29 May 2016

ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনে আরবদের ভূমিকা

মানচিত্রঃ জর্দান, ইসরাইল ও ফিলিস্তিন।



সময়টা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন। অটোমান সাম্রাজ্য যুদ্ধে যোগদান করেছে। তখনকার অটোমান সাম্রাজ্যের আকার-আয়তন ছিলো বিশাল। একদিকে ছিলো ইরান আর রাশিয়া। অন্যদিকে মিসর। মাঝখানে ওমান, ইয়েমেন বাদে পুরো আরব উপদ্বীপ। অপরদিকে ইউরোপে তার সীমানা হাঙ্গেরী পর্যন্ত। এতো বড় ভূখণ্ড সরাসরি পরিচালনা করা কখনো কখনো সম্ভব ছিলো না। অটোমান সাম্রাজ্যে তাই জায়গীর প্রথা ছিলো। কেউ পাশা, কেউ আমির বা কেউ শরিফ হিসেবে, অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে নিজ নিজ এলাকা পরিচালনা করতেন। শুধু জুম্মার নামাজে খলিফার নাম নেয়া লাগতো, খলিফার নামে প্রচলিত মুদ্রা এলাকায় চলতো, আর বাৎসরিক সামান্য ট্যাক্স।

সেই সময়ে হেজাজ (মক্কা, মদিনা, জেদ্দা ও তায়েফ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা; বর্তমান সৌদি আরবের পশ্চিম পাশ) এর শরিফ ছিলেন- হাশেমি বংশের 'হুসাইন বিন আলি'। পার্শ্ববর্তী নাজদ (রিয়াদ, হাইল ও হাসা এবং তৎসংলগ্ন এলাকা; বর্তমান সৌদি আরবের পূর্ব পাশ) এর আমির ছিলেন- সৌদ গোত্রের 'আব্দুল আজিজ বিন সৌদ'। এদের দুজনের সাথেই বৃটিশ সরকারের ভালো সম্পর্ক ছিলো। এছাড়া সাম্রাজ্যের বাকি আরব অঞ্চলগুলো, যেমন- সিরিয়া, ইরাক, প্যালেস্টাইন, বৈরুত (বর্তমানে লেবানন) প্রাদেশিক গভর্নরের মাধ্যমে সরাসরি পরিচালনা করা হতো। জর্দান নামে সাম্রাজ্যে কোনো প্রদেশ ছিলো না।

যুদ্ধের মাঝখানে, ১৯১৬ যিশুসনে সাম্রাজ্যে শুরু হয়, 'আরব বিদ্রোহ'। হেজাজ ও নাজদ নিজেদের স্বাধীন রাজ্য দাবী করে। বৃটিশরা তাতে সমর্থন ও দেয়। দুই রাজ্যই বৃটিশদের সমর্থনে, অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করে। ১৯১৮ যিশুসনে যুদ্ধ শেষ হলে, সাম্রাজ্যের উপর নেমে আসে- 'সেভরেস চুক্তি'। সাম্রাজ্য তার আরব অঞ্চলগুলো সম্পূর্ণ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। জাতিপুঞ্জ (লীগ অব নেশন্স) হেজাজ ও নাজদ কে রাজ্য হিসেবে মেনে নেয় এবং বাকি আরব অঞ্চলগুলো ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পুঞ্জ এর নাম দেয় 'ম্যান্ডেট'। ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের 'সাইকোস-পিকো এগ্রিমেন্ট' মোতাবেক দাগ টানা হয়। ফ্রান্সের ম্যান্ডেট হয় সিরিয়া আর লেবানন। ইংল্যান্ডের ভাগে পরে ইরাক আর প্যালেস্টাইন। ['সেভরেস চুক্তি' ও 'সাইকোস-পিকো এগ্রিমেন্ট' নিয়ে গল্প জমা থাকলো।]

এরই মধ্যে ১৯১৭ যিশুসনে 'হিজ ম্যাজেস্টি ইংল্যান্ড সরকার' প্যালেস্টাইন অঞ্চলে 'ইহুদিদের জন্য একটি জাতীয় আবাস তৈরী' সংক্রান্ত ঘোষনা দেয়; বেলফোর ঘোষনা।

হুসাইন বিন আলি 

অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর হুসাইন বিন আলি, আব্দুল আজিজ বিন সৌদ এর চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন। একে তার বংশ হাশেমি, তার উপর তিনি মক্কা-মদিনার শাসনকর্তা। অপরদিকে সৌদ বংশ বেদুইন, রিয়াদ ও শহর হিসেবে গরিব। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যপারে বৃটিশ সরকার হুসাইন বিন আলি কে রাজি করান। তখন ১৯২০ যিশুসন। হুসাইন বিন আলি বৃটিশদের শর্তে রাজি হন। শর্ত ছিলো- হুসাইন বিন আলির তিন সন্তান, আলি, আবদুল্লাহ ও ফয়সাল; যথাক্রমে হেজাজ, প্যালেস্টাইন ও ইরাকের রাজত্ব পাবে। বিনিময়ে প্যালেস্টাইন অঞ্চলের ২৩% জমি তিনি ছেড়ে দিবেন, ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। বাকি ৭৭% জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হবে জর্দান রাজ্য। অর্থাৎ, প্যালেস্টাইন নামে কোনো দেশ থাকছেনা, থাকছে জর্দান আর ইসরাইল। তবে জেরুজালেম তিনি পুরোটা ছাড়তে রাজি না হওয়ায়, বৃটিশরা জেরুজালেমকে পূর্ব ও পশ্চিম দুই ভাগে ভাগ করে। পশ্চিম পাবে ইসরাইল আর পূর্ব নিবে জর্দান।

১৯২১ যিশুসনেই বৃটিশ ম্যান্ডেটের অধীনে ইরাকে ফয়সাল বিন হুসাইন এবং জর্দানে আবদুল্লাহ বিন হুসাইনকে রাজা হিসেবে বসিয়ে দেয়া হয়। ১৯২৪ যিশুসনে হুসাইন বিন আলিও হেজাজের রাজত্ব বড়পুত্র আলি বিন হুসাইনের হাতে ছেড়ে দেন।

আব্দুল আজিজ বিন সৌদ

শেষ পর্যন্ত হুসাইন বিন আলি এতো ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেন যে, ১৯২৪ যিশুসনে অটোমান সাম্রাজ্যের প্রকৃত ভগ্নাংশ 'তুরস্ক' খিলাফত পদ বিলুপ্ত করলে, হুসাইন বিন আলি নিজেকে খলিফা ঘোষনা করেন। নাজদ রাজ্য এতে নাখোশ হয়। হেজাজের রাজধানী মক্কা আক্রমণ করে নাজদের সেনাবাহিনী। ১৯২৫ যিশুসনের ১৯ ডিসেম্বর নাজদের সেনাবাহিনীর কাছে মক্কার পতন হয়। ১৯২৬ যিশুসনের ৮ জানুয়ারি আব্দুল আজিজ বিন সৌদ নিজেকে 'হেজাজ ও নাজদ এর রাজা' ঘোষনা দেন। ১৯৩২ যিশুসনে রাজ্যের নাম পাল্টিয়ে সৌদি আরব রাখা হয়।

