আপনি মনে করতে পারেন আপনার নিজের ধর্মের
ধর্মগ্রন্থতো স্বর্গীয় ভাষায় পড়াই আছে। আর বাদবাকী পদক্ষেপের কি প্রয়োজন? কিন্তু কেবল স্বর্গীয় ভাষায় নিজধর্মের ধর্মগ্রন্থ (আরবি
ভাষায় কোরআন, সংস্কৃত ভাষায়
বেদ, পালি ভাষায় ত্রিপিটক
বা হিব্রু ভাষায় তালমুদ) পড়ায় কোনো উপসংহারে পৌছানো যাবে না। আসলে তা কেবল ভূমিকার
শুরু। নিজ ধর্মের ধর্মগ্রন্থ নিজের ভাষায় পড়া থেকে আসলে ধর্মগ্রন্থ পড়া শুরু হয়।
এই ক্ষেত্রে যার যা মাতৃভাষা সেই ভাষায় নিজধর্মের ধর্মগ্রন্থ পড়লেই কেবল
ধর্মগ্রন্থের মর্মার্থ উপলব্ধি করা সম্ভব।
নিজধর্মের ধর্মগ্রন্থ না হয় পড়লেন। অন্যধর্মের
ধর্মগ্রন্থ কেন পড়বেন? কারন আমাদের
সামাজিক জীবনে ধর্মের প্রভাব অনস্বীকার্য। ধর্ম আমাদের বিধান দেয়, ধর্ম আমাদের নৈতিকতার মানদণ্ড। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধর্ম
আমাদের জ্ঞানের উৎস। এটি কেবল কোনো একটি নির্দিষ্ট ধর্মগ্রন্থের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
নয়। আদতে সমস্ত ধর্মগ্রন্থের ক্ষেত্রেই সত্য। তাই প্রত্যেকের উচিত হবে অন্যান্য
ধর্মগ্রন্থগুলো গভীরভাবে অধ্যয়ন করা এবং সেখান থেকে জ্ঞান আহরণ করা।
জ্ঞানের উৎস হিসাবে ধর্মগ্রন্থঃ
আমাদের কারো কারো জীবনে ধর্মগ্রন্থের জ্ঞান
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। কেউ কেউ নিজের জীবনের কেবলমাত্র জ্ঞানের উৎস
হিসেবে মনে করে নিজের ধর্মগ্রন্থকে। নিজনিজ ধর্মগ্রন্থ অবশ্যই স্বর্গীয় জ্ঞানের
উৎস। তবে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই কখনো তুলনামূলক জ্ঞানের
উৎস হিসেবে বা কখনো প্রাচীন জ্ঞানের উৎস হিসেবে বা কখনো শুধুমাত্র জ্ঞানের উৎস
হিসেবে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলো পড়া উচিত।
নৈতিকতার মানদণ্ড হিসেবে ধর্মগ্রন্থঃ
আমাদের জ্ঞান আমাদের নৈতিকতার সাথে সম্পর্কিত। তাই
আমাদের ব্যক্তিগত নৈতিকতা বা সামাজিক নৈতিকতা ধর্মগ্রন্থের উপরে নির্ভরশীল। কোনো
কোনো নৈতিকতায় আমাদের সমাজ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে স্বাভাবিকভাবেই নৈতিক। যেমন-
খুন করা খারাপ, ধর্ষন করা
খারাপ, মিথ্যা বলা
ভালো না, এতীম-অসহায়কে
সাহায্য করা ইত্যাদি। তবে কিছু কিছু নৈতিকতার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা মানবজাতির
সম্মিলিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও
বিজ্ঞান থেকেও ধর্মগ্রন্থকে প্রাধান্য দেই। যেমন- ভ্রূণ হত্যা বিষয়ক সিদ্ধান্ত, সমকামিতা বিষয়ক সিদ্ধান্ত, বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি বিষয়ক সিদ্ধান্ত ইত্যাদি। তাই
নৈতিকতার অন্যান্য মানদণ্ডগুলো যাচাই করার জন্য অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলো পড়া উচিত।
জ্ঞান ও নৈতিকতার প্রাচীন উৎস হিসেবে ধর্মগ্রন্থঃ
হয়তো সেই ধর্ম আর কেউ মানে না। বা সেই ধর্মগ্রন্থ, ধর্মগ্রন্থ হিসেবে তার স্বর্গীয় গুরুত্ব হারিয়েছে।
