22 February 2017

‘জাতি’ বলতে আমরা কি বুঝি?

‘জাতি’ প্রথা মানবজাতির এমন এক প্রথা, যা একই সাথে বিভেদ এবং ঐক্যের কারণ। জাতিভেদের মাধ্যমে মানবজাতি একে অপর থেকে আলাদা হয়। তুমি আরব, আমি বাঙালি বা তুমি চাকমা, আমি বাঙালি। আবার জাতিভেদের মাধ্যমে মানবজাতির অভ্যন্তরে রচিত হয় ঐক্যের সুর। তুমি আরব, আমি বাঙালি, আমরা মানুষ। তুমি চাকমা, আমি বাঙালি, আমরা মানুষ। জাতিভেদ করা হয় যেন মানুষ একে অপরকে চিনতে পারে, একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পারে। জাতি বলতে মূলত নৃগোষ্ঠী বোঝানো হয়। নৃ মানে মানুষ অর্থাৎ মানুষের গোষ্ঠীসমূহ।

মূলত জাতিভাগ করা হয় তিন ভাবে। ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্ম এবং রাষ্ট্রীয় সীমানা। এর মধ্যে ভাষা-সংস্কৃতির আলোকে জাতিভাগ করাটাই সবচেয়ে মূলানুগ। ধর্মের ভিত্তিতে জাতিভাগ করা অপ্রয়োজনীয় বাহুল্য। আর রাষ্ট্রীয় সীমানার মাধ্যমে জাতিভাগ করাটা সবচেয়ে দুর্বল জাতিভাগ। কারণ রাষ্ট্রীয় সীমানাগুলো নবীন, ভঙ্গুর এবং উপনিবেশিক মানসিকতার ফসল।

ধর্মের ভিত্তিতে জাতিভেদ খুবই অস্পষ্ট। যেমন মুসলমান জাতি, খ্রিস্টিয়ান জাতি, হিন্দু জাতি ইত্যাদি ভাগে মানুষকে ভাগ করাটা একটা অপ্রয়োজনীয় বিষয়। এমনটা হওয়া উচিত নয়। মুসলমানরা বিভিন্ন জাতি হতে পারে। যেমন আরব মুসলমান বা তুর্কি মুসলমান বা মালয় মুসলমান বা তামিল মুসলমান। কিন্তু এটা অপ্রয়োজনীয় একারনে যে একটা জাতিতে বিভিন্ন ধর্মের লোক থাকতে পারে। যেমন বাঙালিদের মধ্যে মুসলমান আছে, হিন্দু ধর্মের মানুষ আছে, খ্রিস্টিয়ান ধর্মের মানুষ আছে। বৌদ্ধ আছে, নির্ধর্মী আছে। আবার আরবদের মধ্যেও কেবল মুসলমান আছে তা নয়। আরবদের মধ্যেও খ্রিস্টিয়ান আছে, মানদিয়ান আছে, ইহুদি আছে, বাহাই আছে, নির্ধর্মী আছে। তাই ধর্মের হিসাবে একক কোনো জাতি হতে পারে না। যেমন মুসলমান জাতি বা খ্রিস্টিয়ান জাতি ইত্যাদি।

রাষ্ট্রের ভিত্তিতে জাতিভেদ অস্পষ্ট না হলেও একই রকম অপ্রয়োজনীয়। কারণ বর্তমান রাষ্ট্রগুলোর সীমানা উপনিবেশিক মন ও জ্ঞানের ফসল। এই সীমানাগুলো বেশিরভাগই রাজনৈতিকভাবে কৃত্তিম। যেমন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভেতর বাঙালি জাতি আছে। আছে চাকমা জাতি, মারমা জাতি, সাঁওতাল জাতি। আছে এরকম ৪০ থেকে ৪৫ টি জাতি। আবার বাংলাদেশের বাইরেও বাঙালি জাতি আছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরাতে বাঙালি জাতির বসবাস। আবার ভারত রাষ্ট্রে বাঙালি ছাড়াও তামিল, তেলুগু, মারাঠি, গুজরাতি, কাশ্মিরি, রাজস্থানি, অসমিয়া বিভিন্ন জাতি রয়েছে। এইভাবে রাষ্ট্র দিতে জাতিভাগ করাটা বাহুল্য।

