অংশ ১
১. ঋণ করা কোনো বস্তু যখন ফেরত চাওয়া হয়, যদি তা ফেরত না দেয়া হয়, তাহলে সেটা যেনো কোনো মানুষের সম্পদ হরণ করা হলো। প্রত্যেক দিন এবং প্রত্যেক রাতের জন্য তার জবাব দিতে হবে, যতোদিন তার প্রতিবেশীর সম্পত্তি, তার নিজের কাছে, নিজের মতো থাকবে।
অংশ ২ক
২. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; হে আহুর মাজদা, এখানে কতো সংখ্যক চুক্তি আছে? আহুর মাজদা বললেন- তারা সংখ্যায় ছয়। প্রথমটি মৌখিক চুক্তি, দ্বিতীয়টি লিখিত চুক্তি, তৃতীয় চুক্তিটি একটি ভেড়ার মূল্যের সমান, চতুর্থ চুক্তিটি একটি ষাড়ের মূল্যের সমান, পঞ্চম চুক্তিটি একটি মানুষের মূল্যের সমান এবং ষষ্ঠ চুক্তিটি একটি জমির মূল্যের সমান। জমিটি উত্তম এবং একজন বিশ্বাষীর জমি।
অংশ ২খ
৩. যদি কোনো ব্যক্তি মৌখিক চুক্তি করে এবং তা পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়; সে তা পরিশোধ করবে, লিখিত চুক্তি দ্বারা। সে নতিস্বীকার করে বন্ধক রাখবে, লিখিত চুক্তি।
৪. লিখিত চুক্তি পরিশোধ করবে, ভেড়া-সমমূল্যের চুক্তি দ্বারা। সে নতিস্বীকার করে বন্ধক রাখবে, ভেড়া-সমমূল্যের চুক্তি। ভেড়া-সমমূল্যের চুক্তি পরিশোধ করবে, ষাড়-সমমূল্যের চুক্তি দ্বারা। সে নতিস্বীকার করে বন্ধক রাখবে, ষাড়-সমমূল্যের চুক্তি। ষাড়-সমমূল্যের চুক্তি পরিশোধ করবে, মানুষ-সমমূল্যের চুক্তি দ্বারা। সে নতিস্বীকার করে বন্ধক রাখবে, মানুষ-সমমূল্যের চুক্তি। মানুষ-সমমূল্যের চুক্তি পরিশোধ করবে, জমি-সমমূল্যের চুক্তি দ্বারা। সে নতিস্বীকার করে বন্ধক রাখবে, জমি-সমমূল্যের চুক্তি।
অংশ ২গ
৫. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি মৌখিক চুক্তি ভঙ্গ করে, তার পাপের সাথে কতোজন জড়িত হয়? আহুর মাজদা বললেন- তার পাপ, তার নবম উত্তর পুরুষ পর্যন্ত দায়ী করে, তিনশত বৎসরের প্রায়শ্চিত্তের জন্য।
৬. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি লিখিত চুক্তি ভঙ্গ করে, তার পাপের সাথে কতোজন জড়িত হয়? আহুর মাজদা বললেন- তার পাপ, তার নবম উত্তর পুরুষ পর্যন্ত দায়ী করে, ছয়শত বৎসরের প্রায়শ্চিত্তের জন্য।
৭. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি ভেড়া-সমমূল্যের চুক্তি ভঙ্গ করে, তার পাপের সাথে কতোজন জড়িত হয়? আহুর মাজদা বললেন- তার পাপ, তার নবম উত্তর পুরুষ পর্যন্ত দায়ী করে, সাতশত বৎসরের প্রায়শ্চিত্তের জন্য।
৮. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি ষাড়-সমমূল্যের চুক্তি ভঙ্গ করে, তার পাপের সাথে কতোজন জড়িত হয়? আহুর মাজদা বললেন- তার পাপ, তার নবম উত্তর পুরুষ পর্যন্ত দায়ী করে, আটশত বৎসরের প্রায়শ্চিত্তের জন্য।
৯. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি মানুষ-সমমূল্যের চুক্তি ভঙ্গ করে, তার পাপের সাথে কতোজন জড়িত হয়? আহুর মাজদা বললেন- তার পাপ, তার নবম উত্তর পুরুষ পর্যন্ত দায়ী করে, নয়শত বৎসরের প্রায়শ্চিত্তের জন্য।
১০. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি জমি-সমমূল্যের চুক্তি ভঙ্গ করে, তার পাপের সাথে কতোজন জড়িত হয়? আহুর মাজদা বললেন- তার পাপ, তার নবম উত্তর পুরুষ পর্যন্ত দায়ী করে, এক হাজার বৎসরের প্রায়শ্চিত্তের জন্য।
অংশ ২ঘ
১১. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি মৌখিক চুক্তি ভঙ্গ করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে তিনশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে তিনশত চাবুকের বাড়ি।
১২. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি লিখিত চুক্তি ভঙ্গ করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে ছয়শত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে ছয়শত চাবুকের বাড়ি।
১৩. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি ভেড়া-সমমূল্যের চুক্তি ভঙ্গ করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে সাতশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে সাতশত চাবুকের বাড়ি।
১৪. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি ষাড়-সমমূল্যের চুক্তি ভঙ্গ করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে আটশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে আটশত চাবুকের বাড়ি।
১৫. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি মানুষ-সমমূল্যের চুক্তি ভঙ্গ করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে নয়শত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে নয়শত চাবুকের বাড়ি।
