'জন্মিলে মরিতে হয়' জীবনের এই হলো প্রতিপাদ্য বিষয়। এই বিষয়টাই মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর জীবনের অন্যতম সত্য। জন্মের সাথে সাথে প্রাণীর জন্য এই সত্যটি কার্যকর হয়ে যায়। অনেকে এই সত্যটিকে মানতে চাননা। তারা দীর্ঘ জীবন বাঁচতে চান। তারা দীর্ঘ রোগশোকে ভোগার পর বৃদ্ধবয়সে ধুকেধুকে মরতে চান। আর যারা চালাক, যারা জীবনমুখী চিন্তা করেন, যারা ইতিমধ্যে জীবনের সত্যটিকে উপলব্ধি করে ফেলেছেন, তারা দ্রুত মরতে চান। দ্রুত এবং নিজের ইচ্ছামতো সময়ে মৃত্যুবরণ করার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার নামই হলো সুইসাইড বা আত্মহত্যা।
সুইসাইড কেন করবো:
যে কোনো কারনে সুইসাইড করা যায়। আসলে সুইসাইড করার জন্য যেকোনো কারন হলেই হয়। 'কারন' প্রয়োজনীয় নয়, সুইসাইড করার জন্য দরকার সুইসাইড করবো এরকম একটি প্রতিজ্ঞার। পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করা একটা কারন হতে পারে। বাবা বা মা বকা দিয়েছে বা অপমান করেছে। বাবা আগামী মাসের মধ্যেই মোটরবাইক কিনে দিতে রাজী হয়নি। যাকে ভালোবাসেন সে সাড়া দেয়নি। প্রেমিক বা প্রেমিকা আর আপনার সাথে প্রেম করবেন না বলে জানিয়েছেন। বা নিজেদের মধ্যে যেকোনো বিষয়ে ভুল বোঝাবোঝি বা ঝগড়া। স্বামী বা স্ত্রী অপর কারো প্রতি আসক্ত বা অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িত। কর্মক্ষেত্রে বস এতো কঠিন করে ঝাড়ি দিয়েছে যে এ জীবন রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। ঋণ ও সুদের বোঝা। ব্যবসায় লস। ইত্যাদি নানা কারন হতে পারে আপনার সুইসাইডের।
সুইসাইড কিভাবে করবো:
সুইসাইড করার বেশ কিছু প্রচলিত পদ্ধতি আছে। এর মধ্যে জনপ্রিয় হলো গলায় দড়ি দেয়া, বিষ খাওয়া, কীটনাশক খাওয়া, চলতি বাস-ট্রাক বা ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পরা, শরীরের গুরুত্বপূর্ণ শিরা কেটে ফেলা, পানিতে পরে যাওয়া (যারা সাতার জানেন না তাদের জন্য) ইত্যাদি। অনেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করাকে লজ্জাকর মনে করেন। তারা মনে করেন এভাবে সুইসাইড করবে স্ত্রীজাতির সদস্যরা। আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি সুইসাইড করতে যাচ্ছেন, যুদ্ধজয় করতে নয়। আর সুইসাইডের ক্ষেত্রে কোনটা স্ত্রীজাতির কোনটা পুরুষজাতির এটা বিবেচ্য নয়। সুইসাইড সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলো কিনা সেটাই বিবেচ্য।
সুইসাইড করার ক্ষেত্রে এর যেকোনোটি আপনি বেছে নিতে পারেন। বা একসাথে দুই তিনটি পদ্ধতি ফলো করতে পারেন। যেমন- শিরা কেটে সাথে সাথে বিষ খেয়ে নিয়ে তারপর আগেই প্রস্তুত করে রাখা মজবুত দড়িতে ঝুলে পরা। সেক্ষেত্রে আপনার সফলতার নিশ্চয়তা শতভাগ। কেউ আপনাকে মৃত্যুর কোল থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না।
সাসপেন্স সুইসাইড:
আপনি সুইসাইড করতে চান, কিন্তু আত্মীয়স্বজনদের জানাতে চাননা আপনি সুইসাইড করেছেন, সেক্ষেত্রে সাসপেন্স সুইসাইড আপনার জন্য বেশ কার্যকর। বিশেষত বাংলাদেশ সাসপেন্স সুইসাইডের উর্বর ক্ষেত্র। এক্ষেত্রে আপনাকে দুর্ঘটনাপ্রবণ কোনো হাইওয়েতে নিয়মিত যাতায়াত করতে হবে। গণপরিবহণে যাতায়াত করলে করতে হবে এমন পরিবহণে যারা রাফ এন্ড টাফ গাড়ি চালায়, প্রচুর ওভারটেক করে। এবং এসব পরিবহণে আপনাকে বসতে হবে সামনের দিকে। কারণ সামনের দিকেই এক্সিডেন্টের ঝুঁকি প্রবল। এক্সিডেন্ট ঠিকঠাক মতো হলে আপনার মৃত্যুর গ্যারান্টি শতভাগ। এক্সিডেন্টের পরপর আপনার ফোন এবং মানিব্যাগ চুরি যাবে। সুতরাং আপনার বাসায় জানতেও পারবেনা যে আপনি সফলভাবে মারা যেতে পেরেছেন। সকালে আপনি মারা গেলে তারা জানবে বিকালবেলা বা পরদিন সকালবেলা। আপনি ঠিকঠাকভাবে মারা গেলেন অথচ কেউ বুঝতেও পারলোনা আপনি সুইসাইড করেছেন। এটাই সাসপেন্স সুইসাইড।
বিভিন্ন রকম সুইসাইড:
মানুষের ইতিহাসে বিভিন্ন রকম সুইসাইডের নজির আছে। অনেক সময় যুগলরা একসাথে সুইসাইড করতে চান। ইতিহাসে গণসুইসাইডের ঘটনাও আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাচীন ঐতিহাসিক গণসুইসাইডের ঘটনাটি ঘটেছিলো বর্তমান ইসরাইলের মাসাদা এলাকায়। ৭৪ যিশুসনে রোমান সৈন্যদল মাসাদা এলাকাটি দখল করতে গিয়ে দেখে সেখানকার ৯৬০ জন অধিবাসী সবাই সুইসাইড করে বসে আছে। রোমানদের দাস হওয়ার চেয়ে আত্মহত্যা করাকেই মাসাদার অধিবাসীরা শ্রেয় মনে করেছিলেন। ভারতীয় উপমহাদেশেও রাজপুত রমনীরা 'জওহরব্রত' পালন করতেন। জওহরব্রত হলো অগ্নিকুণ্ডে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা। এছাড়া আছে ধর্মীয় কারনে সুইসাইড। রাশিয়া, গ্রীস, তুরস্কের অনেক শহরে খ্রিস্টধর্ম প্রসারের সময় জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের কারনে অনেকে পুরাতন ধর্ম ত্যাগ করতে রাজি না হয়ে গণসুইসাইড করে। ইদানীংকালে ইসলামিক স্টেটের জিহাদীরা নিজেকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছে, এগুলোও সুইসাইড। ইন্দোনেশিয়ার কিছু জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে খাদ্যাভাব দেখা দিলে বয়োবৃদ্ধরা নিজের গলা কেটে সুইসাইড করতো। সেই বৃদ্ধদের বীরপূর্বপুরুষ হিসেবে পূজা করা হতো।
সুইসাইডের বাধাসমূহ:
সুইসাইড করার আগে আপনাকে প্রথমেই সুইসাইডের বাধাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। নতুবা সুইসাইডটি নিখুঁত হবে না। আবার আপনি সুইসাইড না করে এই দুর্গন্ধময় জীবনে ফেরতও আসতে পারেন। এইজন্য এই প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করা অতি জরুরি।
১ম বাধা: সুইসাইড করার সময় আপনার সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে আপনার পিতা-মাতা। সুইসাইডের ঠিক পূর্বমুহূর্তে আপনার বাবামার চেহারা আপনার মনে পরতে পারে, যা আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিতে পারে। বাবামার চেহারা মনে পরে গেলে তাদের সাথে আপনার দুঃসহ স্মৃতিগুলো মনে করুন। আপনার অপূর্ণতাগুলো মনে করুন। ছোটোবেলা থেকে আপনার বাবামা কতোবার আপনার মনে কষ্ট দিয়েছেন তা মনে করুন। আপনি চাওয়ার পরও আপনাকে দেয়া হয়নি, আপনাকে বকা দেয়া হয়েছে, কখনো কখনো গায়ে