ক্ষমতায় বসার পর জর্দানের রাজা আবদুল্লাহ বিন হুসাইন, ইহুদিদের জন্য জমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, শেষ হয়। জাতিপুঞ্জ ভেঙে যায়, জাতিসংঘ গঠিত হয়। জাতিসংঘ প্যালেস্টাইন অঞ্চলে সংঘাত ঠেকাতে, ইহুদি ও আরব দুই জাতির জন্য দুই দেশ গঠনের প্রস্তাব দেয়। জেরুজালেম থাকবে নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক শহর। প্রস্তাব জাতিসংঘে পাশ হয়। সে মোতাবেক ১৯৪৮ যিশুসনের ১৪ মে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু হয় আরব ইসরাইলের প্রথম যুদ্ধ। জর্দান, ইরাক, সিরিয়া ও মিসর একসাথে ইসরাইল আক্রমণ করে। জর্দান প্যালেস্টাইনের পশ্চিম তীর ও মিসর গাজা দখল করে নেয়। ইসরাইল এর প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শুরু হয়, প্যালেস্টাইনের জাতীয় বিপর্যয়। আবদুল্লাহ বিন হুসাইন পরবর্তীতে নিজেকে প্যালেস্টাইনের রাজা ঘোষনা দেন। ১৯৬৭ যিশুসনে আরব ইসরাইলের দ্বিতীয় যুদ্ধে ইসরাইল, জর্দানের কাছ থেকে পশ্চিম তীর, মিসরের কাছ থেকে গাজা ও সিনাই উপত্যকা এবং সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমি ছিনিয়ে নেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে সিনাই উপত্যকা মিসরকে ফিরিয়ে দিলেও, বাকি অঞ্চলগুলো ফিরিয়ে দেয় নি ইসরাইল।

এখনো শান্তি আসেনি প্যালেস্টাইনে, এখনো রক্তপাত থামেনি। প্যালেস্টাইনের আরবরা তাদের নিজেদের জন্য স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবী এবং সংগ্রাম করে আসছে বহুদিন যাবৎ। সর্বশেষ ২০১২ যিশুসনে, প্যালেস্টাইন জাতিসংঘের 'অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র' এর মর্যাদা পায়। ইসরাইলের ভাষ্যমতে, ইহুদি রাষ্ট্রের যে ডিজাইন বৃটিশ সরকার ও হুসাইন বিন আলি করেছিলো, তাতে পশ্চিম তীর ও গাজা তাদের অধিকারে থাকার কথা।

সমাপ্ত।।

তুমি তাদের নাম দিলে না


মজমপুর গ্রামের বাজারটি বেশি বড় নয়। ২৫-৩০ টি দোকান সবমিলিয়ে। চায়ের দোকানদারদের মধ্যে হানিফ সবচেয়ে ভালো চা বানায়। এখন সকাল আটটা। সব দোকান খোলা থাকার কথা। খোলা নেই। দোকান বন্ধ করে সবাই লাশ দেখতে গিয়েছে। হানিফ যেতে পারছেনা, তার দোকানে দু'জন কাস্টমার আছে। কাস্টমার দোকানে রেখে, লাশ দেখতে যাওয়া যায় না। কাস্টমার দু'জন চা আর সিগারেট খাচ্ছে। চা তারপর সিগারেট, তারপর আবার চা। হানিফ জিজ্ঞাসা করে,
- এ্যা তৌকিররা... যাবি না লাশ দেখতে...?
- লাশ দেহার কি আছে... জেতা থাকতেই ত মাগির দিক তাকাই নাই... কুত্তার পুটকির মতো চেয়ারা...
- ছিঃ... এমনে কওন লাগে না... সবতেরেই আল্লায় বানাইছে... কেউ ঢক, কেউ বেঢক...
- হ... অবজ্ঞার সুরে হ বলে সিগারেটে টান দিলো তৌকির। তার পাশে বসে বাবু। বাবুকে দেখে মনে হবে, ও চা খেতে ভয় পাচ্ছে। বেশিরভাগ সময় এরা দুজন একসাথে থাকে। লোকে এদের একসাথেই ডাকে, তৌকির-বাবু। বাবু মৃধা বাড়ির ছেলে। চেয়ারম্যান সোহরাব মৃধা ওর আপন চাচা। তবুও লোকজন জানে, বাবুর চেয়ে তৌকিরের বুদ্ধি বেশি। বাবু তৌকিরের কথায় চলে, লোকজনের বিশ্বাস। বাবুকে দেখে মনে হচ্ছে, ও রাতে ঘুমায়নি। হানিফ বাবুর দিকে ঘাড় নেড়ে বললো,
- কি রাইতে চুরি করতে গেছিলানি... ঘুমাওনাই... চোখ ভিত্তে গেছেগা...
- হ্যাহ... চমকে উঠে বাবু। - নাহ... ভালা ঘুম অয় নাই...  ক্যা...
- তুমি যাবানা লাশ দেখতে...
- নাহ...
- আহারে... মাইয়াডা... তোমরা না গেলে নাই, আমি যাইয়াম... চা খাইয়া ওডো... চা-বিরি মিলাইয়া ৩২ ট্যায়া, পরে দিও... তোমার খাতাত লেইখ্যা রাহি...

দোকান থেকে বের হয়ে তৌকির বাবুর দিকে তাকায়
- ভয় পাইছস...
- হ...
- ভয় পা... সমস্যা নাই। তুই যে ভয় পাইছস, মাইনসেরে বুঝাইস না... সন্দেহ করবো... সন্দেহ মারাত্মক ব্যারাম...
- হ...
- যা... বাইত গিয়া গোসো কইরা, ভাত খাইয়া ঘুম দে... বিয়ালব্যালা উইঠ্যা দেখবি সব ঠিক অইয়া গেসে... লাশ গইল্যা পানি... হা হা হা...
- হ... যাই... গেলাম...
- যা...

