সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ফেসবুক। এপ্রিল ২০১৮ এর হিসাব মতে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ। ব্যবহারকারীদের বিশাল একটা অংশের বয়স ১৫-৪০।
ইতিমধ্যে ফেসবুক বাংলাদেশের একটি বিকল্প সংবাদ মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো (প্রিন্ট এবং অনলাইন) মিথ্যাচারিতা, স্বেচ্ছাচারিতা, সত্য খবর পরিবেশনে অনীহা এবং ভয়, সরকারী সেন্সর এবং পর্যাপ্ত জবাবদিহিতার অভাবে ফেসবুক হয়ে উঠছে বিকল্প সংবাদ মাধ্যম। তবে বড় প্লাটফর্ম হওয়ায় এইখানে গুজব ছড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা বিদ্যমান। ব্যবহারকারীদের খবর এবং গুজবের মধ্যে পার্থক্য করতে পারতে হবে এবং গুজব যেনো না ছড়ায় তার খেয়াল রাখতে হবে।
এছাড়া এখন ফেসবুক বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে। একটি ভালো বিরোধী দলের অভাবে বাংলাদেশের সংসদ এবং রাজপথ যখন স্বেচ্ছাচারিতা আর স্বৈরাচারের উর্বর ময়দান, তখন ফেসবুকই লোকজনের ভরসার জায়গা। এইখানে লোকজন সমালোচনা করে, নিন্দা করে, একটা কাজ আরো কিভাবে ভালো হতে পারতো তার আলোচনা করে। বেফাঁস কিছু বললে হাসাহাসি করে, ট্রল করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা যখন কেড়ে নেয়া হচ্ছে তখন ফেসবুকই মত প্রকাশের প্লাটফর্ম হয়ে উঠছে। কিছু ৫৭ ধারাটারা আছে। তবে এগুলা এখন আর লোকে মানে না।
মতপ্রকাশের জায়গা হিসেবে ফেসবুক একটা খোলা মাঠের মতো। এইখানে সবাই যে যার মত দেন। এইখানে আপনি সচেতনতা তৈরী করতে পারেন। কোনো চলমান অন্যায়ের মধ্যে জনমত তৈরী করতে পারেন। আপনার পক্ষের-বিপক্ষের যুক্তি-তর্ক সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এইখানে কে চুপ থেকে নিজের ধান্ধায় আছে তা বের করতে পারেন। এইখানে কে দলকানা, কে গোষ্ঠীস্বার্থে বিভোর, কে আধুনিক সুবিধাবাদী-রাজাকার তা চিহ্নিত করতে পারেন।
সৎ উদ্দেশ্যে কাজে লাগিয়ে আপনি ফেসবুক থেকেও ভালো আউটপুট বের করতে পারেন। নিজে সৎ আন্দোলনে যোগদান করুন, অপরকে যোগদান করতে উৎসাহিত করুন। আপনার অবস্থান পরিষ্কার করুন। কারা দলকানা এবং জনগণের শত্রু তাদের চিনে রাখুন।
সামনে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ গঠনের আন্দোলনে অংশগ্রহন করুন।
No comments:
Post a Comment