29 May 2016

তুমি তাদের নাম দিলে না


মজমপুর গ্রামের বাজারটি বেশি বড় নয়। ২৫-৩০ টি দোকান সবমিলিয়ে। চায়ের দোকানদারদের মধ্যে হানিফ সবচেয়ে ভালো চা বানায়। এখন সকাল আটটা। সব দোকান খোলা থাকার কথা। খোলা নেই। দোকান বন্ধ করে সবাই লাশ দেখতে গিয়েছে। হানিফ যেতে পারছেনা, তার দোকানে দু'জন কাস্টমার আছে। কাস্টমার দোকানে রেখে, লাশ দেখতে যাওয়া যায় না। কাস্টমার দু'জন চা আর সিগারেট খাচ্ছে। চা তারপর সিগারেট, তারপর আবার চা। হানিফ জিজ্ঞাসা করে,
- এ্যা তৌকিররা... যাবি না লাশ দেখতে...?
- লাশ দেহার কি আছে... জেতা থাকতেই ত মাগির দিক তাকাই নাই... কুত্তার পুটকির মতো চেয়ারা...
- ছিঃ... এমনে কওন লাগে না... সবতেরেই আল্লায় বানাইছে... কেউ ঢক, কেউ বেঢক...
- হ... অবজ্ঞার সুরে হ বলে সিগারেটে টান দিলো তৌকির। তার পাশে বসে বাবু। বাবুকে দেখে মনে হবে, ও চা খেতে ভয় পাচ্ছে। বেশিরভাগ সময় এরা দুজন একসাথে থাকে। লোকে এদের একসাথেই ডাকে, তৌকির-বাবু। বাবু মৃধা বাড়ির ছেলে। চেয়ারম্যান সোহরাব মৃধা ওর আপন চাচা। তবুও লোকজন জানে, বাবুর চেয়ে তৌকিরের বুদ্ধি বেশি। বাবু তৌকিরের কথায় চলে, লোকজনের বিশ্বাস। বাবুকে দেখে মনে হচ্ছে, ও রাতে ঘুমায়নি। হানিফ বাবুর দিকে ঘাড় নেড়ে বললো,
- কি রাইতে চুরি করতে গেছিলানি... ঘুমাওনাই... চোখ ভিত্তে গেছেগা...
- হ্যাহ... চমকে উঠে বাবু। - নাহ... ভালা ঘুম অয় নাই...  ক্যা...
- তুমি যাবানা লাশ দেখতে...
- নাহ...
- আহারে... মাইয়াডা... তোমরা না গেলে নাই, আমি যাইয়াম... চা খাইয়া ওডো... চা-বিরি মিলাইয়া ৩২ ট্যায়া, পরে দিও... তোমার খাতাত লেইখ্যা রাহি...

দোকান থেকে বের হয়ে তৌকির বাবুর দিকে তাকায়
- ভয় পাইছস...
- হ...
- ভয় পা... সমস্যা নাই। তুই যে ভয় পাইছস, মাইনসেরে বুঝাইস না... সন্দেহ করবো... সন্দেহ মারাত্মক ব্যারাম...
- হ...
- যা... বাইত গিয়া গোসো কইরা, ভাত খাইয়া ঘুম দে... বিয়ালব্যালা উইঠ্যা দেখবি সব ঠিক অইয়া গেসে... লাশ গইল্যা পানি... হা হা হা...
- হ... যাই... গেলাম...
- যা...