বাবু বাড়িতে এলো। গোসল করলো অনেকক্ষণ। ভাত খেলো শোল মাছ দিয়ে। মা জিজ্ঞাসা করলেন,
- রাইতে কই আছিলি?
- এ... তৌকিরের লগে... অগো বাইত্তে...
- রাইতে আর বাইরে থাকবিনা। রাইতে বাইত আইয়েনা বদ পুলাপান...
- আইচ্ছা...
ভাত খেয়ে বাবু ওর ঘরে গেলো ঘুমানোর জন্য। শুয়ে পরলো। দিনের বেলায় বাবুর ঘুম হয় না। কিন্তু তবু, ক্লান্ত শরীর। সোজা শুয়ে পরে। চোখের উপর একটা হাত তুলে দেয়। ঘুম আসেনা। মেয়েটার মুখ ভেসে ওঠে। মারা যাওয়ার আগে একবারও আল্লাহর নাম নিলোনা মেয়েটা। একবারও বললোনা মাগো, বাবাগো। একবার শুধু বলেছিলো- পানি। বাবু পাশ ফিরে শোয়। গ্রামে নিয়ম করে বিদ্যুৎ চলে যায়। এক ঘন্টা থাকে, এক ঘন্টা থাকেনা। সন্ধ্যার দিকে তৌকির বাবুদের বাসার সামনে এসে ডাক দেয়।
- এ্যা বাবু... বাইরা... ল, হাইট্যা আই...
তারা দুজন হানিফের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা খায়। সিগারেট খায় না। সন্ধ্যায় মুরুব্বীরা থাকে দোকানে। সিগারেট লুকিয়ে নিয়ে, হাটতে হাটতে খায়। আর বেশ কিছু দিন ধরে, ওরা নিয়ম করে একটা মেয়ের পিছু করে। মেয়েটা সাত্তারের। সাত্তার জমি চাষ করে। নিজের জমি নেই, মানুষের জমি চাষ করে; ভূমিহীন কৃষক। মেয়েটা ক্লাস নাইনে উঠেছে এবার। সন্ধ্যায় এখানে আসে টিউশনি করাতে। গ্রামের মধ্যেই। পাঠান বাড়িতে বাচ্চাদের পড়ায়, তারপর মাঝখানে বাজারর রেখে পনের মিনিট হেটে, গ্রামের আরেক মাথায় সাত্তারদের বাড়ি, দক্ষিণ পাড়ায়। হাটাপথে পনের মিনিটের রাস্তায়, সোহরাব মৃধার লেবু বাগান পরে রাস্তার একপাশে। সেটা তিন মিনিটের রাস্তা। হানিফের দোকানের সামনে দাঁড়ালে স্পষ্ট দেখা যায়, মেয়েটা বাজার পার হচ্ছে কিনা? তারপরের কাজ মেয়েটার পেছনে পেছনে যাওয়া। বাবুর পছন্দ মেয়েটার দুধ, ও রাস্তার আরেকপাশ ধরে, পাশাপাশি হাটতে চায়। তৌকির ওকে ফিসফিস করে ধমক দেয়।
- মাদারচোদ... সাইড দিয়া এক মিনিট আটলেইতো খবর অইয়া যাইবো সোরাব মিরদার ভাইস্তা মাইয়াগো দেহে... বেক্কেল বাইঞ্চোত কোনেকার... পিছে আয়।
- পিছেরতে কি দেহুম?
- গুয়া দেখ, খানকির পুলা... কি সুন্দর গুয়া... জিবনে দেখস? খেয়াল দিয়া দেখ...
- গুয়া দেহার কি আছে...
- গুয়াই ত মজা, মাদারচোদ... বিয়া ত করস নাই। বিয়া কর দেখবি দুধে কোনো মজা নাই, মজা সব গুয়ায়...
- হই... কি কস... আমারতে মনে অয় দুধই সুন্দর। দেখসস তুই, মাইয়াডার কি সুন্দর দুধ... মনে অয়, পর্তেক দিন একটু একটু কইরা বরো হইতাছে। একবার যদি ধইরা দেখতে পারতাম...
- হালা মাদারচোদ... দুধ ধরতে চায়... যাও দেবেনে চুইদা...
- একবার ধরুম দোস, একবার... বাস...
- একবার কিন্তুক, বেশি না... হা হা হা...
- খিক খিক খিক...

দক্ষিণ পাড়ায় মেয়েটার বাড়ির কাছাকাছি আসতে, ওরা পেছন ফেরে আবার হাটা দেয়। খুব জরুরী কাজ না পরে গেলে, এটা ওরা সপ্তাহে চার দিন করে। চারদিন মেয়েটা গ্রামের এই মাথায় আসে, বাচ্চাদের পড়াতে। বাবু আবার পাশ ফেরে শোয়।

হানিফের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলো বাবু আর তৌকির।
- এ তইকির, মাইয়াডারে একদিন আদর করতাম মন চায়...
- হেই মাদারচোদ, ক চুদতে মন চায়...
- না দোস... এই ধর, একটা চুমা খাইলাম, একটু দুধ হাতাইলাম...
- আর...
- আর কিছু না... শরম পায় বাবু। হাসে তৌকির,
- মাদার... চোদ...
বলে, - ধরিস একদিন। সুযোগ কইরা দিবোনে...
- কি কস, ক্যাম্নে... উত্তেজিত হয় বাবু।
- এতো উত্তেজিত হওনের কিছু অয় নাই। চুপ থাক...
- আইচ্ছা।

গতরাতে বাবুর কোনো দোষ ছিলোনা। এটা ঠিক, ও একবারই চুমু খেতে চেয়েছিল।  কিন্তু তৌকির এসে বললো,
- ল, আইজকা এট্টা এটেম লই।
- কিয়ের এটেম?
- তুই না চুমা খাইতে চাইলি...
- মাইয়া দিবো?
- দিবো না মানে... ঘারে একটা দিলে কামিছ খুইল্যা দিবো...
- হা হা হা...
- ল, আইজকাই...
- ক্যাম্নে?
- মিরদা চাচার বাগে আইলে, টান দিয়া ধরমু...
- এর পর...
- কমু, মাইয়া কই যাও... ভালোবাসা দিয়া যাও... হা হা হা...
- হা হা হা...
- ল...

তারপর লেবু বাগান পার হওয়ার সময়, মেয়েটা মাত্র একবার চিৎকার করেছিলো। সে চিৎকার কেউ শোনেনি, অথবা কেউ খুব আস্তে শুনেছে। কেউ টের পায়নি, অথবা কেউ খুব আস্তে টের পেয়েছে। মেয়েটার পরনে ছিলো অন্যকারো ব্যবহার করে দান করে, একটা সূতি কাপড়। খুব নরম কাপড়, টান দিতেই ছিঁড়ে যায়। কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিজ্ঞতা মেয়েটা একটুর জন্য পেলো না। বয়স কম, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। কাধে করে তৌকির মেয়েটাকে লেবু বাগানের প্রায় মাঝখানে নিয়ে আসে। পরনের কামিজ ছিঁড়ে ফেলে, সালোয়ার টেনে খুলে ফেলে, পুরো ওড়নাটা মুখের মধ্যে গুঁজে দেয়। এসব কাজে সাবধান থাকা ভালো। তারপর তাকিয়ে থাকে। বুভুক্ষুর মতো তাকিয়ে থাকে। এই শরীরটাকে কতোবার আড়চোখে দেখেছে! তারপর তৌকির মেয়েটাকে উলটে শোয়ায়।
- হেই বাল... রক্ত বাইরায়া গেসে...
- কি কস! এহন...
- এডি এট্টু হয়ই, পর্থম করলে রক্ত বাইরায়...
- অ... কিন্তুক তুই দিলি কই?
- গুয়ায়। আয়, আয়... তুই লাগা...

