23 May 2019

দৈনন্দিন আলাপ ৮

ভারতে নির্বাচনের ফল দিয়েছে। বড় জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপি। বিজেপিকে অনেকে সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। বিজেপির রাজনীতির মূল হাতিয়ারই ধর্ম। আর ধর্ম সবসময়ই একটি স্পর্শকাতর হাতিয়ার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যার বহুল ব্যবহার। বিজেপি এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোট দিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনছেন এটা মেনে নিতে হবে। তবুতো ভারতে নির্বাচন হয়! বাংলাদেশে তো তাও হয় না। 

নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় আসলে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে। সরকার তো আসলে জনগণের প্রতিনিধি। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিরোধীদল থাকলে সরকারের জবাবদিহিতা বজায় থাকে। ভারতে বেশ কয়েকটা বড় বিরোধীদলের কারনে বিজেপি নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় আসলেও জবাবদিহিতার মধ্যে থাকবে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস যতো কম আসনই পাক না কেন, এরা সর্বভারতীয় পার্টি। প্রত্যেকটা প্রদেশ থেকে এরা আওয়াজ তুলতে পারে। আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রস, ওয়াইএসয়ার কংগ্রেস পার্টি, আম আদমি পার্টি, দ্রাবিড়া মুন্নেত্রা কাঝাঘাম- ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া- সিপিআই, সিপিআই (এম) সহ বেশকয়েকটি দল বেশ শক্তিশালী অবস্থানে আছে। এরা শেষ পর্যন্ত জনতার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলে যায়। বাংলাদেশের কয়টা রাজনৈতিক দল আছে যারা ক্ষমতায় না থাকলেও জনতার পক্ষ নিয়ে কথা বলে? 

No comments:

Post a Comment