৬১০ খ্রিস্টাব্দে মহানবী আরব বেদুইনদের মধ্যে ইসলাম ধর্ম প্রচার করা শুরু
করেন। মহানবী আরবের যে এলাকায় ধর্মপ্রচার শুরু করেন তাকে বলা হতো হেজাজ। পশ্চিমে
লোহিত সাগর আর পূর্বে আরবের দিগন্তবিস্তৃত মরুভূমি। এরমধ্যে হেজাজে কিছু শহর গড়ে
উঠলেও আরব বেদুইনদের সমাজব্যাবস্থা ছিলো গোত্রভিত্তিক। আরব উপদ্বীপের উত্তরদিকে
তৎকালীন বিশ্বের দুই পরাশক্তি সাম্রাজ্য- পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য (বাইজেন্টাইন) ও
সাসানিয় সাম্রাজ্য (পারস্য)।
উপদ্বীপের উত্তরে আরব ক্রিস্টিয়ানদের দুইটি রাজ্য ছিলো। একটি হলো ঘাসানিদ
রাজ্য, এটি বাইজেন্টাইনদের করদ রাজ্য ছিলো। ঘাসানিদদের রাজধানী ছিলো- জাবিয়াহ
(বর্তমানে তেল জাবিয়াহ, সিরিয়ার গোলান মালভূমির কাছে অবস্থিত)। আরেকটি হলো লাখমিদ
রাজ্য, এটি সাসানিয় সাম্রাজ্যের করদ ছিলো। এদের রাজধানী ছিলো- আল হিরা (বর্তমান
ইরাকের কুফা নগরী)। আরেকটি রাজ্য ছিলো মধ্য আরবের মরুভূমি জুড়ে- কিন্দাহ রাজ্য।
মহানবীর গোত্র ছিলো কুরাইশ। কুরাইশ হেজাজের অন্যতম প্রধান গোত্র ছিলো। হেজাজের
গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে ছিলো আরবদের তীর্থস্থান- মক্কা, তুলনামূলক সবুজ শহর
ইয়াস্রিব (মদিনা) এবং কুরাইশ গোত্রের প্রশাসনিক দপ্তর- তাইফ। মহানবীর ইসলাম ধর্ম
প্রচার তার নিজের গোত্র কুরাইশরা ভালোভাবে গ্রহন করেনি। ফলশ্রুতিতে মহানবী তার
অল্প কিছু অনুসারী নিয়ে ৬২২ সালে ইয়াস্রিব হিজরত করেন।
 |
৬০০ সালে আরব উপদ্বীপ |
মহানবী যখন ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন তখন আরব উপদ্বীপ ধর্ম বিষয়ে বহুধাবিভক্ত।
বহুইশ্বরবাদী আরব লোকায়ত ধর্ম বেশি থাকলেও, ইহুদি, খ্রিস্টিয়ান, জরথুস্ত্রবাদী,
মানিবাদি এবং হানাফি (আব্রাহামিক একেশ্বরবাদী) বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমান ছিলো।
মহানবী ইয়াস্রিবে (মদিনা) বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের লোকেদের সাথে নিয়ে একটি
রাজনৈতিক কাঠামো দাঁড়া করানোর চেষ্টা করেন। হেজাজ ও মধ্য আরবের অনেক গোত্র এই
রাজ্যব্যবস্থার সমর্থন করে, ফলত সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠে। ৬৩০ সালে মুসলমানরা মক্কা
ও তাইফ অধিকার করে।
মদিনাকেন্দ্রীক মুসলিম রাজ্যের সাথে ঘাসানিদ রাজ্য সংঘর্ষে জড়ায় মুতার যুদ্ধের
মাধ্যমে। এই যুদ্ধে বাইজেন্টাইনরা তাদের করদ রাজ্য ঘাসানিদদের সাহায্য করতে এগিয়ে
আসে। এই যুদ্ধের মাধ্যমেই খালিদ বিন ওয়ালিদ কুশলী সেনাপতি হিসেবে নিজের যোগ্যতা
প্রমান করেন। মুসলিমরা সরাসরি বাইজেন্টাইনদের মুখোমুখি হয় ইয়ারমুকের যুদ্ধে।
৬৩২ সালে মহানবীর মৃত্যু হলে আবু বকরের হাতে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়। এই
খিলাফতকে বলা হয় রাশিদিন খিলাফত। রাশিদিন খিলাফত টিকে থাকে ৬৬১ সাল পর্যন্ত। রাশিদিন
খিলাফতের সময় সাম্রাজ্য বিস্তার আরো জোরদার হয়। পারস্য এবং বাইজেন্টাইন উভয়
