১ম মিথ:
মহাত্মা গান্ধী ইন্দিরা গান্ধীর স্বামীকে দত্তক নিয়েছিলেন।
মিথের উৎপত্তি: সাধারণ জনগন।
মিথের শিকার: সেসমস্ত অবুঝ হৃদয় যারা গুগলে সার্চ দিয়ে উইকিপিডিয়াতেও যেতে পারে না।
মিথের ভাষ্য: জওহারলাল নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী নেহেরু একবার ফিরোজ জাহাঙ্গীর খান নামক একজনের প্রেমে পরলেন, তাকে বিয়ে করতে চাইলেন। জওহারলাল নেহেরু এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। ইন্দিরা আর ফিরোজ, মহাত্মা গান্ধীর শরণাপন্ন হলেন। মহাত্মা গান্ধী জওহরলাল নেহেরুকে ডেকে বললেন- তুমি কি আমার ছেলের সাথে ইন্দিরার বিয়ে দেবে? ফিরোজই আমার ছেলে। আজ থেলে সে ফিরোজ গান্ধী। তারপর জওহরলাল নেহেরু রাজি হলেন। ফিরোজের সাথে ইন্দিরার বিয়ে হলো। ইন্দিরা হয়ে গেলেন ইন্দিরা গান্ধী।
মিথের সমাধান: ফিরোজ জাহাঙ্গীর কখনোই খান ছিলেন না। তার নাম 'ফিরোজ জাহাঙ্গীর গান্ধী'। তার পিতার নাম 'ফারেদুন জাহাঙ্গীর গান্ধী'। তারা কখনোই মুসলমান ছিলেন না। তারা ধর্মে পারসিক (পারসিকরা দ্বিঈশ্বরবাদী, প্রাচীন ইরানের রাজধর্ম)। গান্ধী একটি গুজরাটি বংশনাম। মহাত্মা গান্ধী ফিরোজ গান্ধীকে দত্তক নেন নাই। ইন্দিরার নামের সাথে গান্ধী লেগেছে, ফিরোজ গান্ধীর গান্ধী থেকে।
মহাত্মা গান্ধী ন্যাংটা হয়ে তরুণী মেয়েদের সাথে শুয়ে থাকতেন।
মিথের উৎপত্তি: আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ {বিজেপির আধ্যাত্মিক শাখা}) এবং বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি {আরএসএস এর রাজনৈতিক শাখা})।
মিথের শিকার: ভারতীয় ধর্মপ্রাণ সাধারণ জনগণ।
মিথের ভাষ্য: মহাত্মা গান্ধী জীবনের শেষ সময়ে ব্রহ্মচারী হয়ে যান। তিনি একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন, 'তলস্তয় আশ্রম' নামে। সেখানে নানান ধরনের অনৈতিক কাজ হতো। বুড়ো মহাত্মা গান্ধী ভুলিয়েভালিয়ে তরুণী মেয়েদের সাথে ন্যাংটা হয়ে শুয়ে থাকতেন। এছাড়াও শেষসময়ে তিনি কিছুটা 'গে' হয়ে গিয়েছিলেন।
মিথের সমাধান: যে লোক জীবনের মাঝবয়স থেকেই ন্যাংটি পরে থাকতেন, শীত-গ্রীষ্ম নির্বিশেষে ন্যাংটি পরতেন, ভারতের ভাইসরয় থেকে শুরু করে মেথরের সাথে দেখা করতেন ন্যাংটি পরে, এমনকি ইংল্যান্ডের রাজার সাথে দেখা করে এসেছেন ন্যাংটি পরে, তার ন্যাংটা হওয়ার কি দরকার? যে তরুণী মেয়েদের তার সাথে থাকার কথা বলা হয় তারা তার নাতনী। মহাত্মা গান্ধীর শেষ বয়সে সেবাশুশ্রূষা নেয়ার জন্য অন্যের সাহায্য দরকার হয়ে পরে। তার দুই নাতনী সবসময় তার সাথে থাকতেন। এটাকেই অস্ত্র বানিয়েছে আরএসএস ও বিজেপি।
জৈন ধর্মের প্রবর্তক 'মহাবীর বর্ধমান' দিগম্বর (পুরোপুরি ন্যাংটা) থাকতেন। একসময় তিনি তার শিষ্য পরিবেষ্টিত অবস্থায় শুয়ে ছিলেন। শুয়ে শুয়ে তিনি বলেন- 'যেনো দিগম্বর আমি শুয়ে থাকি মাতা ধরণীর গায়।' এই লাইনটাকে আরএসএস আর বিজেপি হাতে পেলে মহাবীরকে প্রথমে তারা ধর্ষণকারী বানাতো। তারপর সেখানে আসতো ইনসেস্ট। তারপর তাকে বানানো হত ধর্ষকামী, মর্ষকামী, গে, শিশুগামী, উভগামী, উভচর, কুমির, ডাইনোসর প্রভৃতি প্রভৃতি। মহাবীর বর্ধমানের সৌভাগ্য যে তিনি আরএসএস আর বিজেপির হাতে পরেন নাই।
No comments:
Post a Comment