১৬. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি জমি-সমমূল্যের চুক্তি ভঙ্গ করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে এক হাজার চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে এক হাজার চাবুকের বাড়ি।
অংশ ৩ক
১৭. যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে আঘাত করতে উদ্যত হয়, তবে সে একজন আগেরেপ্তা। যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে আঘাত করতে এগিয়ে যায়, তবে সে একজন আভাও-ইরিস্তা। যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে আঘাত করে, তবে সে একজন আরেদুশ। পরপর পাঁচ বার আরেদুশে দুষ্ট হলে, সে একজন পেশোয়তানু।
১৮. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি আগেরেপ্তায় দুষ্ট হয়, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে পাঁচ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে পাঁচ চাবুকের বাড়ি। দ্বিতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দশ চাবুকের বাড়ি। তৃতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে পনের চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে পনের চাবুকের বাড়ি।
১৯. চতুর্থ বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে ত্রিশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে ত্রিশ চাবুকের বাড়ি। পঞ্চম বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি। ষষ্ঠ বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে ষাট চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে ষাট চাবুকের বাড়ি। সপ্তম বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি।
২০. যদি কোনো ব্যক্তি, অষ্টম বারের মতো আগেরেপ্তায় দুষ্ট হয়, পূর্ববর্তী আগেরেপ্তাগুলোর জন্য প্রায়শ্চিত্ত না করেই, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
২১. যদি কোনো ব্যক্তি, আগেরেপ্তায় দুষ্ট হয় এবং প্রায়শ্চিত্ত করতে অগ্রাহ্য করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
২২. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি আভাও-ইরিস্তায় দুষ্ট হয়, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দশ চাবুকের বাড়ি। দ্বিতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে পনের চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে পনের চাবুকের বাড়ি।
২৩. তৃতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে ত্রিশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে ত্রিশ চাবুকের বাড়ি। চতুর্থ বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি। পঞ্চম বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি। ষষ্ঠ বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি।
২৪. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, সপ্তম বারের মতো আভাও-ইরিস্তায় দুষ্ট হয়, পূর্ববর্তী আভাও-ইরিস্তাগুলোর জন্য প্রায়শ্চিত্ত না করেই, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
২৫. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, আভাও-ইরিস্তায় দুষ্ট হয় এবং প্রায়শ্চিত্ত করতে অগ্রাহ্য করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
২৬. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি আরেদুশে দুষ্ট হয়, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে পনের চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে পনের চাবুকের বাড়ি।
২৭. দ্বিতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে ত্রিশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে ত্রিশ চাবুকের বাড়ি। তৃতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি। চতুর্থ বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি। পঞ্চম বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি।
২৮. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, ষষ্ঠ বারের মতো আরেদুশে দুষ্ট হয়, পূর্ববর্তী আরেদুশগুলোর জন্য প্রায়শ্চিত্ত না করেই, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
২৯. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, আরেদুশে দুষ্ট হয় এবং প্রায়শ্চিত্ত করতে অগ্রাহ্য করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
৩০. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, অপর কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রনাপূর্ণ আঘাত করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত?
