কাও-দাই ধর্মগ্রন্থঃ আনুশাসনিক সংহিতা- ধর্মীয় সংহিতা- তৃতীয় অধ্যায়

ধর্মীয় সংহিতা 

তৃতীয় অধ্যায়

যাজকপল্লী প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে

অনুচ্ছেদ ১৬

কোনো স্থানীয় এলাকায় ৫০০ এর বেশি বিশ্বাসী থাকলে সেখানে একটি যাজকপল্লী (হো দাও) এবং একটি মন্দির (থান থাত) প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমোদন দেয়া হবে যার ব্যবস্থাপনায় থাকবেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

অনুচ্ছেদ ১৭

যাজকপল্লী প্রতিষ্ঠিত হবে একমাত্র পবিত্র গিয়াও তং এর অনুমতি এবং কর্তৃত্ব সাপেক্ষে।

অনুচ্ছেদ ১৮

যাজকপল্লীতে অবস্থানকারীরা অবশ্যই মান্য করবে বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাজকপল্লী প্রধানের আদেশ এবং কঠোরভাবে অনুসরণ করবে তার শিক্ষা এবং পথ, কারও ব্যক্তিগত ইচ্ছাধীন কার্যসাধন বাদে।

অনুচ্ছেদ ১৯

মাসে দুই বার, চন্দ্রপঞ্জিকার প্রথম এবং পনেরতম দিনে, বিশ্বাসীরা অবশ্যই আসবে স্থানীয় মন্দিরে (থান থাত) আরাধনার জন্য এবং মনোযোগ দিয়ে শুনবে শিক্ষা। কারও গ্রহণযোগ্য কারন থাকলে এর ব্যতিক্রম করা যাবে।

অনুচ্ছেদ ২০

বিশিষ্ট ব্যক্তি যারা মন্দিরে (থান থাত) অবস্থান করবেন, অবশ্যই একদিনে চারবার ছোটো প্রার্থনা অনুষ্ঠান (তু থোই) সম্পাদন করবেন, ঠিক সময়মতো সকাল ৬ টায় (থোই মেও), দুপুর ১২ টায় (থোই ঙ্গো), বিকাল ৬ টায় (থোই দাউ) এবং রাত ১২ টায় (থোই তি)।

অনুষ্ঠান শুরু করার পূর্বে অবশ্যই ঘন্টা বাজিয়ে নিতে হবে। বিশ্বাসীরা এই অনুষ্ঠানে তাদের ইচ্ছামতো, অংশগ্রহণ করতে পারে অথবা অংশগ্রহণ নাও করতে পারে। 

কাও-দাই ধর্মগ্রন্থঃ আনুশাসনিক সংহিতা- ধর্মীয় সংহিতা- দ্বিতীয় অধ্যায়

ধর্মীয় সংহিতা 

দ্বিতীয় অধ্যায়

বিশ্বাসীদের সম্পর্কে

অনুচ্ছেদ ৯

কেউ যদি ইচ্ছা করে কাওদাই ধর্মে প্রবেশ করবে তাকে মন্দিরপ্রধানের কাছে দুইজন যথাবিহিত নৈতিক যথার্থতাসম্পন্ন বিশ্বাসী কর্তৃক উপস্থাপিত হতে হবে। দুইজন উপস্থাপনকারী বিশ্বাসী অবশ্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে নতুন অনুসারীর কাওদাই পথের নীতি এবং মূল্যবোধ বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা এবং পথনির্দেশ প্রদর্শনের জন্য।

অনুচ্ছেদ ১০

প্রত্যেক স্থানীয় মন্দির (থান থাত) তখন নতুন অনুসারীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান প্রতিপালনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে, তাকে অবশ্যই নিবন্ধভুক্ত করা হবে এবং যথাশীঘ্র শপথ নেয়া হবে, একই দিনে, প্রভুর বেদীর সামনে।

নতুন বিশ্বাসী অবশ্যই প্রার্থনা হৃদয় দিয়ে শিখবে এবং মহান পথ (দাই দাও) কর্তৃক ঘোষিত ধর্মীয় সংহিতা বুঝবে।

অনুচ্ছেদ ১১

যাজকপল্লীর প্রধান অথবা তার প্রতিনিধি বিশিষ্ট ব্যক্তি নতুন বিশ্বাসীর ঘরে গার্হস্থ্য প্রভুর বেদী প্রতিষ্ঠার জন্য এবং দীক্ষা অনুষ্ঠান সম্পাদন করে আশীর্বাদ দেয়ার জন্য অবশ্যই আসবেন।

অনুচ্ছেদ ১২

একবার ধর্মান্তরিত এবং বাপ্তাইজিত (ন্‌হাপ মন), নতুন অনুগতকে বলা হবে বিশ্বাসী (তিন দো)। বিশ্বাসীদের ভাগ করা হবে দুইটি ধাপেঃ

১। যারা তাদের পরিবারের সাথে বসবাস করবে (অবিবাহিত এবং বিবাহিত মানুষ) এবং সাধারন মানুষের মতো জীবনযাপন করবে তারা। যাইহোক তারা অবশ্যই চর্চা করবে একমাসে ছয় দিন অথবা দশ দিনের নিরামিষাশী খাদ্যাভ্যাস, অবশ্যই পালন করবে পাঁচটি নিষেধ (ঙ্গু গিয়ই কান) এবং মান্য করবে মহান পথ (দাই দাও) কর্তৃক ঘোষিত পার্থিব জীবনের (থে লুয়াত) পার্থিব সংহিতা। এমন বিশ্বাসীদের বলা হবে, পথ আছে এমন সাধারন মানুষ, তারা হবে অধস্তন ধাপে অথবা পার্থিব ক্রমে (হা থুয়া)।

২। যারা সবসময় নিরামিষাশী খাদ্যাভ্যাস মান্য করবে, যেকোনো প্রকার হত্যা করা থেকে নিজেদের বিরত রাখবে এবং চার মহান প্রত্যাদেশ (তু দাই দিয়েউ কুই) অনুসরন করবে তারা হবে উর্দ্ধতন ধাপে অথবা উচ্চতর ক্রমে (থুঅং থুয়া)

অনুচ্ছেদ ১৩

অধস্তন ধাপে, যারা এক মাসে দশ দিন বা তার বেশি নিরামিষাশী খাদ্যাভ্যাস পালন করবে তাদের ধ্যান কক্ষে (তিন থাত) প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে, যেখানে গূঢ় শিক্ষা দেয়া হয় এবং তাদের জন্য নিয়োগ দেয়া হবে একজন অধীক্ষক যিনি আধ্যাত্মিক চর্চা অনুশীলন করতে তাদের সাহায্য করবেন।

অনুচ্ছেদ ১৪

ধর্মীয় প্রশাসন থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গিয়াও হু (পুরোহিত) মর্যাদাক্রমে লোক গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কেবল বিশ্বাসীদের উচ্চতর ক্রম (থুঅং থুয়া) থেকে তা মনোনীত করা হবে।

অনুচ্ছেদ ১৫

যারা মহান পথের (দাই দাও) উচ্চতর ক্রমে (থুঅং থুয়া) অবস্থান করবে তারা তাদের দাড়ি বড় করবে এবং চুল কাটবে না। তারা অবশ্যই পরিধান করবে কেবল সাধারন সাদা সূতির জামা অথবা তাদের শাখার জন্য নির্ধারিত রঙের পোশাক। তারা অবশ্যই মিতব্যয়ী হবে এবং বিলাসিতায় আনুকূল্য প্রদর্শন করবে না।