মেয়েটা গুঙিয়ে উঠে। ক ক করে গুঙিয়ে উঠে। তৌকির হাত চেপে ধরে।
- মাদারচোদ... তারতারি লাগা, আমি ধরছি। তুই লাগা...
মেয়েটা আগে থেকেই রক্তে ভিজে আছে। হাত-পা ছোড়াছুড়ির চেষ্টা করলে মুখ খামচে ধরে তৌকির। বাবু দুধে কামড় দেয়। উরূতে কামড় দেয়। উরূতে কামড়ালে মেয়েটা আর পা ছুড়তে পারবেনা। জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটা ছাড়া পাওয়ার জন্য সবটুকু শক্তি দেয়। এই জন্যই মেয়েটা আরো কিছু চড়-ঘুসি খায়, কামড় খায়। তৌকির-বাবু আচড়ে-কামড়ে দুর্বল করে নেয় প্রথমে। ইচ্ছেমতো কামড়ায়। কালকেই মেয়েটার বাবা সাত্তার, বিচার নিয়ে আসবে। মেয়েটা আঙুল তুলে দেখাবে- এ, ও। আজকেই যতোটা কামড়ানো যায়। ভাবতে ভাবতে কাধেও কামড় দেয় বাবু।

- অইছে তর!
- হ...
- এতো তাত্তারি...
- হুহ...
- খারা, আমি আরেকবার লাগাই...
- লাগা...

মেয়েটার কোমরের নিচে আর কোনো অনুভূতি নেই। কানে একটা কামড় দিয়েছিলো বাবু, সেটা ব্যথা করছে। চিৎকারও দেবে না মেয়েটা। নিঃশব্দে কাঁদছে। পরেরবার লাগানোর আগে তৌকির মেয়েটার মুখে কিছু চড় দিয়ে নিয়েছে।
- মাগি, গুয়া দেহাস... গুয়া। কাইলকা পুলাপানরে পরাবি, তকিরের সুনার কতো ক্ষমতা...
মেয়েটা বলে- পানি...
- পানি তর গুয়ার মইদ্যে ঢাইল্যা দিতাছি মাগি, ল...
বাবু হাসে- হ্যা হ্যা হ্যা...

মেয়েটা ওভাবেই পরে ছিলো। চার পা হেটে গিয়ে, বাবু প্রথম কথা বলে,
- কাইলকাই বিচার লইয়া আইবো মাগিডা...
- হ, তর সমস্যা কি? তর চাচা চেয়ারম্যান... বাপের ট্যায়া আছে, জরিমানা দিবি... বিয়াও করস নাই, মজলিশ বেশি জোর করলে, বিয়াও কইরা লাবি...
- হেই খানকির পুলা, এই মাগিরে আমি বিয়া করুম না...এই মাত্র তুইওতো লাগাইলি মাগিডারে...
- খিক খিক খিক...
- হাসিস না... মায় কইছে, বাইত বিচার যাওন যাইতো না।
- খারা তাইলে।
- কি?
- খারা...

আবার পিছিয়ে গিয়ে, মেয়েটার গলা চেপে ধরে তৌকির।
- তুই ঠ্যাং ধর, মাদারচোদ...
হাত-পায়ের ছোড়াছুড়ি বন্ধ হওয়ার পরও কিছুক্ষণ গলা চেপে ধরে রাখে তৌকির।
- কইস না... মাগিগো ঢং... হুমাশ বন্ধ কইরা মরার মতো পইরা থাহে। ছাইরা দূরে গেলে দেখবি,  উইঠ্যা দউর দিসে... রিক্স না নেওনই ভালা...
- হ, রিক্স নিস না... খানকি-মাগি... এহন মনে অয় মরসে।
- খারা এট্টা ডাইল্লা ল...
- ডাইল্লা ক্যা?
- লচ্চা আগে...

ডাল দিয়ে কিছুক্ষণ মাথায়, মুখে, চেহারায় আঘাত করে তৌকির আর বাবু। যাতে হুট করে দেখে না বোঝা যায়, এটা সাত্তারের মেয়ে। হেটে লেবু বাগান থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠে সিগারেট ধরায় তৌকির।
- হুন, একদম ঠাণ্ডা, একদম চুপ, কোনো কতা কবিনা... তুই কয়দিনের লেইগ্যা এক্কারে চুপ যাবি... আমরা আগের মতোই হানিফের দোকানে যামু, চা খামু, রাস্তায় হাটমু, গল্প করমু...বুঝসস?
- ধরা খাইলে...
- হেই চুতমারানির পুলা... ধরা খামু ক্যা? কে কইবো... কোনো সাক্ষী আছে?
- ল, কয়দিন দূরে কোনোহানে যাইগা...
- না। পলান যাইবো না। পলাইলে সন্দেহ করবো... তুই মনে কর, কিচ্ছু অয় নাই...
- আইচ্ছা...
- আইচ্ছা না মাদারচোদ... কিচ্ছু অয় নাই, ল... চাচার কাছে যাই...
- চাচার কাছে ক্যা?
- তুই এক্কারে চুপ। আমি কতা কমু। তুই আমার লগে ল...তর চাচা, আমি বুঝামু।
বাবু আবার পাশ ফেরে।

হানিফ লাশ দেখার জন্য লেবু বাগানের ভেতরে ঢুকে। লাশ এখনো সরানো হয়নি। নাড়ানোও হয়নি। শুধু উপরে একটা কাপড় দেয়া হয়েছে। ভিড় ঠেলে লাশের মুখটা দেখে হানিফ। পুলিশ সব তদন্ত করছে। আলামত সংগ্রহ করে তারপর লাশ সরাবে পুলিশ। ময়নাতদন্ত হবে, শক্তিশালী কেইস হবে। আইনের চোখে সবাই সমান। অপরাধী যেই হোক, আইনের হাত থেকে সে বাচতে পারবেনা। বঙ্গোপসাগরের সত্তর হাত পানির নিচ থেকে ধরে এনে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। মেয়েটার মা ইতিমধ্যে ফিট খেয়েছেন। বাবা বিলাপ করছেন। মা... মারে... মা...। ছোটো ভাই একপাশে দাঁড়িয়ে। হানিফ তার মাথায় হাত বুলায়।
- কি রে...
- লক্ত...
- হ হ রক্ত...
বাবা বিলাপ করছেন। মা... মারে... মা... মারে... মা...। মা ফিট খাচ্ছেন, মুখে পানি দেয়া হচ্ছে, উঠে আবার ফিট খাচ্ছেন। বাবা চিৎকার করে বিলাপ করছেন, মা... মারে... কই গেলি... মা...তুই না ডাক্তর অবি... মা...কই তুই...।
বাবু আবার পাশ ফেরে শোয়।

