বালিশ, পর্দা, পুকুর ট্রেনিং একের পর এক দুর্নীতির খবর বের হয়ে চলেছে। জনগণ কয়টা দুর্নীতির খবর মনে রাখবে, কয়টার বিপক্ষে কথা বলবে? জনতা আজ বিরক্ত। এরকম পরিস্থিতিতে কেউ যদি এগুলো দমানোর বিপরীতে বলে এগুলো ছিচকে চুরি, আমাদের কি করা উচিত? আমাদের উচিত সরকারী কর্মকর্তা আর ক্ষয়ে যাওয়া রাজনীতিবিদদের তাদের সীমা মনে করিয়ে দেয়া।
দুর্নীতি কমানোর জন্য এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় নাই। ধারাবাহিক দুর্নীতিগুলোও বন্ধের কোনো নমুনা নাই। রাস্তায় চাদা দিতে দিতে পরিবহন শ্রমিকরা ত্যাক্ত। জনপ্রতিনিধিদের বরাদ্দ বাজেটের ভাগ দিতে দিতে ঠিকাদাররা বিরক্ত। লোকজন ব্যাবসা করবে কেমনে?
দুর্নীতি অর্থাৎ জনতার হক নষ্ট করা, আল্লাহর দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় অপরাধ। বাংলাদেশের একেকজন দুর্নীতিবাজের হাতে যে পরিমান টাকা, তারচেয়ে অনেক কম টাকায় পাশের দেশ ভারত চন্দ্র অভিযান পরিচালনা করেছে। আমরা চন্দ্রে অভিযান না করি ঠিক, বাড়ির পাশের রাস্তাটা তো ঠিক করতে পারি, নতুন উদ্যোক্তাদের বিনাসুদে ঋণ দিয়ে তাদের উদ্যোগকে সম্প্রসারিত করতে পারি, মরণাপন্ন দুইজন কৃষককে ভর্তুকি দিতে পারি, দুইজন বিধবাকে সেলাই মেশিন কিনে দিতে পারি।
আমরা জানি না ঠিক কার টাকায় দুর্নীতি করা হচ্ছে? টাকাটা ভ্যাট-ট্যাক্সের মাধ্যমে সরকারের কাছে যায়, সরকার সেটা বাজেট করে, বন্টন করে। সেখান থেকে দুর্নীতি হয়। জনতার টাকার এই নিদারুণ অপচয় ঠেকাতে না পারলে জাতি হিসেবে আমাদের পতন অনিবার্য। জিডিপির ১০% গ্রোথের পরিসংখ্যানও এই পতন ঠেকাতে পারবেনা।
আমাদের এক হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। দুর্নীতি ঠেকাতে পারা এই শতকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও তার জনগনের জন্য একটা মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। আমাদের সন্তানকে, আমাদের পরের প্রজন্মকে একটা বাসযোগ্য বাংলাদেশ উপহার দিতে; দুর্নীতি বন্ধ করার কোনো বিকল্প নাই।
No comments:
Post a Comment