বাবু বাড়িতে এলো। গোসল করলো অনেকক্ষণ। ভাত খেলো শোল মাছ দিয়ে। মা জিজ্ঞাসা করলেন,
- রাইতে কই আছিলি?
- এ... তৌকিরের লগে... অগো বাইত্তে...
- রাইতে আর বাইরে থাকবিনা। রাইতে বাইত আইয়েনা বদ পুলাপান...
- আইচ্ছা...
ভাত খেয়ে বাবু ওর ঘরে গেলো ঘুমানোর জন্য। শুয়ে পরলো। দিনের বেলায় বাবুর ঘুম হয় না। কিন্তু তবু, ক্লান্ত শরীর। সোজা শুয়ে পরে। চোখের উপর একটা হাত তুলে দেয়। ঘুম আসেনা। মেয়েটার মুখ ভেসে ওঠে। মারা যাওয়ার আগে একবারও আল্লাহর নাম নিলোনা মেয়েটা। একবারও বললোনা মাগো, বাবাগো। একবার শুধু বলেছিলো- পানি। বাবু পাশ ফিরে শোয়। গ্রামে নিয়ম করে বিদ্যুৎ চলে যায়। এক ঘন্টা থাকে, এক ঘন্টা থাকেনা। সন্ধ্যার দিকে তৌকির বাবুদের বাসার সামনে এসে ডাক দেয়।
- এ্যা বাবু... বাইরা... ল, হাইট্যা আই...
তারা দুজন হানিফের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা খায়। সিগারেট খায় না। সন্ধ্যায় মুরুব্বীরা থাকে দোকানে। সিগারেট লুকিয়ে নিয়ে, হাটতে হাটতে খায়। আর বেশ কিছু দিন ধরে, ওরা নিয়ম করে একটা মেয়ের পিছু করে। মেয়েটা সাত্তারের। সাত্তার জমি চাষ করে। নিজের জমি নেই, মানুষের জমি চাষ করে; ভূমিহীন কৃষক। মেয়েটা ক্লাস নাইনে উঠেছে এবার। সন্ধ্যায় এখানে আসে টিউশনি করাতে। গ্রামের মধ্যেই। পাঠান বাড়িতে বাচ্চাদের পড়ায়, তারপর মাঝখানে বাজারর রেখে পনের মিনিট হেটে, গ্রামের আরেক মাথায় সাত্তারদের বাড়ি, দক্ষিণ পাড়ায়। হাটাপথে পনের মিনিটের রাস্তায়, সোহরাব মৃধার লেবু বাগান পরে রাস্তার একপাশে। সেটা তিন মিনিটের রাস্তা। হানিফের দোকানের সামনে দাঁড়ালে স্পষ্ট দেখা যায়, মেয়েটা বাজার পার হচ্ছে কিনা? তারপরের কাজ মেয়েটার পেছনে পেছনে যাওয়া। বাবুর পছন্দ মেয়েটার দুধ, ও রাস্তার আরেকপাশ ধরে, পাশাপাশি হাটতে চায়। তৌকির ওকে ফিসফিস করে ধমক দেয়।
- মাদারচোদ... সাইড দিয়া এক মিনিট আটলেইতো খবর অইয়া যাইবো সোরাব মিরদার ভাইস্তা মাইয়াগো দেহে... বেক্কেল বাইঞ্চোত কোনেকার... পিছে আয়।
- পিছেরতে কি দেহুম?
- গুয়া দেখ, খানকির পুলা... কি সুন্দর গুয়া... জিবনে দেখস? খেয়াল দিয়া দেখ...
- গুয়া দেহার কি আছে...
- গুয়াই ত মজা, মাদারচোদ... বিয়া ত করস নাই। বিয়া কর দেখবি দুধে কোনো মজা নাই, মজা সব গুয়ায়...
- হই... কি কস... আমারতে মনে অয় দুধই সুন্দর। দেখসস তুই, মাইয়াডার কি সুন্দর দুধ... মনে অয়, পর্তেক দিন একটু একটু কইরা বরো হইতাছে। একবার যদি ধইরা দেখতে পারতাম...
- হালা মাদারচোদ... দুধ ধরতে চায়... যাও দেবেনে চুইদা...
- একবার ধরুম দোস, একবার... বাস...
- একবার কিন্তুক, বেশি না... হা হা হা...
- খিক খিক খিক...

দক্ষিণ পাড়ায় মেয়েটার বাড়ির কাছাকাছি আসতে, ওরা পেছন ফেরে আবার হাটা দেয়। খুব জরুরী কাজ না পরে গেলে, এটা ওরা সপ্তাহে চার দিন করে। চারদিন মেয়েটা গ্রামের এই মাথায় আসে, বাচ্চাদের পড়াতে। বাবু আবার পাশ ফেরে শোয়।

হানিফের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলো বাবু আর তৌকির।
- এ তইকির, মাইয়াডারে একদিন আদর করতাম মন চায়...
- হেই মাদারচোদ, ক চুদতে মন চায়...
- না দোস... এই ধর, একটা চুমা খাইলাম, একটু দুধ হাতাইলাম...
- আর...
- আর কিছু না... শরম পায় বাবু। হাসে তৌকির,
- মাদার... চোদ...
বলে, - ধরিস একদিন। সুযোগ কইরা দিবোনে...
- কি কস, ক্যাম্নে... উত্তেজিত হয় বাবু।
- এতো উত্তেজিত হওনের কিছু অয় নাই। চুপ থাক...
- আইচ্ছা।