হাত তোলা হয়েছে, এসব মনে করুন। ভুলেও কখনো বাবামার সাথে কোনো সুখস্মৃতি মনে করবেন না। ভুলেও মনে করবেন না, আপনার জ্বর এলে আপনার মা সারারাত জেগে বসে থাকতেন। আপনার বাবা প্রথমে মানা করলেও পরে মাসের বেতন তোলার পরই আপনার চাওয়া বিষয়টি নিয়ে আসতেন। আপনার খাওয়া না হলে আপনার বাবা বা মা কেউ খেতে বসতেন না। মাছের মাথা, মুরগির রান আর কলিজা, মাংসের ভালো পিসগুলো আপনাকেই খাওয়াতেন, আর বাবামা সেই দৃশ্য দেখেই সুখি হতেন। আপনার ছোটোবেলায় আপনার বাবা নিজেকে ঘোড়া-গাধা সেজে আপনাকে পিঠে নিতেন। এইসব ভেবে আপনি পিছিয়ে যেতে পারেন, ভুলেও এসব ভাববেন না। এছাড়াও আপনার মনে আসতে পারে, আপনি মারা গেলে আপনার বাবামা কতোটা কষ্ট পাবেন? তারা আপনাকে নিয়ে কতো স্বপ্ন দেখতেন, কতো আশা করতেন, কতো গর্ব করতেন। আপনি সুইসাইড করার পর আপনার বাবামাকে আপনার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। কিন্তু আপনি সুইসাইড করতে যাচ্ছেন, জনসেবা করতে নয়। এসব ভাবনা আপনাকে সুইসাইড করা থেকে পিছিয়ে নিয়ে আসবে।
২য় বাধা: সুইসাইড করার সময় আপনার সামনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা আসতে পারে। আর তা হলো আপনার ভাইবোন, বন্ধুবান্ধব, প্রেমিক বা প্রেমিকার চেহারা ও স্মৃতি। এদের চেহারা মনে এলে সাথে সাথে মনে করুন আপনার ভাই বা বোন আপনার সাথে কতো খারাপ ব্যবহার করেছে, আপনার মনে কষ্ট দিয়েছে, আপনার সাথে বেয়াদবি করেছে। আপনার বন্ধুবান্ধব আপনার সাথে বেইমানি করেছে। কতো ভালোভালো জায়গায় তারা আপনাকে রেখে ঘুরতে গিয়েছে। আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনাকে ধোঁকা দিয়েছে। আপনাকে ছেড়ে অন্য কাউকে ভালোবাসছে, ঘর করছে। এসব ভাবলেই আপনার সুইসাইড করাটা সহজ হবে। মোটেই এমন কোনো ভাবনা ভাববেন না, যে ভাবনা ভাবলে আপনার সুইসাইড করাটা আর হয়ে উঠবে না। যেমন, আপনার ভাই বা বোনের সাথে আপনার কোনো সুখস্মৃতি। আপনার ছোটোবেলার একসাথে খেলার স্মৃতি। আপনার চোখের সামনে আপনার ভাই বা বোনের বড় হয়ে ওঠার স্মৃতি। আপনাকে ছাড়া আপনার ভাই বা বোনের একলা টয়লেটে না যেতে চাওয়ার কোনো ঘটনা। আপনার সাথে একসাথে খাবে বলে জমিয়ে রাখতে রাখতে আইসক্রিম গলিয়ে ফেলার কোনো ঘটনা। বা আপনার বন্ধুবান্ধবের সাথে কোনো সুখস্মৃতি। আপনাদের লুকিয়ে পাশের এলাকায় গিয়ে প্রথম সিগারেট খাওয়ার ঘটনা। বা একসাথে পাশের বাসায় কোন মেয়ে বা ছেলে আসলো তার খোঁজখবর নেয়ার স্মৃতি। খেলাধুলার স্মৃতি, ঝগড়ার স্মৃতি, মারামারির স্মৃতি, স্কুলের বা কলেজের হাজারো সুখস্মৃতি। বা প্রেমিক বা প্রেমিকার চেহারা। লুকিয়ে দেখা করতে যাওয়া, চিঠি দেয়া বা ফোন নাম্বার দেয়ানেয়ার স্মৃতি, ধরা খেতে খেতে না খাওয়ার স্মৃতি ইত্যাদি। আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনাকে ধোঁকা দিয়েছে এর মানে এই না যে আপনি জীবনে আরো প্রেমে পরবেন বা আরো প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনার জীবনে আসবে। আপনাকে মনে করতে হবে এই প্রেমই আপনার জীবনের শেষ প্রেম। এই প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ছাড়া আপনি বাঁঁচবেন না। তবেই আপনার সুইসাইড করার পেছনে একটি শক্তিশালী কারন তৈরি হবে। আপনি যদি মনে করেন এই প্রেমের পরও আপনাকে ভালোবাসার কেউ আছে বা এরপর আবার আপনার নতুন কোনো প্রেমিক বা প্রেমিকা হবে যে আপনাকে আরো বেশি ভালবাসবে বা আপনার স্বামী বা স্ত্রী হওয়ার জন্য অনেকে অপেক্ষা করে আছে, আপনি সুইসাইড করা থেকে পিছিয়ে যেতে পারেন।
