ওয়ান্স আপন এ টাইম দেয়ার ওয়াজ এ ভিসি নেমড আনোয়ার। তো একবার কি হইলো তার আমলে এম এইচ হলে পুলিশ গেলো। ছিনতাই মামলার আসামী জনৈক নাহিদকে ধরতে। দুই তিন রুম খোজার পর ছাত্ররা জিজ্ঞাসা করলো- আপনারা কোন নাহিদরে খোঁজেন? এম এইচ হলে তো প্রচুর নাহিদ। পুলিশ জানেনা তারা কোন নাহিদরে খোঁজে? ছাত্ররা পুলিশদের দৌড়ানি দিলো। পুলিশ পালিয়ে যাওয়ার পর প্রক্টর মহাশয় আসলেন। ছাত্ররা প্রক্টরকে জিজ্ঞাসা করলো- হলে পুলিশ কেনো স্যার? ক্যাম্পাসে পুলিশ কেনো? প্রক্টর বললো- ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন তাতো আমি জানিনা। ছাত্ররা জানতো প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকে না। ছাত্ররা বললো- আপনি জানেন না, তাহলে আপনার প্রক্টর থাকার দরকার কি? এই প্রক্টর দিয়া আমরা কি করবো? পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রোভিসি আসলো। ছাত্ররা এম এইচ হলের গেট আটকে প্রোভিসি আর তার সাথে আসা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত(!) করলো। ছাত্ররা জবাব চাইতে গেলে ভিসি তার বাসা থেকে তার পরিবার সহ ঢাকায় পলায়ন করলো। ছাত্ররা ভিসির বাসভবন ভেঙে ভুতের বাড়ি বানিয়ে ফেললো। তার সোফার কুশন, তোষক, বালিশ এনে জড়ো করে ভিসির বাসার সামনের মাঠে আগুন ধরিয়ে দিলো। এমন কোনো লাইট, জানালা আর কাচের জিনিশ ছিলো না যেটা ভাঙা পরে নাই। মাননীয় ভিসি সেইযে ঢাকা গেলেন, আর আসলেন না। ঢাকা থেকেই পদত্যাগ করলেন। মিডিয়ার সামনে কান্নাকাটি করলেন- জাহাঙ্গীরনগর এর ভিসি হওয়াই তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।
আর এখনকার মাননীয় ভিসি, জাহাঙ্গীরনগরের সাত রাজার ধন, সাভার উপজেলাবাসীর নয়নের মনি, পৃথিবীর একমাত্র এবং কেবলমাত্র এবং শুধুমাত্র নারী ভিসি, নারী অধিকারের প্রবক্তা, নারী অধিকারের সুউচ্চ কণ্ঠস্বর, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ভিসুভিয়াস, প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম মাত্র ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন, ৭২ জনের বিরুদ্ধে শোকজ দিয়েছেন। এই ১২৮ জন তারই ছাত্রছাত্রী, যারা তার ইগোর কাছে কোরবানি হয়ে গেলো। ছাত্ররা প্রশাসন আর শিক্ষকদের রাজনীতির শিকার হয়ে গেলো। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো বড় জুলুমের ঘটনা ঘটে নাই। এর পরে আর ঘটে কিনা সন্দেহ। এখানে ছাত্রদের দোষ কি? তারা মৃত সহপাঠীদের জানাজা ক্যাম্পাসে পড়াতে চেয়েছিলো, তারা এক্সিডেন্টের জায়গায় রোডব্রেকার আর ফুট ওভারব্রিজ চেয়েছিলো। ছাত্রদের উপর পুলিশ গুলি চালালে তারাতো আপনার বাসার দেয়াল টপকে ঢুকবেই। আপনিতো ছাত্রছাত্রীদের স্বাগতম জানানোর জন্য দরজা খুলে রাখেননি। আর দেয়াল টপকে ঢুকলেই বা কি? আপনার বাসায় তো সোনা-হীরার কারখানা নাই, নাকি আছে? যাই হোক, ছাত্ররা অনশনে বসলো। আপনি প্রোভিসি পাঠিয়ে সেটা ভাঙালেন। পরে আবার বললেন- এটা প্রোভিসির ব্যক্তিগত মতামত ছিলো। আপনি আবার বেয়াদবি করলেন। আপনি আবার ফাইজলামি করলেন। মাননীয় ভিসি আনোয়ার ভিসির ঘটনা থেকে দ্রুত শিক্ষা নেন।
মনে রাখবেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রছাত্রীরা ছাইচাপা অঙ্গার। বাহির থেকে ঠাণ্ডা মনে হয়। ভেতরে হাত দিয়ে লাড়াচাড়া করলে হাত পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। মাননীয় ফারজানা ইসলাম আপনি আগুন নিয়ে খেলছেন।