অনুকরণ করা খারাপ। কিন্তু যে অনুকরণ করলে আপনার উপকার হবে সে অনুকরণ করা মঙ্গলজনক। আমরা সাধারণত এমন বিষয়গুলোকে অনুকরণ করি যেগুলো খারাপ। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত আমরা খারাপ বিষয়গুলোকেই আত্মস্থ করি। এমনকি কতোটুকু অনুকরণ করবো তাও আমরা জানি না।
যেমন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। এখন সবাই গোপনে বা প্রকাশ্যে এটা স্বীকার করেন যে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের পরীক্ষার সিস্টেম খারাপ, আমাদের শিক্ষকের অবস্থা খারাপ, আমাদের প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, আমাদের মার্কিং করার সিস্টেম ত্রুটিপূর্ন। সর্বোপরি আমাদের শিক্ষার অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের ছাত্রদের অবস্থা খারাপ, আমাদের নেক্সট জেনারেশনের সামনে ভয়াবহ বিপদ। এটা সবাই দেখছেন, বুঝছেন, জানছেন; কেউ বলছেন, কেউ বলছেন না। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
আমাদের সামনে বেশ কিছু দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উদাহরণ আছে। যাদের আমরা গালভরে উন্নত বিশ্ব বলে ডাকি। উন্নত বিশ্বে এমন কি আছে, যা আমাদের নেই? তারা কেন উন্নত বিশ্ব? আমরা কেন উন্নত বিশ্ব নই?
আমাদের এখনকার প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা শুরু হয়েছিল বৃটিশ আমলে। আমাদের মেধা তৈরি করার জন্য বৃটিশরা শিক্ষাব্যবস্থা প্রদান করে নি। তাদের শিক্ষাব্যবস্থা প্রনয়নের মূল কারণ ছিলো কেরানি (ক্লার্ক) তৈরি করা। এ বিষয়ে তারা শতভাগ সফল। তারা আমাদের এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে খুব অনুগত এবং সংখ্যায় প্রচুর কেরানি তৈরি করতে পেরেছিল। এই কেরানিদেরই আধুনিক সংস্করণ বিভিন্ন প্রজাতির আমলারা। শিক্ষাব্যবস্থার ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বিচার করলে আসলে বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা লাইনেই আছে। কারণ এখান থেকে কোনো মেধা বের হচ্ছে না, বের হচ্ছে আমলা।
এতো কিছুর পরও কেউ কেউ বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত। তাদের এই চিন্তার কারণ এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে জাতি অগ্রসর হচ্ছে না। জাতি আগের সেই কলোনিয়াল উন্নয়নের মহাসড়কে আছে। তারা আলোচনা করছেন জাতির শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে। কেমন হবে শিক্ষার রূপরেখা? শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য কি প্রয়োজন?
আমাদের সামনে বেশ কিছু দেশের উদাহরণ আছে। যেমন-জাপান। জাপানের প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। জাপানের জনসংখ্যা বেশি। আমাদের মতোই প্রায়। রাজধানী টোকিও ওভার-পপুলেটেড, আমাদের রাজধানীর মতোই। তারপরও জাপান শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে। তারা মেধা তৈরী করছে। তারা বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্যের ছাত্র তৈরী করছে। বাণিজ্যকেও তারা পড়াশোনা বানিয়ে ফেলেছে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে জাপানকে অনুকরণ করতে পারি।
জাপান তার বাচ্চাদের নয় বছর পর্যন্ত কোনো বই বা ইলেকট্রিক গ্যাজেট পড়তে বা ধরতে দেয় না। এই সময় পর্যন্ত তারা তিনটি বিষয় শিখে। ১। ধন্যবাদ, ২। ম্যানার বা আচার এবং ৩। কালচার বা সংস্কৃতি। তাদের বাচ্চারা ৬ বছরের আগে স্কুল শুরু করতে পারে না। তাদের প্রাথমিক শিক্ষায় রোল নম্বর থাকে না। ফলে শিশুবয়সেই তাদের মধ্যে ১-২-৩ কোনো প্রতিযোগিতা শুরু হয় না। তারা বই এবং হোমওয়ার্ক দিয়ে বাচ্চাদের মাথা খারাপ করে ফেলে না। বাচ্চাকে যথেষ্ট পরিমান খেলতে দেয় এবং তার কোন বিষয়ে আগ্রহ সেটা জানার চেষ্টা করে। কখনোই তাকে সব বিষয়ের মাস্টার বানানোর চেষ্টা করে না।
কোনো সিস্টেম কোনো জাতির একক কোনো সম্পদ নয়। সমগ্র মানবজাতির সম্পদ। সে হিসাবে যদি কোনো বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে কোনো জাতি উপকৃত হয়, তাহলে সেটা অনুকরণ করা দোষের কিছু নয়। এখন আমরা যদি জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা অনুকরণ করি, আমরা কোন বিষয়গুলো অনুকরণ করবো?