জাতীয় পরিচয় মূলত মানুষের সাংস্কৃতিক লক্ষণ বিচার। যেমন আমরা যখন শুনবো কেউ বাঙালি, তখন বুঝে নেব যে সে বাংলায় কথা বলে, তার সংস্কৃতি বাঙালি এবং তার প্রধান খাদ্য ভাত। আবার যখন শুনবো কেউ রুশ, তখন বুঝে নেব যে তার ভাষা রুশ, তার সংস্কৃতি রুশ এবং তার প্রধান খাদ্য রুটি এবং আলু। ধর্ম এবং সীমানায় পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সাংস্কৃতিক মিলের কারণে মানুষ একই জাতির অন্তর্গত হতে পারে। যেমন বাংলাদেশের মুসলমান বাঙালি এবং পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বাঙালি ধর্ম এবং সীমানার জাতীয়তা দ্বারা সম্পূর্ন আলাদা। কিন্তু তারপরও তারা আলাদা নয়, বাঙালি জাতির অন্তর্ভূক্ত। কারণ তাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি এক।


ভাষা আর সংস্কৃতিই তাই জাতিভেদের মূল প্রযোজক। ভাষার ভিত্তিতেই গড়ে উঠে জাতি। ভাষার ভিত্তিতেই গড়ে উঠে মানুষে মানুষে বিভাজন। সংস্কৃতির কারণে মানুষে মানুষে পার্থক্য। সংস্কৃতির মাধ্যমেই মানুষে মানুষে ঐক্য। 

কুর্দি কারা?

ইরাকি কুর্দিস্থানের পতাকা


কুর্দিরা পৃথিবীর বৃহত্তম জাতি বা নৃগোষ্ঠী যাদের নিজস্ব কোনো রাষ্ট্র নেই। তাদের বসবাস এশিয়ার মধ্যপ্রাচ্যে। মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশে বৃহত্তম সংখ্যালঘু জাতি। রাষ্ট্র নেই, তাই রাষ্ট্র দিয়ে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন। তাদের অবস্থান ইরানের পশ্চিম পাশে, তুরস্কের পূর্ব এবং দক্ষিণ পাশে, ইরাকের উত্তর পাশে এবং সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব পাশে। তাদের বাসস্থানকে বলা হয় ‘কুর্দিস্থান’। এই চারটি দেশ ছাড়া আজারবাইজান, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স এবং রাশিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কুর্দি বসবাস করেন। সব মিলিয়ে তাদের সংখ্যা ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি।

জাতি হিসেবে কুর্দিদের রয়েছে আলাদা ভাষা এবং সংস্কৃতি। জাতি হিসেবে তাদের খুব সহজেই পার্শ্ববর্তী তুর্কি ও আরবদের থেকে আলাদা করা যায়। তবে ইরানিদের সাথে তাদের সংস্কৃতিগত মিলের কারণে কুর্দিদের ইরানি মহাজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইরানি মহাজাতির বাকি জাতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইরানি (ফার্সি-ভাষী), আজারবাইজানি, তুর্কমেনি, বালুচ, পশতু, তাজিক, তালিশ, লুর, তাত, ওশেতিয় ইত্যাদি।

তুরস্কের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০% কুর্দি। ইরাকে ১৫%, ইরানে ১০% এবং সিরিয়ায় ৯% জনসংখ্যা কুর্দি। সংখ্যার হিসাবে তুরস্কে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ, ইরানে ৬০ থেকে ৮০ লাখ, ইরাকে ৬০ থেকে ৭০ লাখ, সিরিয়ায় ২০ থেকে ২৫ লাখ।