সাম্রাজে যুগপৎভাবে আক্রমন করা হয়। রাশিদিন খিলাফতের সীমান্তে থাকা বাইজেন্টাইন
অঞ্চল- সিরিয়া, জর্দান, লেবানন ও ফিলিস্তিনে মুসলিমরা প্রবেশ করে।
 |
মুসলিম সাম্রাজ্যের বিকাশ [গাঢ় লাল- মহানবীর সময়কাল, হালকা লাল- রাশিদিন খিলাফত, গাঢ় হলুদ- উমাইয়া খিলাফত] |
খলিফা আবু বকর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যকে চারটি আলাদা দিক থেকে আক্রমন করার জন্য
চারজন সেনাপতি প্রেরণ করেন- আবু উবাইদাহ, আমর ইবনুল আস, ইয়াজিদ বিন আবু সুফিয়ান
এবং শুরহাবিল বিন হাসানা। খলিফা উমরের সময়ে বাইজেন্টাইন অঞ্চলের সামরিক কমান্ডার
নিযুক্ত হন আবু উবাইদাহ। আর আবু উবাইদাহের মিলিটারি কাউন্সিলের প্রধান পরামর্শক হন
খালিদ বিন ওয়ালিদ। সেনাপতি আবু উবাইদাহ ধীর কিন্তু সর্বাত্মক আক্রমনে বিশ্বাস
করতেন।
৬৩৭ সালে সেনাপতি আবু উবাইদাহ এবং খালিদ বিন ওয়ালিদ আনাতোলিয়া প্রবেশ করেন,
বাইজেন্টাইনদের মুখোমুখি হন ‘লৌহসেতুর যুদ্ধে’। যুদ্ধে
বাইজেন্টাইনরা পরাজিত হয়। আনাতোলিয়ার বিজিত অঞ্চল রাশিদিন খিলাফতের সিরিয়া
প্রদেশের অন্তর্ভূক্ত হয়। ৬৩৯ সালে সিরিয়া প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হন মুয়াবিয়া
বিন আবু সুফিয়ান। মুয়াবিয়ার সময়ে আনাতোলিয়ায় আক্রমন জারি থাকে।
 |
৬৩৭-৩৮ সালে রাশিদিন খিলাফতের আনাতোলিয়া জয় |
বিজিত বাইজেন্টাইন এলাকার লেবানন এবং ফিলিস্তিনের পাশাপাশি মুসলিমরা পায়
ভূমধ্যসাগরে প্রবেশের সুযোগ। এসময় সিরিয়ার গভর্নর মুয়াবিয়া মুসলিমদের প্রথম
নৌবাহিনী গঠন করেন। নৌপথে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিভিন্ন শহর আক্রমনের পরিকল্পনা
করা হয়। এরকম একটি পরিকল্পনা নৌপথে বাইজেন্টাইন সাইপ্রাস আক্রমন খলিফা উমর অনুমোদন
দেননি। কিন্তু খলিফা উসমান মুয়াবিয়ার পরিকল্পনা পাশ করেন। ফলে মুসলিমরা জল ও স্থল
দুইভাবেই বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য আক্রমন করতে থাকে।
একেএকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের হাতছাড়া হয় সম্পূর্ণ আফ্রিকা অঞ্চল,
ভুমধ্যসাগরের গুরুত্বপূর্ণ গ্রীক দ্বীপ- সাইপ্রাস, ক্রিট, রোডস, ইতালির সিসিলি। ভূমধ্যসাগরে
খিলাফতের নৌবাহিনী ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। স্থলপথেও বাইজেন্টাইন
সাম্রাজ্যে অবরোধ চালু থাকে।
৬৫৪ সালে মুসলিম বাহিনী প্রথম বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী
কন্সট্যান্টিনোপোল অবরোধ করে। জল ও স্থল দুইদিকেই অবরোধ করে। কিন্তু অবরোধ ব্যর্থ
হয়। এরপর আরো একবার অবরোধের চেষ্টা করা হয় ৬৬৯ সালে। সেবারও ব্যর্থ হয়। এরপর করা
হয় ৬৭৪-৬৭৮ সালে। ৬৬১ সালে মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান উমাইয়া খিলাফত প্রতিষ্ঠা
করেন। খলিফা মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান অবরোধ নেতৃত্ব দেয়ার জন্য নিজের ছেলে
ইয়াজিদকে পাঠান।
মুয়াবিয়া সিরিয়ার গভর্নর থাকাকালীন সময়ে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কিছু সংস্কার
