১। কি! হো! অস্ত্রাবাসে আমার কাজ রাখা আছে; আমি কোনো মরনশীলের কতা শুনি না, কেউ আমাকে লজ্জিত করতে পারে না; আমি এরকম কিছু জানি না, আমিই ত্রাস, এর বাদে আমি কিছু জানি না। যেখানে যুদ্ধ আছে সেখানে আমি আছি, অস্ত্রাবাসে আমার রেখে দেয়া কাজ কথা বলে। কেউ আমার সন্তানদের অমঙ্গল করতে
পারবে না।
২। দক্ষিণ থেকে আসে১ আমাদের অলঙ্কার, এটা বিবিধ রঙে রঙিন যেনো ঈগলের আচ্ছাদন।
৩। হো হো! দু’গুণ পোশাকে যুবকদের প্রাচুর্য; পালকে সজ্জিতরা, আমার বন্দী। আমি তাদের
পরিত্যাগ করি, আমি তাদের পরিত্যাগ করি, আমার বন্দীরা পালকে সজ্জিত থাকে।
৪। হো! হুইটস্নাহুয়াকের২
যুবকেরা, পালকে সজ্জিত যারা, তারাই আমার বন্দী। আমি তাদের পরিত্যাগ করি, আমি তাদের পরিত্যাগ করি, পালকে
সজ্জিতরা, আমার বন্দী।
৫। দক্ষিণ থেকে আগত যুবকেরা, পালকে
সজ্জিতরা, আমার বন্দী; আমি তাদের পরিত্যাগ করি, আমি তাদের পরিত্যাগ করি, পালকে
সজ্জিতরা, আমার বন্দী।
৬। দেবতা প্রবেশ করেন, হুইটস্নাহুয়াক, উদাহরণ হিসেবে তিনি অবতীর্ন হন, তিনি সম্মুখপানে উদ্ভাসিত হন, তিনি সম্মুখপানে উদ্ভাসিত হন, উদাহরণ হিসেবে অবতীর্ন হতে থাকেন।
৭। আমাদের মতো অলঙ্কৃত কিন্তু প্রবেশ করেন দেবতার মতো। উদাহরণ হিসেবে তিনি অবতীর্ন হন, তিনি সম্মুখপানে উদ্ভাসিত হন, তিনি সম্মুখপানে উদ্ভাসিত হন, উদাহরণ হিসেবে অবতীর্ন হতে থাকেন।
টিপ্পনী
১ দক্ষিণ থেকে আসে
দক্ষিণ থেকে আসেন হুইটস্নাহুয়াক নিজে। হুইটস্নাহুয়াক শব্দের মানে ‘দক্ষিণ থেকে আগত’।
২ হুইটস্নাহুয়াক
হুইটস্নাহুয়াক দেবতা হুইটসিলোপোশ্তলির ভাই এবং প্রধানতম শত্রু।
হুইটসিলোপোশ্তলির জন্মের সময় হুইটস্নাহুয়াক তাকে মারতে চায়, এমনকি তাদের মাকেও
মারতে চায়। কিন্তু হুইটসিলোপোশ্তলি মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে নিজেকে এবং মাকে
হুইটস্নাহুয়াকের হাত থেকে রক্ষা করেন। জীবন
বাঁচাতে হুইটস্নাহুয়াক দক্ষিণ দিকের তারকায় পলায়ন করে। মেহিকোর দক্ষিণ দিকের চারশ
তারকাই তার বাসস্থান। সৃষ্টির শুরু থেকেই হুইটসিলোপোশ্তলির সাথে হুইটস্নাহুয়াকের
দ্বন্দ্ব। হুইটস্নাহুয়াক পৃথিবীতে অশান্তি আর খারাপ কাজের মূল কারন। শেষ সময়ে দেবতা হুইটসিলোপোশ্তলি তাকে বধ করবেন এবং বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে
আনবেন।
আজটেকদের
শত্রুজাতি এবং আজটেকদের হাতে বন্দী লোকেদের হুইটস্নাহুয়াকের লোক বলে গন্য করা হতো।
মানববলির ঠিক আগে, বন্দীদের হুইটস্নাহুয়াকের এই সঙ্গীত গাইতে গাইতে বেদীর দিকে
এগিয়ে যেতে হতো। কখনো কখনো বন্দীদের সুযোগ দেয়া হতো। স্বাধীন আজটেক পুরুষদের সাথে
তাদের প্রাণঘাতী দ্বৈতযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হতো। দ্বৈতযুদ্ধ চলাকালীন সময়েও
বন্দীদের এই সঙ্গীত গাইতে হতো।
* আজটেকরা এই সঙ্গীত ব্যবহার না করলেও, আজটেক প্রার্থনার
প্রাথমিক সংকলক ‘বেরনার্দিনো দে রিবেইরা দে সাহাগুন’ এটাকে গুরুত্বের বিচারে ২য়
অবস্থানে রেখেছেন।
No comments:
Post a Comment