গতরাতে বাবুর কোনো দোষ ছিলোনা। এটা ঠিক, ও একবারই চুমু খেতে চেয়েছিল।  কিন্তু তৌকির এসে বললো,
- ল, আইজকা এট্টা এটেম লই।
- কিয়ের এটেম?
- তুই না চুমা খাইতে চাইলি...
- মাইয়া দিবো?
- দিবো না মানে... ঘারে একটা দিলে কামিছ খুইল্যা দিবো...
- হা হা হা...
- ল, আইজকাই...
- ক্যাম্নে?
- মিরদা চাচার বাগে আইলে, টান দিয়া ধরমু...
- এর পর...
- কমু, মাইয়া কই যাও... ভালোবাসা দিয়া যাও... হা হা হা...
- হা হা হা...
- ল...

তারপর লেবু বাগান পার হওয়ার সময়, মেয়েটা মাত্র একবার চিৎকার করেছিলো। সে চিৎকার কেউ শোনেনি, অথবা কেউ খুব আস্তে শুনেছে। কেউ টের পায়নি, অথবা কেউ খুব আস্তে টের পেয়েছে। মেয়েটার পরনে ছিলো অন্যকারো ব্যবহার করে দান করে, একটা সূতি কাপড়। খুব নরম কাপড়, টান দিতেই ছিঁড়ে যায়। কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিজ্ঞতা মেয়েটা একটুর জন্য পেলো না। বয়স কম, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। কাধে করে তৌকির মেয়েটাকে লেবু বাগানের প্রায় মাঝখানে নিয়ে আসে। পরনের কামিজ ছিঁড়ে ফেলে, সালোয়ার টেনে খুলে ফেলে, পুরো ওড়নাটা মুখের মধ্যে গুঁজে দেয়। এসব কাজে সাবধান থাকা ভালো। তারপর তাকিয়ে থাকে। বুভুক্ষুর মতো তাকিয়ে থাকে। এই শরীরটাকে কতোবার আড়চোখে দেখেছে! তারপর তৌকির মেয়েটাকে উলটে শোয়ায়।
- হেই বাল... রক্ত বাইরায়া গেসে...
- কি কস! এহন...
- এডি এট্টু হয়ই, পর্থম করলে রক্ত বাইরায়...
- অ... কিন্তুক তুই দিলি কই?
- গুয়ায়। আয়, আয়... তুই লাগা...

মেয়েটা গুঙিয়ে উঠে। ক ক করে গুঙিয়ে উঠে। তৌকির হাত চেপে ধরে।
- মাদারচোদ... তারতারি লাগা, আমি ধরছি। তুই লাগা...
মেয়েটা আগে থেকেই রক্তে ভিজে আছে। হাত-পা ছোড়াছুড়ির চেষ্টা করলে মুখ খামচে ধরে তৌকির। বাবু দুধে কামড় দেয়। উরূতে কামড় দেয়। উরূতে কামড়ালে মেয়েটা আর পা ছুড়তে পারবেনা। জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটা ছাড়া পাওয়ার জন্য সবটুকু শক্তি দেয়। এই জন্যই মেয়েটা আরো কিছু চড়-ঘুসি খায়, কামড় খায়। তৌকির-বাবু আচড়ে-কামড়ে দুর্বল করে নেয় প্রথমে। ইচ্ছেমতো কামড়ায়। কালকেই মেয়েটার বাবা সাত্তার, বিচার নিয়ে আসবে। মেয়েটা আঙুল তুলে দেখাবে- এ, ও। আজকেই যতোটা কামড়ানো যায়। ভাবতে ভাবতে কাধেও কামড় দেয় বাবু।

- অইছে তর!
- হ...
- এতো তাত্তারি...
- হুহ...
- খারা, আমি আরেকবার লাগাই...
- লাগা...