৩১. আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে ত্রিশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে ত্রিশ চাবুকের বাড়ি। দ্বিতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি। তৃতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি। চতুর্থ বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি।
৩২. যদি কোনো ব্যক্তি, পঞ্চম বারের মতো এই ঘটনা ঘটায়, পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর জন্য প্রায়শ্চিত্ত না করেই, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
৩৩. যদি কোনো ব্যক্তি, এই ঘটনা ঘটায় এবং প্রায়শ্চিত্ত করতে অগ্রাহ্য করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
৩৪. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, অপর কোনো ব্যক্তিকে রক্ত বের করার জন্য আঘাত করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে পঞ্চাশ চাবুকের বাড়ি। দ্বিতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি। তৃতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি।
৩৫. যদি কোনো ব্যক্তি, চতুর্থ বারের মতো এই ঘটনা ঘটায়, পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর জন্য প্রায়শ্চিত্ত না করেই, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
৩৬. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, অপর কোনো ব্যক্তিকে রক্ত বের করার জন্য আঘাত করে এবং প্রায়শ্চিত্ত করতে অগ্রাহ্য করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
৩৭. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, অপর কোনো ব্যক্তিকে হাড় ভাঙার জন্য আঘাত করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে সত্তর চাবুকের বাড়ি। দ্বিতীয় বারের সময়, আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি।
৩৮. যদি কোনো ব্যক্তি, তৃতীয় বারের মতো এই ঘটনা ঘটায়, পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর জন্য প্রায়শ্চিত্ত না করেই, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
৩৯. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, অপর কোনো ব্যক্তিকে হাড় ভাঙার জন্য আঘাত করে এবং প্রায়শ্চিত্ত করতে অগ্রাহ্য করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
৪০. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, অপর কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করার জন্য আঘাত করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে নব্বই চাবুকের বাড়ি।
৪১. যদি কোনো ব্যক্তি, এই ঘটনা ঘটায়, পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর জন্য প্রায়শ্চিত্ত না করেই, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
৪২. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কোনো ব্যক্তি, অপর কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করার জন্য আঘাত করে এবং প্রায়শ্চিত্ত করতে অগ্রাহ্য করে, তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- সে একজন পেশোয়তানু। আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে দুইশত চাবুকের বাড়ি।
৪৩. এবং তারা সেই সময় থেকে শুরু করে হাটতে পারবে, পবিত্রতার রাস্তার উপরে, পবিত্রতার বাক্যের উপরে এবং পবিত্রতার আদেশের উপরে।
অংশ ২ঙ
৪৪. যদি একই বিশ্বাষের ব্যক্তিরা, বন্ধুই হোক কিংবা ভাই, পরস্পর কোনো চুক্তিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়, যে একজন অপরজনকে প্রদান করবে; কোনো বস্তু অথবা স্ত্রীলোক, অথবা জ্ঞান; যার বস্তু নেয়ার কথা, তাকে তার বস্তু নিতে দাও। যার স্ত্রীলোক নেয়ার কথা, তাকে তার প্রতিশ্রুত স্ত্রীলোকের সাথে বিয়ে দাও। যার জ্ঞান নেয়ার কথা, তাকে পবিত্র বাক্য সহ জ্ঞান শিক্ষা দাও।
৪৫. সে শিক্ষা গ্রহন করবে, দিনের প্রথম অংশ থেকে শুরু করে শেষ অংশ পর্যন্ত, রাতের প্রথম অংশ থেকে শুরু করে শেষ অংশ পর্যন্ত, যেনো তার মন জ্ঞানে পূর্ণ হয় এবং তার পবিত্রতার আলোকিত অংশ শক্তিশালী হয়। সুতরাং সে মাথা নত করবে, ধন্যবাদ দিবে এবং দেবতাদের নিকট প্রার্থনা করবে; যেনো তার জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পায়। সে বিশ্রাম নিবে, দিনের মধ্যবর্তী অংশে এবং রাতের মধ্যবর্তী অংশে, এবং সেটা সে অব্যহত রাখবে, যতোক্ষণ না পর্যন্ত সে সমস্তই বলতে পারবে, যেমনটা তার শিক্ষক তাকে শিখিয়েছেন।
অংশ ৩খ
৪৬. শপথ জলের এবং আগুনের আলোকচ্ছটার, হে স্পিতামা জরথুস্ত্র; যদি কেউ তার প্রতিবেশীর নিকট থেকে পশু বা পোষাক চুরি করে থাকে, তাহলে তাকে তা অস্বীকার করতে পারার মতো সাহসী হতে দিও না।
৪৭. বস্তুত, আমি তোমাকে বলি, হে স্পিতামা জরথুস্ত্র; যে ব্যক্তির স্ত্রী আছে সে, যে নিঃসন্তান তার নিকট থেকে দূরবর্তী। যে ব্যক্তির বাড়ি আছে সে, যে গৃহহীন তার নিকট থেকে দূরবর্তী। যে ব্যক্তির সন্তান আছে সে, যে নিঃসন্তান তার নিকট থেকে দূরবর্তী। যে ব্যক্তি ধনী সে, যার সম্পদ নেই তার নিকট থেকে দূরবর্তী।
৪৮. এবং দুই ব্যক্তির মধ্যে, সে নিজেকে মাংসে পূর্ণ করে, যে নিজেকে বহুমান্যের শুভসত্ত্বায় পূর্ণ করে। তার চেয়ে বেশি, যে করে না। বর্তমানই সব, কিন্তু তা মৃত। পূর্ববর্তীজন এগিয়ে থাকে, এক আসপারেনার মূল্যের সমপরিমান, একটি ভেড়ার মূল্যের সমপরিমান, একটি ষাড়ের মূল্যের সমপরিমান, একজন মানুষের মূল্যের সমপরিমান।
৪৯. এটি সেই ব্যক্তি, যে সংগ্রাম করে অস্ত-বিধৌতের আক্রমনের বিরুদ্ধে। যে সংগ্রাম করে ইশুস-হ্থাখতোর আক্রমনের বিরুদ্ধে। যে সংগ্রাম করে শীতের অশুভ শক্তিদের বিরুদ্ধে, পাতলা কাপড় পরিধান করে। যে সংগ্রাম করে অসৎ প্রজাপীড়ক শাসকের বিরুদ্ধে এবং আঘাত করে তার মাথায়। এটি সেই ব্যক্তি, যে সংগ্রাম করে অ-ঐশ্বরিক আশেমৌঘার বিরুদ্ধে, যে কখনোই খাদ্যগ্রহণ করে না।
(সংযুক্ত) ... প্রথম যখন কেউ শপথ ভঙ্গ করে, তার জন্য শাস্তি নির্ধারিত হয়ে যায়, দ্বিতীয়বার এই কাজ করার জন্য অপেক্ষা করার পূর্বেই।
৫০. সেখানে, নরকে, এই কাজের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত, তা পৃথিবীর যে কোনো শাস্তির চেয়ে বহুগুণে কঠিন। সেখানে পিতলের ছুরি দ্বারা, তার নশ্বর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হবে। তখন সেটা আরো অধিক খারাপ হবে, হবে না?