জাপান তার বাচ্চাদের তাদের সংস্কৃতি শেখায়। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থার অনুকরন করতে গিয়ে দেখা গেলো আমরা তাদের সংস্কৃতিই আমাদের বাচ্চাদের শিখালাম। এমনটা ঠিক হবে না। আমরা আমাদের বাচ্চাদের শেখাবো আমাদের সংস্কৃতি। এটাই হবে নির্দোষ অনুকরণ।
আমরা কেবল আমাদের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই অনুকরণ করবো। আমরা কেবল উত্তম বিষয়গুলোই অনুকরণ করবো।
যেমন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। এখন সবাই গোপনে বা প্রকাশ্যে এটা স্বীকার করেন যে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের পরীক্ষার সিস্টেম খারাপ, আমাদের শিক্ষকের অবস্থা খারাপ, আমাদের প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, আমাদের মার্কিং করার সিস্টেম ত্রুটিপূর্ন। সর্বোপরি আমাদের শিক্ষার অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের ছাত্রদের অবস্থা খারাপ, আমাদের নেক্সট জেনারেশনের সামনে ভয়াবহ বিপদ। এটা সবাই দেখছেন, বুঝছেন, জানছেন; কেউ বলছেন, কেউ বলছেন না। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
আমাদের সামনে বেশ কিছু দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উদাহরণ আছে। যাদের আমরা গালভরে উন্নত বিশ্ব বলে ডাকি। উন্নত বিশ্বে এমন কি আছে, যা আমাদের নেই? তারা কেন উন্নত বিশ্ব? আমরা কেন উন্নত বিশ্ব নই?
আমাদের এখনকার প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা শুরু হয়েছিল বৃটিশ আমলে। আমাদের মেধা তৈরি করার জন্য বৃটিশরা শিক্ষাব্যবস্থা প্রদান করে নি। তাদের শিক্ষাব্যবস্থা প্রনয়নের মূল কারণ ছিলো কেরানি (ক্লার্ক) তৈরি করা। এ বিষয়ে তারা শতভাগ সফল। তারা আমাদের এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে খুব অনুগত এবং সংখ্যায় প্রচুর কেরানি তৈরি করতে পেরেছিল। এই কেরানিদেরই আধুনিক সংস্করণ বিভিন্ন প্রজাতির আমলারা। শিক্ষাব্যবস্থার ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বিচার করলে আসলে বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা লাইনেই আছে। কারণ এখান থেকে কোনো মেধা বের হচ্ছে না, বের হচ্ছে আমলা।
এতো কিছুর পরও কেউ কেউ বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত। তাদের এই চিন্তার কারণ এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে জাতি অগ্রসর হচ্ছে না। জাতি আগের সেই কলোনিয়াল উন্নয়নের মহাসড়কে আছে। তারা আলোচনা করছেন জাতির শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে। কেমন হবে শিক্ষার রূপরেখা? শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য কি প্রয়োজন?
আমাদের সামনে বেশ কিছু দেশের উদাহরণ আছে। যেমন-জাপান। জাপানের প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। জাপানের জনসংখ্যা বেশি। আমাদের মতোই প্রায়। রাজধানী টোকিও ওভার-পপুলেটেড, আমাদের রাজধানীর মতোই। তারপরও জাপান শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে। তারা মেধা তৈরী করছে। তারা বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্যের ছাত্র তৈরী করছে। বাণিজ্যকেও তারা পড়াশোনা বানিয়ে ফেলেছে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে জাপানকে অনুকরণ করতে পারি।
জাপান তার বাচ্চাদের নয় বছর পর্যন্ত কোনো বই বা ইলেকট্রিক গ্যাজেট পড়তে বা ধরতে দেয় না। এই সময় পর্যন্ত তারা তিনটি বিষয় শিখে। ১। ধন্যবাদ, ২। ম্যানার বা আচার এবং ৩। কালচার বা সংস্কৃতি। তাদের বাচ্চারা ৬ বছরের আগে স্কুল শুরু করতে পারে না। তাদের প্রাথমিক শিক্ষায় রোল নম্বর থাকে না। ফলে শিশুবয়সেই তাদের মধ্যে ১-২-৩ কোনো প্রতিযোগিতা শুরু হয় না। তারা বই এবং হোমওয়ার্ক দিয়ে বাচ্চাদের মাথা খারাপ করে ফেলে না। বাচ্চাকে যথেষ্ট পরিমান খেলতে দেয় এবং তার কোন বিষয়ে আগ্রহ সেটা জানার চেষ্টা করে। কখনোই তাকে সব বিষয়ের মাস্টার বানানোর চেষ্টা করে না।
কোনো সিস্টেম কোনো জাতির একক কোনো সম্পদ নয়। সমগ্র মানবজাতির সম্পদ। সে হিসাবে যদি কোনো বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে কোনো জাতি উপকৃত হয়, তাহলে সেটা অনুকরণ করা দোষের কিছু নয়। এখন আমরা যদি জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা অনুকরণ করি, আমরা কোন বিষয়গুলো অনুকরণ করবো?
জাপান তার বাচ্চাদের তাদের সংস্কৃতি শেখায়। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থার অনুকরন করতে গিয়ে দেখা গেলো আমরা তাদের সংস্কৃতিই আমাদের বাচ্চাদের শিখালাম। এমনটা ঠিক হবে না। আমরা আমাদের বাচ্চাদের শেখাবো আমাদের সংস্কৃতি। এটাই হবে নির্দোষ অনুকরণ।
আমরা কেবল আমাদের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই অনুকরণ করবো। আমরা কেবল উত্তম বিষয়গুলোই অনুকরণ করবো।
No comments:
Post a Comment