মেয়েটার কোমরের নিচে আর কোনো অনুভূতি নেই। কানে একটা কামড় দিয়েছিলো বাবু, সেটা ব্যথা করছে। চিৎকারও দেবে না মেয়েটা। নিঃশব্দে কাঁদছে। পরেরবার লাগানোর আগে তৌকির মেয়েটার মুখে কিছু চড় দিয়ে নিয়েছে।
- মাগি, গুয়া দেহাস... গুয়া। কাইলকা পুলাপানরে পরাবি, তকিরের সুনার কতো ক্ষমতা...
মেয়েটা বলে- পানি...
- পানি তর গুয়ার মইদ্যে ঢাইল্যা দিতাছি মাগি, ল...
বাবু হাসে- হ্যা হ্যা হ্যা...

মেয়েটা ওভাবেই পরে ছিলো। চার পা হেটে গিয়ে, বাবু প্রথম কথা বলে,
- কাইলকাই বিচার লইয়া আইবো মাগিডা...
- হ, তর সমস্যা কি? তর চাচা চেয়ারম্যান... বাপের ট্যায়া আছে, জরিমানা দিবি... বিয়াও করস নাই, মজলিশ বেশি জোর করলে, বিয়াও কইরা লাবি...
- হেই খানকির পুলা, এই মাগিরে আমি বিয়া করুম না...এই মাত্র তুইওতো লাগাইলি মাগিডারে...
- খিক খিক খিক...
- হাসিস না... মায় কইছে, বাইত বিচার যাওন যাইতো না।
- খারা তাইলে।
- কি?
- খারা...

আবার পিছিয়ে গিয়ে, মেয়েটার গলা চেপে ধরে তৌকির।
- তুই ঠ্যাং ধর, মাদারচোদ...
হাত-পায়ের ছোড়াছুড়ি বন্ধ হওয়ার পরও কিছুক্ষণ গলা চেপে ধরে রাখে তৌকির।
- কইস না... মাগিগো ঢং... হুমাশ বন্ধ কইরা মরার মতো পইরা থাহে। ছাইরা দূরে গেলে দেখবি,  উইঠ্যা দউর দিসে... রিক্স না নেওনই ভালা...
- হ, রিক্স নিস না... খানকি-মাগি... এহন মনে অয় মরসে।
- খারা এট্টা ডাইল্লা ল...
- ডাইল্লা ক্যা?
- লচ্চা আগে...

ডাল দিয়ে কিছুক্ষণ মাথায়, মুখে, চেহারায় আঘাত করে তৌকির আর বাবু। যাতে হুট করে দেখে না বোঝা যায়, এটা সাত্তারের মেয়ে। হেটে লেবু বাগান থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠে সিগারেট ধরায় তৌকির।
- হুন, একদম ঠাণ্ডা, একদম চুপ, কোনো কতা কবিনা... তুই কয়দিনের লেইগ্যা এক্কারে চুপ যাবি... আমরা আগের মতোই হানিফের দোকানে যামু, চা খামু, রাস্তায় হাটমু, গল্প করমু...বুঝসস?
- ধরা খাইলে...
- হেই চুতমারানির পুলা... ধরা খামু ক্যা? কে কইবো... কোনো সাক্ষী আছে?
- ল, কয়দিন দূরে কোনোহানে যাইগা...
- না। পলান যাইবো না। পলাইলে সন্দেহ করবো... তুই মনে কর, কিচ্ছু অয় নাই...
- আইচ্ছা...
- আইচ্ছা না মাদারচোদ... কিচ্ছু অয় নাই, ল... চাচার কাছে যাই...
- চাচার কাছে ক্যা?
- তুই এক্কারে চুপ। আমি কতা কমু। তুই আমার লগে ল...তর চাচা, আমি বুঝামু।
বাবু আবার পাশ ফেরে।