৫১. সেখানে, নরকে, এই কাজের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত, তা পৃথিবীর যে কোনো শাস্তির চেয়ে বহুগুণে কঠিন। সেখানে পিতলের পেরেক তার নশ্বর শরীরের নখের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া হবে। তখন সেটা আরো অধিক খারাপ হবে, হবে না?
৫২. সেখানে, নরকে, এই কাজের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত, তা পৃথিবীর যে কোনো শাস্তির চেয়ে বহুগুণে কঠিন। সেখানে তার নশ্বর শরীরকে, মাথা সামনে বাড়িয়ে দিয়ে জোরপূর্বক ফেলে দেয়া হবে, একশত মানুষের সমান উঁচু এমন স্থান থেকে। তখন সেটা আরো অধিক খারাপ হবে, হবে না?
৫৩. সেখানে, নরকে, এই কাজের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত, তা পৃথিবীর যে কোনো শাস্তির চেয়ে বহুগুণে কঠিন। সেখানে তার নশ্বর শরীরকে, জোরপূর্বক শূলে চড়ানো হবে। তখন সেটা আরো অধিক খারাপ হবে, হবে না?
৫৪. সেখানে, নরকে, এই কাজের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত, তা পৃথিবীর যে কোনো শাস্তির চেয়ে বহুগুণে কঠিন। তাকে শাস্তি দেয়া হবে- যে শপথ ভঙ্গ হয়ে গেছে, সে শপথ ভঙ্গ নিয়ে রসিকতা করার জন্য। যে ব্যক্তি জ্ঞাতসারে মিথ্যা বলে, তাকে সম্মুখীন করা হবে, রাশ্নুর সামনে; উপচে পরা সোনালী পাথর এবং সত্যজ্ঞ জলের সাথে। তাকে শাস্তি দেয়া হবে- মিথ্রার সাথে মিথ্যা বলার জন্য।
৫৫. হে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হে পবিত্রজন; যদি কেউ জ্ঞাতসারে মিথ্যা বলে, যাকে সম্মুখীন করা হলো, রাশ্নুর সামনে; উপচে পরা সোনালী পাথর এবং সত্যজ্ঞ জলের সাথে; এবং যে মিথ্যা বললো, মিথ্রার সাথে; তার জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত? আহুর মাজদা বললেন- আস্পাহে-অস্ত্রের মাধ্যমে সাতশত চাবুকের বাড়ি এবং স্রাওশা-করনের মাধ্যমে সাতশত চাবুকের বাড়ি।
[পাদটীকা সংযুক্তি
পদ ৪৮... বহুমান্য... শুভচিন্তার দেবতা, গবাদিপশুর প্রতিপালক।
পদ ৪৮... আসপারেনা... দিরহাম।
পদ ৪৯... অস্ত-বিধৌত... অস্থিচূর্ণকারী, অশুভ দেবতা। প্রত্যেকটি জীবিত প্রাণীর ঘাড়ে যে মৃত্যুর ফাঁস পরিয়ে রাখে।
পদ ৪৯... ইশুস-হ্থাখতো... মৃত্যুর স্বতশ্চল শর।
পদ ৪৯... আশেমৌঘা... মানুষের শুভচিন্তায় বিশৃঙ্খলা ঘটায় যে অশুভ দেবতা।
পদ ৫৪... রাশ্নু... সত্যের দেবতা।
পদ ৫৪... মিথ্রা... স্বর্গীয় আলোর দেবতা। ঈশ্বর আহুর মাজদার প্রধান সহকারী দেবতা।]
No comments:
Post a Comment