কিন্তু জ্ঞান ও নৈতিকতার উৎস হিসেবে তার আসল গুরুত্ব হারায়নি। ধর্মগ্রন্থগুলোতে তা
থেকে যায়। যেমন এখনো লিখিত আইনের কথা বললে পৃথিবীর প্রথম লিখিত আইন 'হাম্মুরাবির অনুশাসন' সামনে চলে আসে। এখনো মহাকাব্য, মিথ, কল্পনা ও
বিশ্বাসের কথা বললে পৃথিবীর প্রথম লিখিত মহাকাব্য 'গিলগামেশ' এর উদাহরণ সামনে চলে আসে। ধর্মগ্রন্থের মতো সম্মান এরা
আর পায়না ঠিক। তবে জ্ঞান আর নৈতিকতার প্রাচীন জ্ঞানের উৎস হিসেবে এরা টিকে গেছে।
হয়তো মানবসভ্যতা যতদিন থাকবে এরা টিকে থাকবে। আগেকার জ্ঞান আর নৈতিকতা কেমন ছিলো, আমরা এখন কতোদূর এগিয়েছি, আর কি কি পদক্ষেপ নিলে আমরা আরো সামনে এগিয়ে যাবো, এসব সিদ্ধান্ত নিতে এখনো হাম্মুরাবির অনুশাসন আর
গিলগামেশ আমাদের সাহায্য করে।
ধর্মগ্রন্থের বিবর্তনের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
আগে ধর্ম, পরে ধর্মগ্রন্থ। ধর্মগ্রন্থগুলোতে মূলত ধর্মের বিধিনিষেধ
থাকে, বিভিন্ন
ধর্মীয় বিধিবিধান, ঈশ্বরের
প্রশংসা, নির্দিষ্ট
ধর্মের বাহিরে যারা থাকবে তাদের সম্পর্কে আলোচনা ইত্যাদি থাকে। কিন্তু শুরু থেকে
ধর্মগ্রন্থগুলোর আকার এরকম ছিলো না।
প্রথম পর্যায়ঃ
লিখিত ইতিহাসের প্রথম দিকে মানুষের ধর্মগ্রন্থ
বলতে কিছু ছিলো না। ছিলো ঈশ্বরের স্তুতিমূলক বাক্য। বাক্যগুলো কখনো ছিলো কবিতার
আকারে। কারন লেখার অসুবিধার কারনে সবার কাছে স্তুতিবাক্য সমানভাবে সহজলভ্য ছিলো
না। কবিতা মনে রাখা তুলনামূলক সহজ। কখনো সঙ্গীত আকারে বাঁধা হতো কবিতাগুলোকে। সুরে
ঈশ্বরের প্রশংসা মনে রাখা আরো সহজ। স্তুতিবাক্য কেবল এক ঈশ্বরের হতো না।
যেহেতু সমাজে বহু ঈশ্বরের অস্তিত্ব ছিলো, তাই বহু স্তুতিবাক্যেরও অস্তিত্ব ছিলো। একেক ঈশ্বর
একেকভাবে সন্তুষ্ট হতেন। ঈশ্বরের প্রতিমার কাছেই খোদাই করা থাকতো স্তুতিবাক্য। কপি
করা সহজ ছিলো না বলে স্তুতিবাক্য মুখস্ত রাখা হতো। এই রকম বিভিন্ন ঈশ্বরের
স্তুতিবাক্য ১ লাইন থেকে শুরু করে ১০০ লাইন পর্যন্ত হতে পারতো। তবে এই সময়কালের
উপাদানগুলো এখন একক বই আকারেই বাজারে পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ঃ
এই পর্যায়ে এই স্তুতিবাক্যগুলো একত্রিত করার কাজ
শুরু হয়। তার সাথে যুক্ত হয় আইনকানুন, বিধিবিধান, ইতিহাস, আদমশুমারি
থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে করনীয় পর্যন্ত। জন্ম থেকে মৃত্যু, তার মাঝখানে বিবাহ, শিক্ষা, আচার-অনুষ্ঠান, উৎসব, শাস্তি সব
বিষয়ে বিধান লিপিবদ্ধ হতে থাকে। মানষের দৈনন্দিন জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, সত্রুজাতি ও বিদেশীদের সাথে সম্পর্ক ইত্যাদি সব বিষয়ে
লিপিবদ্ধ হতে থাকে বিধান।
একজন মানুষের সারাজীবন কিভাবে কাটাবে সেই
দিকনির্দেশনা দিতে গিয়ে ধর্মগ্রন্থগুলো হয়ে পরে বেশ সমৃদ্ধ আকার। এই সময়ে
পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ আকারেও আসতে থাকে ধর্মগ্রন্থ। এই সময়ে ধর্মগ্রন্থের পবিত্রতা