কুর্দিস্থানের মানচিত্র। পার্শ্ববর্তী তুরস্ক, ইরান, ইরাক ও সিরিয়া। 


কুর্দি জাতির ভাষা ‘কুর্দি ভাষা’। তবে এ ভাষায় পাঁচটি উপভাষা আছে। উপভাষারা বেশ পরিষ্কারভাবে বিচ্ছিন্ন। কুর্দির উপভাষাগুলো হচ্ছে- কুরমানজি, সোরানি, গোরানি, যাযাকি ও পেহলাওয়ানি। সিরিয় কুর্দিরা বেশিরভাগ ব্যবহার করেন কুরমানজি। ইরাকি কুর্দিরা ব্যবহার করেন কুরমানজি আর সোরানি। ইরানি কুর্দিরা ব্যবহার করেন যাযাকি বাদ দিয়ে বাকি উপভাষাগুলো। আর তুরস্কের কুর্দিরা ব্যবহার করেন পেহলাওয়ানি বাদ দিয়ে বাকি উপভাষাগুলো।

কুর্দিরা মূলত সুন্নি মুসলিম। সুন্নি মুসলিমরা সংখ্যায় প্রায় ৮০%। এছাড়া ১৫% কুর্দি শিয়া মুসলিম। আর বাদবাকি ৫% কুর্দি খ্রিস্টিয়ান, ইহুদি, ইয়াজিদি, ইয়ারসানি, মানদিয়ান, বাহাই, জরথুস্ত্র এবং নির্ধর্মী। জাতিগতভাবে কুর্দিরা ধর্মপ্রসঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদি এবং পরমতসহিষ্ণু। সুন্নি এবং শিয়া উভয় ভাগের মুসলিমদের মধ্যে সুফিবাদের ব্যপক প্রভাব লক্ষণীয়।

স্বাধীনতার জন্য কুর্দিরা অনেক আগে থেকে লড়াই করে আসছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে পরলে কুর্দিরাও জাতিরাষ্ট্র গঠন করতে চায়। তাদের সে ইচ্ছা বিভিন্ন দেশের ভাগাভাগিতে চাপা পরে যায়। চারটি দেশেই তারা দ্বিতীয় শ্রেনির নাগরিকে পরিণত হয়। তুরস্কে তাদের অবস্থা হয় সবচেয়ে শোচনীয়। সেখানে কুর্দি, কুর্দিস্থান এইসব শব্দ ব্যবহার করা আইনত নিষেধ। ইরানে একটি প্রদেশকে কুর্দিস্থান করা হয়। ইরাকে কুর্দি অধ্যুষিত তিনটি প্রদেশকে একত্রে ‘কুর্দিস্থান স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল’ করা হয়। অতি সম্প্রতি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ফলস্বরুপ উত্তরের কুর্দিরা ‘রোজাভা কুর্দিস্থান’ গঠন করে। ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দিরা এখন কার্যত স্বাধীন।



সুমেরীয় পাঠঃ লাগাশ এর রাজকীয় শিলাস্তম্ভ ৩

উর-বাউ এর শিলাস্তম্ভ


ভাস্কর্যের গায়ে

নং কলাম

দেবতা নিনগিরসু এর নিকট
শক্তিশালী যোদ্ধা
দেবতা এনলিল এর
উর-বাউ
পাতেশি
লাগাশ এর
প্রসূত সন্তান
দেবতা নিন-আগাল এর মাধ্যমে,
দেবী নিনা এর অপরিবর্তনীয় ইচ্ছার মাধ্যমে মনোনীত,
দেবতা নিনগিরসু এর মাধ্যমে ক্ষমতায় অন্বিত,
দেবী বাউ এর মাধ্যমে অনুকূল নামে নামাঙ্কিত,
দেবতা এন-কি এর মাধ্যমে ধীশক্তিতে সমন্বিত

নং কলাম

দেবী নিন্নি এর মাধ্যমে সুনাম দিয়ে ঢাকা,
দেবতার প্রিয় সেবক যিনি গিশা-গাল্লা-কি এর রাজা,
দেবী দুজি-আবজু এর প্রিয়,
আমি উর-বাউ
দেবতা নিনগিরসু আমার রাজা
[...] এর নির্মান-ভূমি, তিনি খনন করেন
সেখান থেকে পৃথিবী নিষ্কাসিত হয়,
দামী পাথরের মতো,
যিনি পরিমাপ করেন,
দামী ধাতুর মতো তিনি এটা মাপেন