হানিফ লাশ দেখার জন্য লেবু বাগানের ভেতরে ঢুকে। লাশ এখনো সরানো হয়নি। নাড়ানোও হয়নি। শুধু উপরে একটা কাপড় দেয়া হয়েছে। ভিড় ঠেলে লাশের মুখটা দেখে হানিফ। পুলিশ সব তদন্ত করছে। আলামত সংগ্রহ করে তারপর লাশ সরাবে পুলিশ। ময়নাতদন্ত হবে, শক্তিশালী কেইস হবে। আইনের চোখে সবাই সমান। অপরাধী যেই হোক, আইনের হাত থেকে সে বাচতে পারবেনা। বঙ্গোপসাগরের সত্তর হাত পানির নিচ থেকে ধরে এনে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। মেয়েটার মা ইতিমধ্যে ফিট খেয়েছেন। বাবা বিলাপ করছেন। মা... মারে... মা...। ছোটো ভাই একপাশে দাঁড়িয়ে। হানিফ তার মাথায় হাত বুলায়।
- কি রে...
- লক্ত...
- হ হ রক্ত...
বাবা বিলাপ করছেন। মা... মারে... মা... মারে... মা...। মা ফিট খাচ্ছেন, মুখে পানি দেয়া হচ্ছে, উঠে আবার ফিট খাচ্ছেন। বাবা চিৎকার করে বিলাপ করছেন, মা... মারে... কই গেলি... মা...তুই না ডাক্তর অবি... মা...কই তুই...।
বাবু আবার পাশ ফেরে শোয়।

ঘটনাটা যেহেতু সোহরাব মৃধার বাগানে ঘটেছে, এবং সে একই সাথে এই গ্রামের চেয়ারম্যান, তার একটা দায়িত্ব আছে। থানার ওসি সাহেবও এসেছেন। তারা সাইডে কথা বলছেন।
- ঘটনাটা আপনার পোলাপান ঘটাইছে?
- ছিঃ, ওসি সাব কি কন? জিহ্বায় কামড় দেন সোহরাব মৃধা। - আমার তিন মাইয়া, আল্লায় দিলে তিনডারেই বিয়া দিসি। জামাইয়ের ঘর করতাছে। নাতি-নাইতকুর আছে...
- হুম্মম... মানে আপনার পার্টির পোলাপান?
- আমিতো গত ১৬ বচ্ছর চেয়ারম্যান। জিগান কাউরে পার্টির গরম দেহাইছি নাকি? জিগান... আম্নেতো গত দের বচ্ছর। দেখছেন আমার গেরামে কোনো কেরাইম?!
- না। তা নাই। কিন্তু লোকজন...
- লোকজন আমি দেহুমনে ওসি সাব... সাত্তার গরিব মানু... ও আমার পার্টিই করে। অরে দশ হাজার ট্যায়া দিয়া দিমুনে... আর কি কমু, মাইয়াডাও ভালা না... রাত-বিরাইতে... বাজারের মইদ্যে দিয়া... বোঝেনইত... জুয়ান পুলাপানের মাতা ঠিক থাহে?! জমানা খারাপ...
- হুম্মম...
- লন আমার বারিত লন... রইদে কষ্ট অইতাছে। এট্টু চা-পানি খাইয়া আবার রওনা দেওন লাগবো। কত্ত কাম আম্নেগো...
- হ, তা ঠিক।
- লন ওসি সাব...
- আর আপনে কিন্তু গ্রামের মধ্যে সন্দেহজনক কিছু দেখলে, সাথে সাথে আমারে ইনফর্ম করবেন।
- তাতো অবশ্যই, ওসি সাব। অপরাধীরে শাস্তি পাইতেই অইবো। আম্নে খালি চার্জশিটে একবার ছোট্ট কইরা উল্লেখ করবেন, মাইয়াডা ভালা ছিলো না... রাত-বিরাইতে বাজারে... বোঝেনইতো...
- লাইনে আসেন। কতো?
- ওসি সাব, পঞ্চাশ।
- হেই মিয়া, পঞ্চাশে এডি হয়? রেইপ, তারপর খুন, মাথাডা দেখেন, থ্যাতলায়া গেসে। ইস মাগো... চার।
- চাইর অনেক, ওসি সাব। আমি গরিব মানুষ... দুই দেই?
- আচ্ছা, তিন রেডি রাইখেন। কালকে সন্ধ্যায় আমি হারুনরে পাঠায়া দিবোনে।
- জি ওসি সাব। এহন লন। চা জুরায়া গেলো...

মেয়েটার মা এখনো ফিট খাচ্ছেন। বাবা এখনো মেয়ের কাপড়ের টুকরো বুকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন, মা মাগো মা... কই গেলি মা...। লোকজন বলছে, আহারে, বড় ভালো মেয়ে ছিলো... হানিফও বললো, আহা রে...।
বাবু আবার পাশ ফিরে শোয়। বাবুর ঘুম আসছে না।

সমাপ্ত।।

No comments:

Post a Comment