জ্ঞান মানবসমাজে বৃদ্ধি পায়। ধর্ম ও নৈতিকতার একক উৎস হয়ে উঠে ধর্মগ্রন্থ। এই
সময়েই ধর্মগ্রন্থের বিশুদ্ধতা রক্ষার্থে এর বহুল পঠন ও প্রচার সীমিত করা হয় এবং
ধর্মগ্রন্থের অনুবাদকে অবিশুদ্ধ মাধ্যম হিসেবে দেখার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।
তৃতীয় পর্যায়ঃ
এই পর্যায়ে একই ধর্মগ্রন্থ ভিন্ন ভিন্ন ভাষায়
নাজিল হতে থাকে। এই সময়ে একই সাথে ধর্মগ্রন্থগুলো অনুবাদ হতে থাকে। জ্ঞানের উৎস
হিসেবে ধর্মগ্রন্থের নিত্যনতুন অনুবাদ আসতে থাকে। বিভিন্ন ভাষায় লোকেরা ধর্মগ্রন্থ
পড়ার সুযোগ লাভ করে। নিজেদের ভাষায় ধর্মগ্রন্থ পড়তে পারায় ধর্মগ্রন্থের সাথে
মানুষের সম্পর্ক আরো নিগুঢ় হয়। মানুষ আরো গভীরভাবে ধর্মগ্রন্থ উপলব্ধি করতে পারে।
ধর্মগ্রন্থের এই পর্যায়গুলোকে সময় দিয়ে আলাদা করা
প্রায় অসম্ভব। সব অঞ্চলে একসাথে এই পর্যায় গুলো আসেনি। সুমেরিয় অঞ্চলে প্রথম
পর্যায় আসে প্রায় ৪,০০০
খ্রিস্টপূর্বাব্দে, দ্বিতীয়
পর্যায় আসে প্রায় ৬০০ খ্রিস্টাব্দে। আবার আজটেক, মায়া সভ্যতায় প্রথম পর্যায় আসে ৫০০ খ্রিস্টাব্দে; দ্বিতীয় পর্যায় আসার আগেই সভ্যতা স্পেনিশদের হাতে
ধ্বংষপ্রাপ্ত হয়।
ধর্মগ্রন্থের তালিকা ও সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
প্রথম পর্যায়ঃ
প্রথম পর্যায়ের স্তুতিগুলোর বিভিন্ন সংকলন পাওয়া যায়।
প্রায় প্রতিটি সভ্যতারই স্তুতি ও প্রার্থনা এখন বিভিন্ন ভাষায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে
কোনোটাই বাংলায় পাওয়া যায় না। এই পর্যায়ের প্রার্থনাগুলো হচ্ছে-
১। সুমেরিয় প্রার্থনা (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ২২০০),
২। আক্কাদিয় প্রার্থনা (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ২০০০),
৩। ব্যবিলনিয় প্রার্থনা (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ৬০০),
৪। হিট্টিয় প্রার্থনা (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ৬০০),
৫। মিসরিয় প্রার্থনা (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ৫০০),
৬। নর্ডিক প্রার্থনা (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ১০০০
খ্রিস্টাব্দ),
৭। আজটেক প্রার্থনা (সময়কাল ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫০০
খ্রিস্টাব্দ),
৮। ইনকা প্রার্থনা (সময়কাল ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫০০
খ্রিস্টাব্দ),
৯। মায়া প্রার্থনা (সময়কাল ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫০০
খ্রিস্টাব্দ),
১০। শামান প্রার্থনা (সময়কাল ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮০০
খ্রিস্টাব্দ),
১১। ইনুইট প্রার্থনা (সময়কাল ১২০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯০০
খ্রিস্টাব্দ)।
দ্বিতীয় পর্যায়ঃ