নং কলাম

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি একটি শূন্যস্থান নির্দিষ্ট করেন
তার মাঝখানে তিনি পৃথিবীকে নিয়ে আসেন
এবং তিনি নির্মান করেন এটার মুন্দুস
পূর্বে, একটি ভিত্তি ৬ হাত লম্বা তিনি নির্মান করেন
এই ভিত্তির উপরে
-নিন্নু এর মন্দির, যা অন্ধকারে আলোকোজ্জ্বল, ৩০ হাত উচ্চতায়,
তিনি নির্মান করেন
দেবী নিন-ঘারসাগ এর জন্য, দেবতাদের মাতা,

৪ নং কলাম

গিরসু-কি তে তার মন্দির
তিনি নির্মান করেন
দেবী বাউ এর জন্য,
মহান দেবী,
আন্না এর কন্যা,
উরু-আসাগগা তে তার মন্দির
তিনি নির্মান করেন
দেবী নিন্নি এর জন্য, মহিমান্বিত দেবী, প্রবল প্রতাপশালী,
গিশগাল্লা-কি তে তার মন্দির
তিনি নির্মান করেন
দেবতা এন-কি এর জন্য, এরিদু এর রাজা
গিরসু-কি তে তার মন্দির

৫ নং কলাম

তিনি নির্মান করেন
দেবতা নিন-দারা এর জন্য, নিয়তির প্রভু,
তার মন্দির তিনি নির্মান করেন
দেবতা নিন-আগাল এর জন্য,
তার দেবতা,
তার মন্দির,
তিনি নির্মান করেন
দেবী নিন-মার-কি এর জন্য
মহান দেবী,
দেবী নিনা এর জ্যেষ্ঠ কন্যা,
এশ-গুর-তুর, তার ধ্রুব পছন্দের মন্দির,
তিনি নির্মান করেন

৬ নং কলাম

[...] দেবতা এর জন্য
গিরসু-কি এর মেষপালক [...]
[...] তার মন্দির
তিনি নির্মান করেন
দেবী কু-আন্না এর জন্য,
মেঘযুক্ত আকাশের দেবী,
গিরসু-কি তে তার মন্দির
তিনি নির্মান করেন
দেবী দুজি-আবজু এর জন্য
কিনুনির-কি এর দেবী
গিরসু-কি তে তার মন্দির

তিনি নির্মান করেন

[...] লেখা পাওয়া যায় নি বা পাঠোদ্ধার করা যায় নি। 

21 February 2017

সুমেরীয় পাঠঃ লাগাশ এর রাজকীয় শিলাস্তম্ভ ২

উরু-কাগিনা এর শিলাস্তম্ভ

নং শিলা

নং কলাম

দেবতা নিনগিরসু এর জন্য
দেবতা এনলিল এর যোদ্ধা,
উরু-কাগিনা,
রাজা
লাগাশ এর,
তার মন্দির
নির্মান করেন
তার তি-রা-আশ এর প্রাসাদ
তিনি নির্মান করেন

নং কলাম

আন-তা-শুর-রা
তিনি নির্মান করেন
-গিশ-মে-রা
তিনি নির্মান করেন
দেশগুলোতে -নে-বি এর আদেশ
তিনি নির্মান করেন
ফলের বাড়ি যা দেশে প্রাচুর্য উৎপাদন করে
তিনি নির্মান করেন
দেবতা দুন-শাগানা এর জন্য
তার আক্কিল এর বাসস্থান

নং কলাম

তিনি নির্মান করেন
দেবতা গাল-আলিম্মা এর জন্য
-মে-গাল-ঘুশ-আন-কি এর মন্দির
তিনি নির্মান করেন
দেবী বাউ এর মন্দির
তিনি নির্মান করেন
দেবতা এনলিল এর জন্য
-আদ্দা এর মন্দির,
তার ইম-সাগ-গা,