ঘটনাটা যেহেতু সোহরাব মৃধার বাগানে ঘটেছে, এবং সে একই সাথে এই গ্রামের চেয়ারম্যান, তার একটা দায়িত্ব আছে। থানার ওসি সাহেবও এসেছেন। তারা সাইডে কথা বলছেন।
- ঘটনাটা আপনার পোলাপান ঘটাইছে?
- ছিঃ, ওসি সাব কি কন? জিহ্বায় কামড় দেন সোহরাব মৃধা। - আমার তিন মাইয়া, আল্লায় দিলে তিনডারেই বিয়া দিসি। জামাইয়ের ঘর করতাছে। নাতি-নাইতকুর আছে...
- হুম্মম... মানে আপনার পার্টির পোলাপান?
- আমিতো গত ১৬ বচ্ছর চেয়ারম্যান। জিগান কাউরে পার্টির গরম দেহাইছি নাকি? জিগান... আম্নেতো গত দের বচ্ছর। দেখছেন আমার গেরামে কোনো কেরাইম?!
- না। তা নাই। কিন্তু লোকজন...
- লোকজন আমি দেহুমনে ওসি সাব... সাত্তার গরিব মানু... ও আমার পার্টিই করে। অরে দশ হাজার ট্যায়া দিয়া দিমুনে... আর কি কমু, মাইয়াডাও ভালা না... রাত-বিরাইতে... বাজারের মইদ্যে দিয়া... বোঝেনইত... জুয়ান পুলাপানের মাতা ঠিক থাহে?! জমানা খারাপ...
- হুম্মম...
- লন আমার বারিত লন... রইদে কষ্ট অইতাছে। এট্টু চা-পানি খাইয়া আবার রওনা দেওন লাগবো। কত্ত কাম আম্নেগো...
- হ, তা ঠিক।
- লন ওসি সাব...
- আর আপনে কিন্তু গ্রামের মধ্যে সন্দেহজনক কিছু দেখলে, সাথে সাথে আমারে ইনফর্ম করবেন।
- তাতো অবশ্যই, ওসি সাব। অপরাধীরে শাস্তি পাইতেই অইবো। আম্নে খালি চার্জশিটে একবার ছোট্ট কইরা উল্লেখ করবেন, মাইয়াডা ভালা ছিলো না... রাত-বিরাইতে বাজারে... বোঝেনইতো...
- লাইনে আসেন। কতো?
- ওসি সাব, পঞ্চাশ।
- হেই মিয়া, পঞ্চাশে এডি হয়? রেইপ, তারপর খুন, মাথাডা দেখেন, থ্যাতলায়া গেসে। ইস মাগো... চার।
- চাইর অনেক, ওসি সাব। আমি গরিব মানুষ... দুই দেই?
- আচ্ছা, তিন রেডি রাইখেন। কালকে সন্ধ্যায় আমি হারুনরে পাঠায়া দিবোনে।
- জি ওসি সাব। এহন লন। চা জুরায়া গেলো...

মেয়েটার মা এখনো ফিট খাচ্ছেন। বাবা এখনো মেয়ের কাপড়ের টুকরো বুকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন, মা মাগো মা... কই গেলি মা...। লোকজন বলছে, আহারে, বড় ভালো মেয়ে ছিলো... হানিফও বললো, আহা রে...।
বাবু আবার পাশ ফিরে শোয়। বাবুর ঘুম আসছে না।

সমাপ্ত।।

কার্যত স্বাধীন রাষ্ট্রঃ ফিলিস্তিন



ফিলিস্তিন মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত নভেম্বর ১৫, ১৯৮৮ যিশুসনে ‘ফিলিস্তিন জাতীয় কর্তৃপক্ষ’ পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে; আলজেরিয়া থেকে তাদের স্বাধীনতা ঘোষনা করে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দুইটি অংশ- পশ্চিম তীর এবং গাজা। ২০১২ যিশুসনে রাষ্ট্রটি জাতিসংঘের ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ এর মর্যাদা পায়।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
আজকের ফিলিস্তিনের দূর্ভাগ্যের ইতিহাসের শুরু ১৯৪৮ যিশুসনে। এই সনে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে যায় ফিলিস্তিনের নাম, তার স্থানে জায়গা করে নেয় ইসরাইল। ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইহুদীরা আগে থেকে থাকলেও, তাদের জন্য আলাদা কোনো রাষ্ট্র ছিলোনা। প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিলিস্তিনে মানববসতির নিদর্শন পাওয়া যায়। প্রাচীন ফিনিশিয় সভ্যতার কয়েকটি শহর ফিলিস্তিন অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, এই অঞ্চল বেশ অগ্রসর ছিলো।  প্রাচীন সুমেরিয়-আশিরিয়-ব্যাবলনীয় সভ্যতা, প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতা এবং প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার যাতায়াত ছিলো এই অঞ্চলে। প্রাচীন ইসরাইল এবং জুদেয়া রাজ্যের অবস্থানও ছিলো এই ভূখণ্ডে। ৫৮৬ যিশুপূর্বসনে ব্যাবিলনের সম্রাট নেবুখদ-নেজার এই ভূখণ্ড দখল করে নেন। আলেকজান্ডার এই ভূখণ্ডের উপর দিয়ে তার সেনাপতিকে মিসর পাঠান, ৩৩০ যিশুপূর্বসনে। ৬৩ যিশুপূর্বসনে এই অঞ্চল রোমান সাম্রাজ্যের দখলে চলে যায়। ৬৩৬ যিশুসনে তৎকালীন মুসলিম সাম্রাজ্য এই অঞ্চলটিকে দখল করে নেয়। শেষ পর্যন্ত, ১৫১৬ যিশুসনে এই ভূখণ্ডের দখল চলে যায়, অটোমান তুর্কীদের হাতে। তখন এটি বৃহত্তর সিরিয়া প্রদেশের অংশ ছিলো। আরব উপদ্বীপে মুসলিম ভিন্ন অন্য ধর্মের লোকেদের না থাকতে পারার আইন চালু হবার পর, সংখ্যালঘু ইহুদীরা সরে ফিলিস্তিন এবং খ্রিস্টিয়ানরা সরে লেবাননে চলে আসে। অর্থাৎ সাম্রাজ্যের সীমানাবর্তী প্রদেশগুলোতে চলে আসে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে অটোমান সাম্রাজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। ইংল্যান্ড সরকার অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ‘বেলফোর ঘোষনা’ জারী করে ১৯১৭ যিশুসনে। এই ঘোষনায়- ফিলিস্তিন অঞ্চলে ‘ইহুদীদের জন্য একটি জাতীয় আবাস তৈরী’ বিষয়ক অঙ্গীকার ছিলো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে, ১৯২২ যিশুসনে, অটোমান সাম্রাজ্যের আরব অঞ্চলগুলো ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। সিরিয়া এবং লেবানন ফ্রান্সের ভাগে পরে। ফিলিস্তিন এবং জর্দান, ট্রান্স-জর্দান নামে ইংল্যান্ডের ভাগে পরে। ১৯২২ যিশুসনের আদমশুমারী অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের জনসংখ্যা ছিলো- ৭,৫৭,০০০ জন। এর মধ্যে ৭৮% মুসলিম, ১১% ইহুদী, ১০% খ্রিস্টিয়ান এবং ১% দ্রুজ, সামারাতিয় এবং অন্যান্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে প্রচুর ইহুদী, ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে পাড়ি জমায়। বৃটিশরা এই ভূখণ্ডে ইহুদীদের জন্য একটি রাষ্ট্র তৈরীতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলো, জার্মানীর ইহুদী গণহত্যা সেটি ত্বরান্বিত করে