এই পর্যায়ের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের তালিকা দেয়া হলো-
১। বেদ*, হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ৫০০)
২। জেন্দাবেস্তা, পারসিকদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ৫০০),
৩। তানাখ ও তালমুদ, ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ৫০০),
৪। ত্রিপিটক*, বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ৫০০),
৫। কনফুসিয় এনালেক্টস ও 'আই চিং', কনফুশিয়দের
ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০),
৬। তাও তে চিং* ও জুয়াংজি, তাওদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব
৫০০),
৭। আগামা সুত্ত, জৈনদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ থেকে
খ্রিস্টপূর্ব ৫০০),
৮। গিঞ্জা রাব্বা, সাবেইনদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ২০ থেকে ১০০
খ্রিস্টাব্দ)
৯। বাইবেল*, খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে
১২০ খ্রিস্টাব্দ),
১০। মানির সুসমাচার, মানিবাদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ২০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৩০০
খ্রিস্টাব্দ),
১১। কোরআন*, মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ৬১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৩৩
খ্রিস্টাব্দ),
১২। মিশেফা রেশ* ও কিতাব আল জিলওয়া*, ইয়াজিদিদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে
১১০০ খ্রিস্টাব্দ),
১৩। কিতাব আল সারাঞ্জাম, ইয়ারসানিদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ১১০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে
১২০০ খ্রিস্টাব্দ),
১৪। রাসায়েল আল হিকমাহ, দ্রুজদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৫০
খ্রিস্টাব্দ),
১৫। কোজিকি, ফুডোকি, রিক্কোকোশি, কুজিকি ও জিন্নো শোতোকি, শিন্টোদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ১৩০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে
১৯০০ খ্রিস্টাব্দ),
১৬। পাপাল ভো*, মায়াদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ),
১৭। গুরু গ্রন্থ সাহিব, শিখদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৫০
খ্রিস্টাব্দ),
তৃতীয় পর্যায়ঃ
এই পর্যায়ের ধর্মগ্রন্থের তালিকা দেয়া হলো-
১। কিতাব আল আকদাস, কিতাব আল ইকান, কিতাব আল বাদি, বায়ান, দ্যা হিডেন
ওয়ার্ডস এবং দ্যা সেভেন ভ্যালি, বাহা'ইদের ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯০০
খ্রিস্টাব্দ),
২। প্রেয়ার্স অব দ্যা হেভেনলি এন্ড আর্থলি ওয়ে ও দ্যা
নিউ ক্যানোনিকাল কোড, কাওদাই
ধর্মগ্রন্থ (সময়কাল ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ)
[নামের সাথে *
চিহ্ন দেয়া গ্রন্থগুলো বাংলায় পাওয়া যায়।]
No comments:
Post a Comment