করেন। তার সময়ে সিরিয়া প্রদেশ একটি বহুভাষাভিত্তিক জনপদে পরিণত হয়। সিরিয়া উর্বর
জনপদ ও কর্মমুখর বন্দরের জন্য বিখ্যাত ছিলো। ক্ষমতাসীন আরবরা ছাড়াও সাম্রাজ্যের আফ্রিকা
ও পারস্য অঞ্চলের লোকেরা এখানে বসতি স্থাপন করে। এছাড়া বিভিন্ন ভাগের খ্রিস্টিয়ান,
ইহুদি, সাবিয়ান, কপ্টিক, ক্যালদিয়, আসিরিয়, গ্রীক, স্প্যানিশ, কাতালান ও ভেনিসিয়রা
সিরিয়া প্রদেশে বসতি স্থাপন করে। প্রশাসনিক কাজে উমাইয়া খিলাফত প্রশাসন মুসলিম ও
অমুসলিমদের মধ্যে বিভাজন করতেন না। ফলে অনেক যোগ্য অমুসলিম খিলাফতের অধীনে সরকারী
দায়িত্ব পালন করতে থাকে।
বারবার অবরোধের পরও কন্সট্যান্টিনোপোলের পতন হয়নি, তবে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য
চারপাশ থেকে সংকুচিত হয়ে আসে। একসময়কার পরাশক্তি পরিণত হয় আনাতোলিয়া ও বলকানের
আঞ্চলিক রাজ্যে। এদিকে রাশিদিন খিলাফতের সময়েই ‘খিলাফত সাম্রাজ্য’ তৎকালীন দুই পরাশক্তিকে পরাস্ত করে নিজেই পরাশক্তি হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে। কিন্তু
নিজেদের অন্তর্কোন্দল ও ক্ষমতার পালাবদলের কারণে খিলাফতের প্রভূত ক্ষতি সাধিত হয়।
রাশিদিন খিলাফতের শেষদিকে মুসলিমরা গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পরে। খলিফা উসমানের
হত্যাকাণ্ডের বিচারকে কেন্দ্র করে একপক্ষে খলিফা আলী ও অপরপক্ষে সিরিয়ার গভর্নর
মুয়াবিয়া ও মহানবীর স্ত্রী আয়শা যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। ৬৬১ সালে মুয়াবিয়া উমাইয়া
খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু উমাইয়ারা খুব বেশি দিন শাসন করতে পারেনি। উমাইয়াদের
উৎখাত করে ৭৫০ সালে আব্বাসিয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়। বাগদাদ-কেন্দ্রীক আব্বাসিয়
খিলাফতের পতন ঘটে ১২৫৮ সালে মঙ্গোলদের হাতে।
 |
আব্বাসিয় খিলাফতের ভাঙন ও পতন |
সুবিস্তৃত খিলাফত পরিচালনার জন্যে সাম্রাজ্যকে প্রদেশে ভাগ করা হয়। কিন্তু তুলনামূলক
দুর্বল খলিফাদের রাজত্বকালে প্রাদেশিক শাসনকর্তারা ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠতে
থাকে। খলিফা তখন একটি আলঙ্কারিক উপাধিতে পরিণত হয়, কার্যত প্রশাসনিক ক্ষমতা
খলিফাদের হাত থেকে আঞ্চলিক বিদ্রোহী নেতা বা প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের হাতে
হস্তান্তরিত হতে থাকে। শেষসময়ে খলিফার হাতে থাকে কেবল রাজধানী বাগদাদ শহর ও
হারামাইন অঞ্চল (হেজাজ- মক্কা ও মদিনাকে একত্রে হারামাইন বলা হয়)। খিলাফতের আইনত
অধীনস্ত অঞ্চলের রাজাদের জন্য খলিফার দরবারে নতুন পদবি তৈরী করা হয়- ‘আমির আল-উমারা’ বা আমিরদের আমির।
আব্বাসিয় খিলাফতের ‘আইনত অধীন’ কিন্তু ‘কার্যত স্বাধীন’ সাম্রাজ্যসমূহ
|
অঞ্চল
|
সাম্রাজ্য
|
মাগরিব (বর্তমান মরোক্কো)
|
ইদ্রিসিয় (৭৮৮-৯৭৪)
|
আলমোরাভিয় (১০৪০-১১৪৭)
|
আলমোহাদ (১১২০-১২৬৯)
|
মারিনিয় ও ওয়াত্তাসিয় (১৪৭২-১৫৫৪)
|
