যা চতুঃকিনারাযুক্ত। যেখানে জন্ম নেয় থ্রায়েতাওনা, যে কিনা আঘাত করে আজিস দহাকা কে। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, নারীদের জন্য নানান অস্বাভাবিক বিষয় এবং বিদেশী শাসকদের নিপীড়ন।
১৯. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে পঞ্চদশ, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, সপ্তসিন্ধু। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, নারীদের জন্য নানান অস্বাভাবিক বিষয় এবং অপরিমিত উষ্ণতা।
২০. পবিত্র ভূমিগুলোর মধ্যে ষষ্ঠদশ, যা আমি আহুর মাজদা, সৃষ্টি করলাম, রাংঘা, বন্যার পলি হতে। যেখানে মানুষ বাস করতো কোনো প্রদর্শক ছাড়া। অতঃপর আহরি মান (সে মৃত হোক) আসলো, এবং সে তার মায়াবিদ্যা দ্বারা সৃষ্টি করলো, শীতকাল, যা কেবলমাত্র দেবতাদের কাজ।
২১. এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক ভূমি এবং অঞ্চল, যারা গভীর এবং সুন্দর, উজ্জ্বল এবং আকাঙ্খিত; এবং সমৃদ্ধশালী।


[পাদটীকা সংযুক্তি
পদ ১... স্পিতামা... অর্থাৎ, সর্বোচ্চ মঙ্গোলকারী। ধারনা করা হয় এটি জরথুস্ত্রের গুণাবলীসূচক উপাধি। ঈশ্বর আহুর মাজদা তাকে এই উপাধি প্রদান করেন। গ্রন্থে প্রায়ই আহুর মাজদা তাকে এই নামে সম্বোধন করেন। এছাড়াও ধারনা করা হয়, এটি তার পারিবারিক উপাধি। যদিও তার পক্ষে শক্ত কোনো প্রমান হাজির নেই।
পদ ৩... আরাখেজ নদী... মনে করা হয়, জর্জিয়ার পার্বত্য এলাকা থেকে এর উৎপত্তি। বর্তমান ইরাকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে, পতিত হয়েছে পারস্য উপসাগরে। বর্তমান নাম অক্ষু নদী। সাসানীয় সময়ে এর নাম ছিলো আরাখেজ নদী। এই নদীকে প্রাচীন ইরানীয় উপজাতিদের বসবাসের পশ্চিম সীমানা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
পদ ৮... অবিশ্বাষের পাপ... অর্থাৎ, ঈশ্বর আহুর মাজদা এবং তার প্রতিনিধি জরথুস্ত্রের আইনকে অবিশ্বাষ করার পাপ। ‘...ব্যক্তিকে অবশ্যই বিশ্বস্ত হতে হবে, ঈশ্বরের আইনের প্রতি। তার হৃদয়ে এ ব্যাপারে কোনো প্রকার সন্দেহ থাকা চলবেনা। ... এবং তাকে অবশ্যই নিরঙ্কুশ ভাবে বিশ্বাষ করতে হবে যে, এই মহাজগতে যা কিছু পবিত্র এবং ভালো এবং সঠিক, তার সবই ঈশ্বর আহুর মাজদা তৈরী করেছেন, মানুষের জন্য। তিনি মানুষকে দিয়েছেন সর্বোচ্চ সঠিক আইন। এবং সে আইন তিনি মানুষের কাছে পাঠিয়েছেন, তার প্রতিনিধি জরথুস্ত্রের মাধ্যমে।’ (পহ্লবী ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘সাদ্দার’ থেকে)
পদ ১৬... চূড়ান্ত অবিশ্বাষের পাপ... অর্থাৎ, যারা নিজেরা ঈশ্বরের আইনে সন্দেহ পোষন করে এবং একই সাথে যারা অন্যদেরকে এই আইনে সন্দেহ করার জন্য প্ররোচিত করে।]