নভেম্বর ২৯, ১৯৪৭ যিশুসনে, জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশন; ফিলিস্তিন অঞ্চলে, আরব এবং ইহুদীদের জন্য, দুইটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের সপক্ষে বিল পাশ করে। সেই হিসাবে, মে ১৪, ১৯৪৮ যিশুসনে ফিলিস্তিনের বুকে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, শুরু হয় ফিলিস্তিনিদের জাতীয় বিপর্যয়প্রায় ৭ লক্ষ ফিলিস্তিনি নিজ দেশে উদ্বাস্তু হয়ে পরে। শুরু হয় আরব-ইসরাইলের প্রথম যুদ্ধ। যুদ্ধে জর্দান ফিলিস্তিন অঞ্চলের পশ্চিম তীর দখল করে, মিসর দখল করে গাজা অঞ্চল। ১৯৬৭ যিশুসনের আরব-ইসরাইলের দ্বিতীয় যুদ্ধে, ইসরাইল পশ্চিম তীর ও গাজা দখল করে নেয়। গঠিত হয়, ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা (প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন- পিএলও) ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে শুরু হয়, গণজাগরণ আন্দোলন- ইন্তিফাদা। প্রথম ইন্তিফাদার সময়কাল ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৩ যিশুসন। ১৯৯৩ যিশুসনে অসলোতে শান্তিচুক্তি হয়। ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি জাতীয় কর্তৃপক্ষকে স্বীকার করে নেয় ইসরাইল, ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে, ‘ফিলিস্তিন জাতীয় কর্তৃপক্ষ’ (প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল অথরিটি- পিএনএ)।

পশ্চিম তীর এবং গাজার ফিলিস্তিনি অধুষ্যিত এলাকাগুলো জাতীয় কর্তৃপক্ষের অধীন প্রশাসনের হাতে হস্তান্তর করলেও, এই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরোধীতা করে ইসরাইল। নভেম্বর ১৫, ১৯৮৮ যিশুসনে ফিলিস্তিন জাতীয় কর্তৃপক্ষ, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষনা করে। ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। ফলস্বরূপ ২০০০ থেকে ২০০৫ যিশুসন পর্যন্ত চলে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা। সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১১ যিশুসনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তির ব্যাপারে আবেদন করে। আমেরিকার ভেটো এবং প্রবল বিরোধীতা সত্ত্বেও, নভেম্বর ২৯, ২০১২ যিশুসনে, ফিলিস্তিন একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে, জাতিসংঘের ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ এর মর্যাদা পায়।

ভূগোল ও পরিবেশঃ
মাঝখানে ইসরাইল দ্বারা সম্পূর্ণ বিভক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দুইটি আলাদা অংশ, পশ্চিম তীর ও গাজা। ফিলিস্তিনের আয়তন ৬,০৩১ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে পশ্চিম তীর ৫,৬৭১ বর্গ কিলোমিটার এবং গাজা ৩৬০ বর্গ কিলোমিটার। পশ্চিম তীর সম্পূর্ণ ভূমিবেষ্টিত। এর পূর্বে জর্দান, বাকী তিন দিকে ইসরাইল। পশ্চিম তীর নামকরন হয়েছে মূলত মৃত-সাগর থেকে। মৃত সাগরের পূর্ব পাশে জর্দানকে বলা হতো পূর্ব তীর আর পশ্চিম পাশের ফিলিস্তিনকে বলা হতো পশ্চিম তীর।

গাজা অংশের পশ্চিম পাশে ভূমধ্যসাগর। পশ্চিম দিকে মিসরের সাথে সামান্য ভূমি সংযোগ বাদ দিলে বাকীটুকু ইসরাইলের সাথে সীমানা। সমুদ্রের তীরে হওয়ায় গাজা, পশ্চিম তীরের চেয়ে বেশি উর্বর। এছাড়া, পুরো ফিলিস্তিন ভূখণ্ডই ভূমধ্যসাগরীয় আবহাওয়ার মধ্যে পরেছে।

‘মৃত সাগর’হ্রদ হিসেবে ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় জলাশয় এবং বৃহত্তম পানির উৎস। এছাড়া, ‘জর্দান নদী’ সবচেয়ে বড় নদী। ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ বিন্দু, নবী ইউনুস পর্বত, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,০৩০ মিটার বা ৩,৩৭৯ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। পশ্চিম তীরের ভূমি আধা-পাথুরে। প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে পশ্চিম তীরে ম্যাগনেসিয়াম, ব্রোমিন ও পটাশ এবং গাজার সমুদ্র সীমানায় প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে বনভূমির পরিমান অতি সামান্য।

জনসংখ্যাঃ
নৃতাত্ত্বিকভাবে ফিলিস্তিনিরা আরব জাতিভুক্ত। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মোট ৯১.২% ফিলিস্তিনি আরব এবং ৮.৮% ইহুদী রয়েছে। ইহুদীদের বাস মূলত পূর্ব জেরুজালেম এলাকায়। ভাষার হিসেবে, ফিলিস্তিনিরা আরবী ভাষা ব্যাবহার করে, ইহুদীরা ব্যাবহার করে হিব্রু ভাষা। তবে প্রচুর ফিলিস্তিনি কর্মক্ষেত্রে হিব্রু ভাষা ব্যাবহার করেন। এছাড়া ইংরেজীও বহুল প্রচলিত। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা আরবী।