আফ্রিকা (বর্তমান তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও লিবিয়া)
|
আঘলাবিয় (৮০০-৯০৯)
|
ফাতেমিয় খিলাফত (৯০৯-৯৭৩)
|
যিরিয় (৯৭৩-১১৪৮)
|
আলমোহাদ (১১৪৮-১২২৯)
|
মিসর ও ফিলিস্তিন
|
তুলুনিয় (৮৬৮-৯০৫)
|
ইখশিদিয় (৯৩৫-৯৬৯)
|
ফাতেমিয় খিলাফত (৯০৯-১১৭১)
|
আইয়ুবিইয় (১১৭১-১২৫০)
|
আল জাজিরা (বর্তমান সিরিয়া ও ইরাক)
|
হামদানিয় (৮৯০-১০০৪)
|
মারওয়ানিয় (৯৯০-১০৮৫) ও উকাইলিয় (৯৯০-১০৯৬)
|
সেলজুক (১০৩৪-১১৯৪)
|
মঙ্গোল সাম্রাজ্য (১২৩১-১৩৩৫)
|
খুজেস্তান ও ফার্স (বর্তমান দক্ষিণ ও পশ্চিম ইরান)
|
বুয়িদ (৯৩৪-১০৫৫)
|
সেলজুক (১০৩৪-১১৯৪)
|
মঙ্গোল সাম্রাজ্য (১২৩১-১৩৩৫)
|
|
খোরাসান (বর্তমান পূর্ব ইরান, আফগানিস্তান ও
তুর্কমেনিস্তান)
|
তাহিরিয় (৮২১-৮৭৩) ও সাফারিয়ান (৮৭৩-৯০৩)
|
সামানিয় (৯০৩-৯৯৫) ও গজনবীয় (৯৯৫-১০৩৮)
|
ঘুরিয় (১০১১-১২১৫) ও সেলজুক (১০৩৮-১১৯৪)
|
খরেজম (১০৭৭-১২৩১)
|
ট্রান্সওক্সিয়ানা (বর্তমান মধ্য এশিয়া)
|
সামানিয় (৮১৯-৯৯৯)
|
কারাখানিদ (৮৪০-১২১২)
|
খরেজম (১০৭৭-১২৩১)
|
মঙ্গোল সাম্রাজ্য (১২৩১-১৩৩৫)
|
৭১৮ সাল থেকে ৮৬৩ সাল পর্যন্ত খিলাফত ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সীমানা
মোটামোটি স্থিতিশীল থাকে। ৮৬৩ সাল থেকে আব্বাসিয় খিলাফতের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার সুযোগ
নিয়ে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য আবার তার পুরোনো গৌরব ফিরে পাবার চেষ্টা করে। ইউরোপের
বলকান অঞ্চলে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য কিছু পুরোনো অঞ্চল দখলে নিতে সক্ষম হয়।
বাইজেন্টাইন সীমান্তে আব্বাসিয় বেশ কয়েকটি অভিযান বিফল হয়। ৮৬৩ সাল থেকে ১০৬৪
পর্যন্ত বাইজেন্টাইন-আব্বাসিয় সীমান্ত অস্থিতিশীল থাকলেও, সীমানা অপরিবর্তিত থাকে।
আব্বাসিয় খিলাফতের পতনের যুগে খোরাসানে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকে সেলজুকরা।
সেলজুক সাম্রাজ্য ‘ওগুজ তুর্ক’ গোত্রের সাম্রাজ্য। ১০৩৭
সালে খোরাসান অঞ্চলের নিশাপুর শহরকে রাজধানী করে তুঘরিল বে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা
করেন। তুর্করা তখনো যাযাবর পশুপালনকারী জাতি। পূর্বদিকে মঙ্গোলদের চাপে তারা ক্রমশ
পশ্চিমদিকে সরে আসতে থাকে।
 |
১০৮০ সালে সেলজুক সাম্রাজ্য |
১০৫৫ সালে আব্বাসিয় খিলাফত বুয়িদ সাম্রাজ্যের আয়ত্ত্বাধীন থাকে। বুয়িদদের
পরাজিত করে ১০৫৬-৫৭ সালে ফাতেমিয় খিলাফত বাগদাদের অধিকার নেয়ার চেষ্টা করে। আব্বাসিয়
খলিফা, সেলজুক সুলতান তুঘরিল বে’র সাহায্য প্রার্থনা
করলে, রাজধানীতে সেলজুকরা প্রবেশ করে। আব্বাসিয় খিলাফতের রাজধানী চলে যায়
সেলজুকদের প্রভাবে। আব্বাসিয়-বাইজেন্টাইন সীমান্তে সেলজুক সাম্রাজ্যের অধীনে ওঘুজ
তুর্করা বসতি স্থাপন করতে থাকে। সেলজুকদের সাথে বাইজেন্টাইন সংঘাত অনিবার্য হয়ে
উঠে। ১০৭১ সালে মাঞ্জিকার্তের যুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে আনাতোলিয়ার ক্ষমতার রাজনীতিতে
প্রবেশ করে সেলজুক সাম্রাজ্য।