![]() |
মানচিত্রঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন। |
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর প্রতিষ্ঠা ১৯৫৭ সালে। যুক্তরাজ্য সেখানে যোগদান করে ১৯৭৩ সালে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিজস্ব কিছু নীতিমালা আছে। সদস্যরাষ্ট্র গুলো সেগুলো মেনে ইউনিয়নে যোগদান করে, এবং সেগুলো মেনে চলতে হয়।
ইউনিয়নে যোগদান করলে বড় রাষ্ট্রগুলোর আসলে অসুবিধা। আর ছোটো রাষ্ট্রগুলোর সুবিধা। যেমন কারো অর্থনীতি ডাউন হলে, তাকে সবাই মিলে টেনে তোলে। যেমন- গ্রীস। তাকে ইউনিয়নের সবাই টেনে তুলেছে, সবার কন্ট্রিবিউশন ছিলো। কিন্তু সবচেয়ে বড় অনুদানটা দিতে হয়েছে, জার্মানীর। তাই জার্মানীর অর্থনীতিতে আবার এটার প্রভাব পরেছে।
আবার এখন, ইউনিয়নের মাথাব্যাথা সিরিয়া আর ইরাক থেকে আসা শরণার্থীরা। প্রায় ৪০ লাখ শরণার্থী আছে ইউরোপে। ইউনিয়ন সেটা সবার মধ্যে ভাগ করে দিবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভাগটা পরেছে জার্মানীর, প্রায় ১০ লাখ। কেউ কেউ বলছিলো, তারা শরণার্থী নিবে না। যেমন- যুক্তরাজ্য, সার্বিয়া, মেসিডোনিয়া, এস্তোনিয়া। কিন্তু ইউনিয়ন প্রেসার দিয়েছে। শরণার্থী নেয়াই লাগবে। যুক্তরাজ্য সেই প্রেসার নিবো না।
ইউনিয়নের ব্যাপারে, যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গিঃ
১. ইউনিয়ন সবসময় যুক্তরাজ্যের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিতে চায়।
২. সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য, জার্মানী বা ফ্রান্সের সমান মর্যাদা পায় না। (জার্মানী আর ফ্রান্সের সাথে যুক্তরাজ্যের আগে থেকেই প্রতিযোগিতা)।
৩. ইউনিয়নের কারনে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ডাউন খেয়েছে, পাউন্ডের দাম কমছে।
১. ইউনিয়ন সবসময় যুক্তরাজ্যের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিতে চায়।
২. সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য, জার্মানী বা ফ্রান্সের সমান মর্যাদা পায় না। (জার্মানী আর ফ্রান্সের সাথে যুক্তরাজ্যের আগে থেকেই প্রতিযোগিতা)।
৩. ইউনিয়নের কারনে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ডাউন খেয়েছে, পাউন্ডের দাম কমছে।
যুক্তরাজ্যের ব্যাপারে, ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গিঃ
১. সে জার্মানী আর ফ্রান্সের সমান মর্যাদা চায়, অথচ তাদের সমান দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত না।
২. ইউনিয়নের যৌথ কাজ গুলোর ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সহমর্মী না।
২. ইউনিয়নের যৌথ কাজ গুলোর ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সহমর্মী না।
সুতরাং যুক্তরাজ্য ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে গণভোট নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। যার নাম দেয়া হয় 'ব্রেক্সিট'।
স্কটল্যান্ড ইস্যুঃ