ধর্মের বিচারে, ফিলিস্তিনিদের মধ্যে, ৮৬% মুসলিম, ৮.৮% ইহুদী, ৪.২% খ্রিস্টিয়ান এবং ১% দ্রুজ ও অন্যান্য।

ফিলিস্তিন কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বুর‍্যো’র ২০১৪ যিশুসনের হিসাব মোতাবেক, রাষ্ট্রটির মোত জনসংখ্যা- ৪৫,৪৭,৪৩১ জন। এর মধ্যে, পশ্চিম তীরে- ২৭,৩১,০৫২ এবং গাজায়- ১৮,১৬,৩৭৯ জন।

২০১৪ যিশুসন মোতাবেক, পশ্চিম তীরে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৪৮২ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.৯৯%। প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৫ বছর। সাক্ষরতার হার ৯২.৪% (১৫+)। এবং গাজায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫,০৪৫ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.৪৪%। প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭২ বছর। সাক্ষরতার হার ৯১.৯% (১৫+)।

অর্থাৎ, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে, ২০১৪ যিশুসনের হিসাব মোতাবেক, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৭৫৪ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.১৮%। প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৩ বছর। সাক্ষরতার হার ৯২% (১৫+)।

সরকার ও রাজনীতিঃ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সরকার পদ্ধতি- রাষ্ট্রপতিশাসিত গণতন্ত্র। রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান; সকারপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান- প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর হাতে কিছু পরিমান ক্ষমতা আছে। ফিলিস্তিনের আইনসভার নাম- ‘ফিলিস্তিন লেজিসলেটিভ কাউন্সিল’। এটি এক কক্ষ-বিশিষ্ট এবং ১৩২ আসন সংবলিত।

বর্তমান ফিলিস্তিনের রাজনীতিতে একটি বড় সংকট, হামাস-ফাতাহ দ্বন্দ্ব। মূলত ২০০৬ যিশুসনের নির্বাচনে, হামাসের বিজয়ের পর এই সংকট শুরু হয়। ফাতাহ মূলত জাতীয়তাবাদী জোট, অপরদিকে হামাস শরিয়াভিত্তিক দল। বর্তমানে পশ্চিম তীরের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে ফাতাহ। হামাস নিয়ন্ত্রণ করছে গাজার রাজনীতি। হামাসের নির্বাচিত সরকারকে বরখাস্ত করে, রাষ্ট্রপতি নিজে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিলে, হামাস ও বিদ্রোহী রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেয়। বর্তমানে তাই, ফিলিস্তিনে দুইটি সরকার। একটি পশ্চিম তীরে ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত সরকার, যে সরকারের সাথে আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর যোগাযোগ হয়। অপরটি গাজা-ভিত্তিক হামাস এর বিদ্রোহী সরকার। এই দুই প্রধান দল ছাড়াও, উল্লেখযোগ্য আরো কিছু রাজনৈতিক দল আছে। যেমন- থার্ড ওয়ে, প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ, পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্যা লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন, ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ফর দ্যা লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন, প্যালেস্টাইন পিপল’স পার্টি ইত্যাদি।

২০১৪ যিশুসনের জুনে, ফাতাহ-হামাস ঐক্যমতের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও, এক বছরের মাথায় তা ভেঙে যায়। বর্তমানে, পশ্চিম তীর অংশে প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ এবং গাজা অংশে ইসমাইল হানিয়া। পশ্চিম তীর অংশে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস এবং গাজা অংশে আজিজ দুয়াইক। দুই অংশে, দুইটি আলাদা মন্ত্রীপরিষদ কাজ করছে।

সংস্কৃতিঃ
ফিলিস্তিনিদের সংস্কৃতি মূলত আরব সংস্কৃতিপার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র, যেমন- লেবানন, সিরিয়া, মিসর, জর্দানের সাথে ফিলিস্তিনের সংস্কৃতির মিল লক্ষ্যনীয়। তবে শিল্প, কারুশিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত এবং খাবারে ফিলিস্তিনিদের কিছুটা আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারভিশ বিশ্বের সাহিত্য অঙ্গনে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। ফিলিস্তিনের তাত্ত্বিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- এডওয়ার্ড সাইদ। অলিম্পিক এবং ফিফা বিশ্বকাপে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিজ নামে অংশগ্রহণ করে থাকেএছাড়া পোষাকেও ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব ঐতিহ্য বর্তমান।

অর্থনীতিঃ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অর্থনীতির সর্ব বৃহৎ উৎস হলো- কৃষি। মোট জনসংখ্যার ৯০ ভাগ ই পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ ভাবে কৃষির সাথে জড়িত। কৃষি উৎপাদনের অর্ধেক চাহিদাই পূরণ করা হয় ‘জলপাই’ থেকে। এটা একইসাথে ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বৃহৎ রপ্তানি-পন্য। এছাড়া উৎপাদনের মধ্যে আছে- গম, বিভিন্ন রকম ভূমধসাগরীয় ফল এবং ফুল। এবং অ-কৃষি উপাদান উৎপাদনের মধ্যে আছে- সাবান, সিমেন্ট, কাপড়, পাথর, জলপাই কাঠ ইত্যাদি।

আয়ের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎস- পর্যটন। বছরে প্রায় ২০-২৫ লক্ষ লোক ভ্রমনের উদ্দেশ্যে ফিলিস্তিন যান। বিশেষত, জেনিন, জেরিকো, হেবরন, নাবলুস এর মতো ঐতিহাসিক নগরগুলোই পর্যটকদের বেশি আকর্ষন করে। এছাড়া, বেথেলহাম শহর যিশু খ্রিস্টের জন্মভূমি, খ্রিস্টিয়ানদের নিকট অতি পবিত্র। বেথেলহাম, ফিলিস্তিন ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষন। তবে, ইসরাইলের অবরোধের কারনে পর্যটকদের আনা-গোনা কম বলে মনে করে ফিলিস্তিন সরকার।

আয়ের তৃতীয় বৃহৎ উৎস- বৈদেশিক অনুদান। প্রতি বছর প্রচুর পরিমান বৈদেশিক অনুদান ফিলিস্তিনের জন্য বরাদ্দ হয়। এছাড়াও আছে, বিভিন্ন রকম হস্তশিল্প এবং কারখানা। প্রচুর ফিলিস্তিনি ইসরাইলে গিয়েও কাজ করেন।