নং কলাম

তিনি নির্মান করেন
বুর-সাগ,
তার মন্দির যা উত্থিত হয় স্বর্গের প্রবেশদ্বারে
তিনি নির্মান করেন
উর-কাগিনা এর,
রাজা
লাগাশ এর,
যে -নিন্নু এর মন্দির
নির্মান করেন,
তার দেবতা

নং কলাম

হন দেবতা নিনশাঘ
রাজার জীবনের জন্য
লম্বা দিন আসার সময়
দেবতা নিনগিরসু এর সামনে
সে তার মাথা নত করবে




নং শিলা
দেয়ালের পাথরে

দেবতা নিনগিরসু এর জন্য,
যোদ্ধা
দেবতা এনলিল এর জন্য
উরু-কাগিনা,
রাজা
লাগাশ এর
আন-তা-শুর-রা,
তার দেশের প্রাচুর্যের ঘর,
নির্মান করেন
তার প্রাসাদ তি-রা-আশ
তিনি নির্মান করেন
[১২ ১৩ তম পদ ধ্বংষপ্রাপ্ত]
দেবতা গাল-আলিম্মা এর জন্য
[১৫-২১ তম পদ ধ্বংষপ্রাপ্ত]
তিনি নির্মান করেন
দেবতা নিন-সার এর জন্য,
তরবারী এর বাহক
দেবতা নিনগিরসু এর,
তার মন্দির
তিনি নির্মান করেন
দেবতা [...]গির জন্য
প্রিয়ভাজন
দেবতা নিনগিরসু এর,
তার মন্দির
তিনি নির্মান করেন
বুর-সাগ,
তার মন্দির যা উত্থিত হয় স্বর্গের প্রবেশদ্বারে
তিনি নির্মান করেন
দেবতা এনলিল এর জন্য
-আদ্দা এর মন্দির
তার ইম-সাগ-গা,
তিনি নির্মান করেন
দেবতা নিনগিরসু এর জন্য
উপাসনাস্থান
-মেলাম-কুররা
তিনি নির্মান করেন
মন্দির যেখানে বাস করেন দেবতা নিনগিরসু
তিনি নির্মান করেন
উরু-কাগিনা এর,
যার মন্দির
দেবতা নিনগিরসু এর [...]
[...]




নং শিলা
বেলনাকৃতির শিলা

নং কলাম

উরু-কাগিনা
রাজা
গিরসু-কি এর,
আন-তা-শুর-রা,
তার দেশের প্রাচুর্যের ঘর,
তার প্রাসাদ তি-রা-আশ
নির্মান করেন
দেবী বাউ এর মন্দির
তিনি নির্মান করেন
[...]

নং কলাম

[প্রথম কিছু পদ ধ্বংষপ্রাপ্ত]
তিনি নির্মান করেন
দেবতা দুন-শাগানা এর জন্য
আক্কিল তার বাসস্থান
তিনি নির্মান করেন
দেবতা [...] এর জন্য
তার মন্ত্রপূত কবজের ফলক
এবং তার মন্দির তিনি নির্মান করেন
মন্দিরের মধ্যখানে
দেবতা যা-যা-উরু এর জন্য
দেবতা ইম-ঘুদ-এন এর জন্য
দেবতা গিম-নুন-তা-এন- এর জন্য
তাদের জন্য তিনি মন্দিরগুলো নির্মান করেন
দেবতা নিন-সার এর জন্য [...]
[...]


নং কলাম

[প্রথম কিছু পদ ধ্বংষপ্রাপ্ত]
দেবতা এনলিল এর জন্য
-আদ্দায় তার মন্দির, তার ইম-সাগ-গা,
তিনি নির্মান করেন
দেবী নিনা এর জন্য
তার প্রিয় নদী,
নিনা-কি-তুম- খাল
তিনি খনন করেন
খালের মুখে, একটি প্রাসাদ [...]

[...]

[...] লেখা পাওয়া যায় নি বা পাঠোদ্ধার করা যায় নি।