স্কটল্যান্ড এর আগে ২০১৪ এর সেপ্টেম্বরে স্বাধীনতার পক্ষে গণভোট নেয়। সেই গণভোটে স্বাধীনতাকামীরা ৪৮% বাই ৫২% ভোটে হারে। স্কটল্যান্ডের জনগণ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকতে চায়। তারা ভেবেছে, যুক্তরাজ্য যেহেতু ইউনিয়নে আছে, আলাদা হয়ে গেলে আল্টিমেটলি তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবে। তারা ব্রেক্সিটেও ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দেয়। কিন্তু যুক্তরাজ্য যেহেতু ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবার পক্ষে জয়লাভ করছে, স্কটল্যান্ড তাই আবার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট চায়। এবার তারা যুক্তরাজ্য থেকে আলাদা হয়ে, স্বাধীন দেশ হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগদান করবে। হয়তো ২০১৭ সালেই নতুন রেফারান্ডাম আসবে।
স্কটল্যান্ড এর আগে ২০১৪ এর সেপ্টেম্বরে স্বাধীনতার পক্ষে গণভোট নেয়। সেই গণভোটে স্বাধীনতাকামীরা ৪৮% বাই ৫২% ভোটে হারে। স্কটল্যান্ডের জনগণ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকতে চায়। তারা ভেবেছে, যুক্তরাজ্য যেহেতু ইউনিয়নে আছে, আলাদা হয়ে গেলে আল্টিমেটলি তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবে। তারা ব্রেক্সিটেও ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দেয়। কিন্তু যুক্তরাজ্য যেহেতু ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবার পক্ষে জয়লাভ করছে, স্কটল্যান্ড তাই আবার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট চায়। এবার তারা যুক্তরাজ্য থেকে আলাদা হয়ে, স্বাধীন দেশ হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগদান করবে। হয়তো ২০১৭ সালেই নতুন রেফারান্ডাম আসবে।
![]() |
স্কটল্যান্ডের পতাকা |
একই ইস্যু উত্তর আয়ারল্যান্ড এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু সেখানে স্বাধীনতার প্রশ্নে এখনো গণভোট হয় নাই, এবং হওয়ার ব্যাপারে কোনো আলোচনাও এখনো হয় নাই। তবে স্কটল্যান্ড স্বাধীন হওয়ার পর, উত্তর আয়ারল্যান্ড ইস্যু জোরদার হতে পারে।
ব্রেক্সিট ভোটে যুক্তরাজ্যঃ
১. স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড এ ইউনিয়নে থেকে যাবার পক্ষে ভোট বেশি। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস এ বের হয়ে যাবার পক্ষে ভোট বেশি।
২. যুক্তরাজ্যের তরুন সমাজ ইউনিয়নে থেকে যাবার পক্ষে, মধ্যবয়সীরা বের হয়ে যাবার পক্ষে।
৩. সংসদের সরকারি দল ও বিরোধীদল দুই পক্ষই, ইউনিয়নে থেকে যাবার পক্ষে, জনগণের বৃহৎ অংশ বের হয়ে যাবার পক্ষে।
৪. ৫১.৯০% জনগণ বের হয়ে যাবার পক্ষে, ৪৮.১০% জনগণ থেকে যাবার পক্ষে।
[সাধারণ তথ্যঃ
১. স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড এ ইউনিয়নে থেকে যাবার পক্ষে ভোট বেশি। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস এ বের হয়ে যাবার পক্ষে ভোট বেশি।
২. যুক্তরাজ্যের তরুন সমাজ ইউনিয়নে থেকে যাবার পক্ষে, মধ্যবয়সীরা বের হয়ে যাবার পক্ষে।
৩. সংসদের সরকারি দল ও বিরোধীদল দুই পক্ষই, ইউনিয়নে থেকে যাবার পক্ষে, জনগণের বৃহৎ অংশ বের হয়ে যাবার পক্ষে।
৪. ৫১.৯০% জনগণ বের হয়ে যাবার পক্ষে, ৪৮.১০% জনগণ থেকে যাবার পক্ষে।
[সাধারণ তথ্যঃ
দেশঃ যুক্তরাজ্য। United Kingdom.
পূর্ণ নামঃ United Kingdom of Great Britain and Northern Ireland.
রাজ্যভাগঃ ১. ইংল্যান্ড, ২. স্কটল্যান্ড, ৩. ওয়েলস, ৪. উত্তর আয়ারল্যান্ড।]