ফিলিস্তিনের নিজস্ব কোনো প্রচলিত মুদ্রা নেই। দুই অংশেই ইসরাইলি নিউ শেকেল ব্যাবহৃত হয়। এছাড়াও, পশ্চিম তীরে জর্দানি দিনার এবং গাজায় মিসরীয় পাউন্ড ব্যাবহৃত হয়। ফিলিস্তিনের জিডিপি বৃদ্ধির হার, ২০১২ যিশুসনের হিসাব মোতাবেক ৫.৯%। বেকারত্বের হার ২৭.৫%। দারিদ্রসীমার নীচে বাস করে ২৫.৮% লোক। রাষ্ট্রের মোট জিডিপি’র পরিমাণ, ২০১৪ যিশুসনের হিসাব মোতাবেক, প্রায় ১২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আইনগত অবস্থানঃ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষনা করে, নভেম্বর ১৫, ১৯৮৮ যিশুসনে। সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫ যিশুসনের হিসাব মোতাবেক জাতিসংঘভূক্ত ১৯৩ টি রাষ্ট্রের ১৩৬ টি রাষ্ট্রই ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফিলিস্তিন জাতিসংঘের ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। এছাড়াও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে ইউনেস্কো, আরব লীগ, ও আই সি, ন্যাম, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট মুভমেন্ট, ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন, জি-৭৭, ভূমধ্যসাগরীয় ইউনিয়ন এর সদস্য।

জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে ২০১৭ যিশুসনের মধ্যে পূর্ণ সদস্য করার জন্য ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫ যিশুসনে একটি প্রস্তাব আনে। যা ১৬৪/৫ ভোটে জয়লাভ করলেও পাশ হয়নি, একমাত্র আমেরিকার ভেটো’র কারনে। সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া প্রায় প্রতিটি দেশেই ফিলিস্তিনের বৈদেশিক মিশন রয়েছে।

প্রশাসনিক বিভাগঃ
ফিলিস্তিন ১৬ টি প্রদেশে (মুহাফাজাত) বিভক্ত। এর মধ্যে ১১ টি প্রদেশ পশ্চিম তীরে এবং বাকী ৫ টি প্রদেশ গাজা অঞ্চলে। প্রদেশগুলো প্রাদেশিক গভর্নর দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রদেশগুলো হলো- পশ্চিম তীরে; জেনিন, তুলকারেম, নাবলুস, তুবাস, কালকিলিয়া, সালফেইট, রামাল্লা ও আল-বাইরাহ, জেরিকো, জেরুজালেম, বেথেলহাম এবং হেবরন। গাজায়; উত্তর গাজা, গাজা, দেইর আল বালাহ, খান ইউনিস এবং রাফাহ।

রাষ্ট্রপতিগণের তালিকাঃ
নাম
ক্ষমতাকাল
টিপ্পনী
ইয়াসির আরাফাত
নভেম্বর ১৫, ১৯৮৮-অক্টোবর ২৯, ২০০৪

আহমেদ কোরেইয়া
অক্টোবর ২৯, ২০০৪-নভেম্বর ১১, ২০০৪
ভারপ্রাপ্ত।
রাউহি ফাত্তুহ
নভেম্বর ১১, ২০০৪-জানুয়ারি ১৫, ২০০৫

মাহমুদ আব্বাস
জানুয়ারি ১৫, ২০০৫- চলছে...

আজিজ দুয়াইক
জানুয়ারি ১৯, ২০০৯- চলছে...
জানুয়ারি ১৯, ২০০৯ গাজা অংশে।

প্রধানমন্ত্রীগণের তালিকাঃ
নাম
ক্ষমতাকাল
টিপ্পনী
মাহমুদ আব্বাস
এপ্রিল ৩০, ২০০৩-অক্টোবর ০৭, ২০০৩

আহমেদ কোরেইয়া
অক্টোবর ০৭, ২০০৩-ডিসেম্বর ১৫, ২০০৫
১ম দফা। অক্টোবর ২৯, ২০০৪-নভেম্বর ১১, ২০০৪ প্রধানমন্ত্রী পদ ছিলোনা।
নাবিল শাথ
ডিসেম্বর ১৫, ২০০৫- ডিসেম্বর ২৪, ২০০৫
ভারপ্রাপ্ত।
আহমেদ কোরেইয়া
ডিসেম্বর ২৪, ২০০৫-মার্চ ২৯, ২০০৬
২য় দফা।
ইসমাইল হানিয়া
মার্চ ২৯, ২০০৬- চলছে...
জুন ১৫, ২০০৭ থেকে গাজা অংশে।
সালাম ফাইয়াদ
জুন ১৫, ২০০৭-জুন ০৬, ২০১৩

রামি হামদাল্লাহ
জুন ০৬, ২০১৩- চলছে...



তড়িৎ সহায়িকাঃ
সাংবিধানিক নামঃ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র (দাওলাত আল ফিলাস্তিন)।
অবস্থানঃ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া মহাদেশ।
আয়তনঃ ৬,০৩১ বর্গ কিলোমিটার (২,৩২৮.৫৮ বর্গ মাইল)।
জনসংখ্যাঃ ৪৫,৪৭,৪৩১ জন (২০১৪ হিসাব)।
জনসংখ্যার ঘনত্বঃ ৭৫৪ জন, বর্গ কিলোমিটার প্রতি।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ ৩.১৮% (২০১৪ হিসাব)।
মুদ্রাঃ ইসরাইলি নিউ শেকেল (দুই অংশে); জর্দানি দিনার (পশ্চিম তীরে); মিসরীয় পাউন্ড (গাজায়)।
ভাষাঃ আরবী (দাপ্তরিক), হিব্রু এবং ইংরেজী।
নৃগোষ্ঠীঃ ৯১.২% আরব এবং ৮.৮% ইহুদী।
ধর্মঃ ৮৬% মুসলিম, ৮.৮% ইহুদী, ৪.২% খ্রিস্টিয়ান এবং ১% দ্রুজ ও অন্যান্য।
সাক্ষরতার হারঃ ৯২% (২০১৪ হিসাব)।
জিডিপিঃ ১২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (পিপিপি, ২০১৪ হিসাব)।
স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাঃ নভেম্বর ১৫, ১৯৮৮ (ইসরাইল থেকে)।
জাতীয় বীরঃ ইয়াসির আরাফাত, ফিলিস্তিনের জাতির জনক।
জাতীয় সঙ্গীতঃ ফিদাই (বিপ্লব)।
আইনসভাঃ লেজিসলেটিভ কাউন্সিল (১৩২ আসন)।
সরকারের ধরনঃ রাষ্ট্রপতিশাসিত গণতন্ত্র।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিঃ সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫ মোতাবেক জাতিসংঘভূক্ত ১৩৬ টি রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘের ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ মর্যাদায় সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি।
প্রধান প্রধান নগরঃ হেবরন, নাবলুস, গাজা, জেনিন, বেথেলহাম, তুলকারেম, কালকিলিয়া, খান ইউনিস, জেরিকো, সালফেইট এবং দেইর আল বালাহ।
সর্বোচ্চ বিন্দুঃ নবী ইউনুস পর্বত (১,০৩০ মিটার/৩,৩৭৯ মিটার)।

সময় স্থানঃ জিএমটি +২।