৩য় বাধা: আপনার সুইসাইড না করার পেছনে আরেকটি বড় বাধা হতে পারে প্রকৃতি নিজে। প্রকৃতির জঞ্জালপূর্ণ বিষয়গুলো মনে করুন। কতো বড় বড় প্রতিবন্ধকতা আপনার জন্য করে রেখেছে প্রকৃতি তা মনে করুন। আবহাওয়ার তারতম্য, গরম বা শীত সহ্য না হওয়া, বন্যা, ঘুর্নিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, বজ্রপাত, দাবদাহ ইত্যাদি কতো রকম কুব্যবস্থা প্রকৃতি করে রেখেছে। এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর আগেই সুইসাইড করা উত্তম মনে করুন। তবে সাবধান থাকুন। যেমন আপনি গাছে ঝুলতে যাচ্ছেন, দেখলেন কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে। চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আপনার আর সুইসাইড করা হলো না। বা চাঁদের ছায়ায় আপনি আপনাকে বা গাছটাকে দেখলেন। বা ভয়াবহ জোছনা আপনার ভালো লেগে গেলো। যে নদীতে আপনি ঝাপ দিতে গেলেন সেই নদীকে আপনার ভালো লেগে গেলো, বা নদীর পাড় ভালো লাগলো, বা নদীর পানির বয়ে চলার কুলকুল শব্দ আপনার কানে গেঁথে গেলো। আপনার আর সুইসাইড করা হবে না। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাবেন না। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আপনার প্রত্যাশিত সুইসাইড থেকে আপনাকে ফিরিয়ে আনতে পারে।
শেষকথা:
আপনি সুইসাইড করতে চান, তার মানে আপনার আবেগ আছে। আপনার মস্তিষ্কের যে অংশে আবেগ আছে, ঠিক তার পাশের অংশেই আছে কল্পনা। সুইসাইড করার আবেগ আসলে চোখ বন্ধ করে পাশের কল্পনা অংশে চলে যান। কল্পনা করুন আপনি মারা গেছেন। আপনার লাশ দড়িতে ঝুলছে। বা পানি থেকে আপনার ফুলে ওঠা গলা লাশ তোলা হচ্ছে। বা বিষ খেয়ে আপনার মুখের আশপাশে ফেনা জমেছে, সারা মুখমণ্ডল কালো হয়ে গেছে। তারপর কল্পনা করুন আপনার মৃত্যুর পর আপনার মায়ের মুখ, বাবার মুখ, ভাইয়ের মুখ, বোনের মুখ, বন্ধুদের মুখ, প্রেমিক বা প্রমিকার মুখ, স্বামী বা স্ত্রীর মুখ, পাশের বাসার যে আন্টির সাথে আপনার মাত্র একবার চোখাচোখি হয়েছে তার মুখ। আপনার জীবন আপনার কাছে কমদামী মনে হতে পারে, কিন্তু আপনার জীবন কেবলমাত্র আপনার নয়। আপনার পরিবারের, আপনার সমাজের, আপনার আত্মীয়দের, আপনার স্বজনদের। আপনার মৃত্যুর জন্য যেনো আপনার বাবা, মা, ভাই, বোন, স্বামী বা স্ত্রীকে জবাবদিহি না করতে হয়। আপনার মৃত্যুর পর যেনো আপনার মৃত্যুর গ্লানি আপনার পরিবারকে না বয়ে বেড়াতে হয়।
জানতে আসছিলাম আত্মহত্যার সহজ উপায়। কিন্তু আপনি এই সব কি লিখছেন।
ReplyDeleteনিজের মন কে স্থির করে কিভাবে সফল আত্মহত্যা করতে পারবো তাই বলেন।
you are a mad.you inspire others to sucide.
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ লেখাটি লেখার জন্য
ReplyDeletethanks
ReplyDeleteমাদারটোস্ট আত্মহত্যার উপায় দেখাচ্ছিস।
ReplyDeleteআতহার ছাড়া আর কি করবো এই মনের কষ্ট কি করলে কুমবে
ReplyDeleteit's amaging
ReplyDeleteI don't want this unbearable painful life.
ReplyDeleteThanks
ReplyDeleteসুই সাইড হবে রাজকীয় ভাবে, নয়তো রোমান্টিক ভাবে,, আমি যদি সুই সাইড করি,,,, তবে একটি বোড বা নৌকা নিয়ে চলে যাব গভীর সমুদ্রে। আমার সাথে থাকবে কিছু ভাল মানের ঘুমের ঔষধ,, এবং একটি কোক,,,,মাঝ সমুদ্রে ঘুমের ঔষধ ও কোক পানের মাধ্যমে একটা ঘুম দেব চিরদিনের মত,,,😂😂
ReplyDeleteমরে যেতে চাই....
ReplyDelete🥺🥺🥺
ReplyDeleteকেউ বয়ে বেড়ানোর নেই, যারা আছে তারাও চায় যেনো চলে যাই। শুধু আমার মুক্তির জন্য না, আমার আশেপাশের অনেকেই আমি চলে যাওয়ার পর মুক্তি পাবে।
ReplyDeletemanush suicide tkn e krte chai jkn se r bachte pare na....e jibon er proti hatred chle ase...r suucude er sohoj upai holo onk gulo ghumer osudh eksathe kheye fela....😭
ReplyDeleteলিখাটায় পরেছি খুব ভালো লেগেছে
ReplyDeletejara er thekeo kotin poristhitite dariye, samone ba pichone jawar shujug na peye, kebol mritthukei samne dariye thakte dekhe, tara shotti etokichu vabar shujug pay na.
ReplyDeleteসত্যিই অসাধারন একটি লেখা,মানুশকে আত্তহত্তা থেকে বাচিয়ে আনত প্রচেষ্টা চালিয়ে জান
ReplyDeleteসুইসাইড করার ইচ্ছা তো ছিলোনা। কিন্তু বিয়ের আগে মা বাবার বোঝা ছিলাম, এখন স্বামীর বোঝা৷ আমার ইচ্ছা অনিচ্ছার মূল্য কারো কাছে নেই৷ এতো ভালোবাসলাম সবাইকে, কিন্তু সেটার প্রতিদানে অপমান পেয়েছি। এক কাপরে মা বাবা বিদায় করে দিলো, আর স্বামী এনে এই দূর্বলতার সুযোগে যাচ্ছে তাই অপমান করলো৷ আজ ৩ বছর বিয়ের। আমি হাপিয়ে গেছি, আমার জীবনে আসলেই হয়তো সুখ স্মৃতি নেই। পরিবারের সবথেকে নিচে আমি থাকি, আর সমার্পন আমার আগে করতে হয়। দিন শেষে গালি আর অপমান। হয়তো আসলেই আপনাদের মধ্যে বেশিদিন থাকবো না। সবাই ভালো থাকবেন। চেষ্টা করবো বাঁচার, কিন্তু জানিনা এই জীবনের বোঝা বইবার ক্ষমতা কয়দিন আছে আমার।
ReplyDeleteধন্যবাদ আমি আজ মরবো আমার সব শেষ হয়ূ গেছে চোখ নাক কান গলা কেনো টাই ঠিক নাই সব আঘাতের কারণে শেষ হয়ে গেছে
ReplyDeleteআপনার পোস্টটি পড়ে মন হালকা হয়ে গেছে।🥺😔 আমি খুব টেনশনে আছি।
ReplyDeleteহাই
ReplyDeleteআমি এই দুনিয়ায় থাকতে চাইনা
ReplyDeleteকোনো রকমের কষ্ট ছাড়া কিভাবে সুইসাইড করবো¿ এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে আর বেঁচে থাকতে পারছি না.এখনতো আপনজনেরাও আমাকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়. সবার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছি. বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই মরে গিয়েছে. এখনতো বেঁচে থাকা আরো বেশি মুশকিল:,)
ReplyDeleteসত্যি ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ReplyDeleteএত সুন্দর উপায় জানানোর জন্য